Thursday, May 16বাংলারবার্তা২১-banglarbarta21
Shadow

রিক্সাওয়ালাকে মারধরের ঘটনায় ধিকৃত নারী শিনু এলাকা ছাড়লেন

তুমি নিচু জাত তুমি হিংস্র তুমি নারি জাতিল কলংক তাই নিজ এলাকা ছাড়লেন সেই সমালোচিত নারী সুইটি আক্তার শিনু। লোকলজ্জা আর ধিক্কারে টিকতে না পেয়ে তিনি বাসা থেকে অন্যত্র চলে গেছেন।

কিছুদিন আগে এক রিকশাচালককে মারধর করেন সুইটি। সেই মারধরের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়। স্থানীয় আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত সুইটির বিষয়টি দলের নেতাকর্মীদের কাছেও ভালো লাগেনি। মিরপুরের ৭ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদকের পদ থেকে তাকে বহিষ্কার করা হয়েছে। জানা গেছে, তারপর থেকে সুইটিকে এলাকায় আর দেখা যাচ্ছে না।

সুইটির বাসা মিরপুর ষ্টেডিয়ামের পেছনে। স্থানীয়রা বলছেন, গণমাধ্যমে সমালোচনার মুখে নিজ বাসা ছেড়ে আত্মগোপনে যেতে বাধ্য হয়েছেন সুইটি।

সুইটির প্রসঙ্গে ৭ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর আরজু বলেন, সে (সুইটি) একটি ফাঁপরবাজ নারী। কোনও সময় দলের সক্রিয় কর্মী ছিল না। তবে সে রাজনৈতিক দলের ব্যানারে থেকে কতিপয় নেতার ছত্রছায়ায় এ ধরনের অপরাধ করে বেড়াতো। এ ধরনের ঘটনা তার জন্য নতুন কিছু নয়। এর আগেও শামীম নামের স্থানীয় এক দোকানি তার হাতে নাজেহাল হন। সে এতই বেপরোয়া যে নাজেহাল হলেও কেউ তার বিচার চাইতো না।

আরজু জানান, বিএনপি সরকারের আমলে সুইটি মিরপুর ৬ ও ৭ নম্বর সেকশনের ওয়ার্ড জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের সঙ্গে যুক্ত ছিল। ওই সময় বিএনপির মিছিল ও মানববন্ধনে অংশ নিতো। কিন্তু ওয়ান ইলেভেনের পর ভোল পাল্টে ফেলে যুক্ত হন মহিলা আওয়ামী লীগে।

ঢাকা মহানগর উত্তরের ৭ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি কাজী আবদুল হারুন জানান, রিকশাচালককে মারধরের ঘটনায় দল বিব্রত। তাই গত ১১ ডিসেম্বর (বুধবার) ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের নির্বাহী কমিটির বৈঠকের সিদ্ধান্তে সুইটিকে মহিলা সম্পাদিকা ও প্রাথমিক সদস্য পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।

দলের সাধারণ সম্পাদক মকবুল হোসেন তালুকদার স্বাক্ষরিত বহিষ্কারের একটি চিঠি গণমাধ্যমের কাছে পাঠানো হয়েছে। সেই চিঠিতে বলা হয়,ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণ ও দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের দায়ে সুইটিকে বহিষ্কার করা হয়েছে। তার আচরণে দলের সুনাম নষ্ট হয়েছে। আচরণ সংযত রাখার জন্য বার বার হুশিয়ারি করে দেয়ার পরও তার আচরণ সংশোধন হয়নি বরং উচ্ছৃঙ্খলতা বেড়েছে। এ কারণে দল থেকে বহিষ্কার হলো।

গত বুধবার (১১ ডিসেম্বর) বিকেলে ফেসবুকে একটি ভিডিও ভাইরাল হয়। সেখানে দেখা যায়- এক রিকশাচালকের ওপর চড়াও হয়েছেন এক নারী। তিনি ওই রিকশার যাত্রী ছিলেন। রিকশাচালকের প্যাডেলের গতি পছন্দ নয় ওই নারীর। তাই আরও জোরে চালাতে নির্দেশ দেন। কিন্তু রিকশাচালক জানান, এর চেয়ে বেশি জোরে চালাতে পারবেন না। এতে বিপত্তি বাঁধে চালকের সঙ্গে ওই নারীর। ক্ষিপ্ত হয়ে ওই নারী চড়াও হন চালকের ওপর। রিকশা থেকে নেমে চালকের গায়ে হাত তোলেন। আবারও রিকশায় উঠে হাতের ব্যাগ দিয়ে চালককে মারতে উদ্যত হন। ক্ষুব্ধ হয়ে রিকশাচালককে লাথি মারতেও দেখা যায়। এসময় অকথ্য ভাষা গালিগালাজ করেন। ওই নারীর এহেন আচরণের প্রতিবাদও করছেন পথচারীরা। তবে কোনো প্রতিবাদই কাজে আসেনি। নিজের অবস্থান থেকে সরে আসেনি সুইটি বরং প্রবীণ এক পথচারী প্রতিবাদ করলে তার ওপরও হামলা চালান সুইটি আক্তার শিনু। তুমি স্বার্থপর তুমি পরহিংস্রকাতর।
রানু. চট্টগ্রাম প্রতিনিধি

One Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *