বার্তা প্রতিনিধি: অসময় ঘুম যাচ্ছিলেন শিক্ষক। কিন্তু তার ঘুমে ব্যাঘাত ঘটায় মোহাম্মদ শুভ হাসান (৭) নামে এক মাদ্রাসাছাত্রকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। হত্যার অভিযোগে মাদ্রাসার শিক্ষক হাফেজ আব্দুল মুক্তাদিরকে আটক করেছে পুলিশ।
গতকাল ঢাকার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জে দোলেশ্বর ইসলামিয়া হাফেজিয়া মাদ্রাসা ও এতিমখানায় এ ঘটনা ঘটে। শিক্ষক আব্দুল মুক্তাদিরের ফাঁসির দাবি জানিয়েছেন শিক্ষার্থী ও স্থানীয়রা।
ঐ এতিমখানার শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, শুক্রবার রাতে শিক্ষক আব্দুল মুক্তাদির কক্ষে ঘুমাচ্ছিলেন। এসময় তার কক্ষের পাশে শিক্ষার্থীরা কথা বলছিল। সেখানে ছিল শুভ ও তার ভাই শান্ত হোসেন (৬), মো জাকির হোসেন (১০) ও আব্দুর রহমান (৮)। ঘুমে ব্যাঘাত ঘটায় ওই শিক্ষক ক্ষিপ্ত হয়ে চার ছাত্রকে ধরে নিজ কক্ষে নেন। সেখানে দরজা আটকিয়ে স্টিলের পাইপ দিয়ে মারধর করেন। এতে শুভ গুরুতর আহত হয়।
সারারাত কাতরাচ্ছিলেন ছেলেটি। কিন্তু শিক্ষক তার চিকিৎসার কোন ব্যবস্থা না করায় পরদিন শনিবার সকালে শুভর খালা খবর পেয়ে তার সহপাঠীরা সহ শুভকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে ভর্তি করে। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শুভ মারা যায়।
এর পরে নিহতের খালা ঝুমুর বিষয়টি দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানায় জানান। পুলিশ খবর পেয়ে ঢামেক হাসপাতালের জরুরি বিভাগ থেকে শুভর লাশ উদ্ধার করে। পরে লাশের ময়নাতদন্তের জন্য ওই হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়।
কিন্তু গত শনিবার রাতে মাদ্রাসা শিক্ষক হাফেজ আব্দুল মুক্তাদিরকে আটক করে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানা পুলিশ।
এদিকে নিহতের খালা ঝুমুর আক্তার বলেন, শুভর বাবা আরেকটি বিয়ে করে অন্যত্র থাকেন। দুই সন্তানকে আমার কাছে রেখে সৌদি আরবে কাজের জন্য গেছে তাদের মা। আমি তাদের দেখাশোনা করি। কোনো কারণ ছাড়াই মাদ্রাসার শিক্ষক শুভকে মেরে ফেললো।
তবে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার উপ পরিদর্শক (এসআই) ইমরান উকিল বলেন, অভিযোগ পেয়ে আমরা মাদ্রাসার শিক্ষককে আটক করেছি। পরে ওই শিক্ষক মারধরের কথা স্বীকার করেছে। এ ঘটনায় নিহতের খালা বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন।
সূত্র: সমকাল