একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পরবর্তী মন্ত্রিসভার শপথ অনুষ্ঠান সম্পন্ন করতে ব্যস্ত সময় পার করছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। শপথ অনুষ্ঠান সফল করতে শুক্রবার ( ৪ জানুয়ারি) খোলা ছিল সচিবালয়ের মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের দপ্তর। আজ শনিবারও ( ৫ জানুয়ারি) খোলা রাখা হয়েছে সরকারের গুরুত্বপূর্ণ এই বিভাগটি।
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নিরঙ্কুশ বিজয়ী আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সোমবার (৭ জানুয়ারি) বঙ্গভবনে অনুষ্ঠিত হবে নতুন মন্ত্রিসভার শপথ অনুষ্ঠান। রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ প্রধানমন্ত্রী ও মন্ত্রিসভার সদস্যদের শপথবাক্য পাঠ করাবেন। ওই রাতেই হবে দপ্তর বণ্টনের প্রজ্ঞাপন।
মন্ত্রিসভার শপথ অনুষ্ঠানের প্রায় সব কাজ সম্পন্ন করে থাকে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। সম্ভাব্য মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী ও উপমন্ত্রীদের আমন্ত্রণ জানানো, অতিথিদের আমন্ত্রণ জানানো, পরিবহন পুলে গাড়ি প্রস্তুত রাখার পাশাপাশি আলাদা শপথবাক্য, ফাইল-ব্রিফকেস ও নিরাপত্তা প্রটোকল প্রস্তুত করা এবং দপ্তর বণ্টনের প্রজ্ঞাপনসহ অন্যান্য কাজ করতে হয় এই বিভাগের কর্মকর্তাদের।
মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, আওয়ামী লীগ সভাপতিকে রাষ্ট্রপতি সরকার গঠনের আমন্ত্রণ জানানোর পর সভাপতি মন্ত্রী হিসেবে শপথ নেয়ার জন্য নির্বাচিতদের নামের তালিকা পাঠাবেন মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ সে অনুযায়ী ফাইল তৈরি করে পাঠাবে বঙ্গভবনে। এর পরই শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানের জন্য প্রস্তুত হবে বঙ্গভবনের দরবার হল।
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিব মোহম্মদ শফিউল আলম প্রস্তুতির বিষয়ে দৈনিক জাগরণকে বলেন, ‘মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের এসময় দায়িত্ব অনেক। আমরা প্রায় সব কাজ গুছিয়ে এনেছি। কারা শপথ নেবেন সেই তালিকা পেলে বাকি কাজটুকুও দ্রুত সম্পন্ন করে ফেলবো।’
উল্লেখ্য, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিপুল সংখ্যক আসন নিয়ে সরকার গঠন করতে যাচ্ছে আওয়ামী লীগ। চতুর্থ মেয়াদে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিতে যাচ্ছেন শেখ হাসিনা। যদিও আগামী ২৮ জানুয়ারি পর্যন্ত বর্তমান সরকারের মেয়াদ রয়েছে।
শাকিল আহমেদ পার্থ