Monday, April 29বাংলারবার্তা২১-banglarbarta21
Shadow

ভারতের সবছেয়ে শিক্ষিত ব্যাক্তি হলেন শ্রীকান্ত জিচকার

একটি দেশে উচ্চ মার্যাদাশীর ব্যাক্তিদের মধ্যে অন্যতম ব্যাক্তি হলেন ভারতবর্ষের সবচেয়ে অধিক শিক্ষিত ব্যাক্তি….!!! যাকে হয়তো আপনি, আমি চিনিনা….!!!
পয়সার গরম তো জীবনে অনেক দেখলেন । কিন্ত বিদ্যার এমন গরম দেখেছেন না শুনেছেন কখনও…??
সবটা শুনলে মাথা ঝিমঝিম করবে, হাত পা’ও অবশ হয়ে যেতে পারে বৈকি।এক জীবনে এত পড়াশোনা কোন রক্ত মাংসের মানুষ করতে পারে, না পড়লে বিশ্বাস হবে না।তাও আবার সেই ভদ্রলোক যদি ভারতীয় হন….!!!
মারাঠি এই ভদ্রলোকের নাম : ‘শ্রীকান্ত জিচকার’ ।
পড়াশোনার কেরিয়ারটা একবার হাল্কা করে চোখ বুলিয়ে নিন শুধু , তাহলেই মালুম পড়বে ভদ্রলোক কি কাণ্ডটাই না করেছেন ।
১.জীবন শুরু MBBS, M.D দিয়ে ।
২.এরপর L.L.B করলেন ।
সাথে করলেন ইন্টারন্যাশানাল ল-এর ওপর স্নাতকোত্তর ।
৩.এরপর বিজনেস ম্যানেজমেন্ট এর ওপর ডিপ্লোমা,সাথে M.B.A ।
4. এরপর জার্নালিজম নিয়ে স্নাতক ।
এতদূর পড়ার পর আপনার যখন মনে হচ্ছে লোকটা পাগল নাকি,তখন আপনাকে বলতেই হচ্ছে এ তো সবে কলির সন্ধ্যে । এখনো গোটা রাত বাকি ।
এই ভদ্রলোকের শুধু স্নাতকোত্তর ডিগ্রীই আছে দশটা বিষয়ের ওপর….!!!
স্নাতকোত্তরের বিষয়ের তালিকাটা একবার দেখুন খালি-:
১.পাবলিক আ্যডমিনিস্ট্রেশন
২.সোশিওলজি
৩.ইকোনমিক্স
৪.সংস্কৃত(ডি.লিট)
৫.হিস্ট্রী
৬.ইংলিশ
৭.ফিলোসফি
৮.পলিটিক্যাল সায়েন্স
৯.এনসিয়েন্ট ইন্ডিয়ান হিস্ট্রী, কালচার,এন্ড আর্কেওলজি
১০.সাইকোলজি
ওপরের যতগুলো বিষয় দেখছেন সব ক’টিতেই প্রথম শ্রেণীর সঙ্গে স্নাতকোত্তর, এবং ২৮টি স্বর্ণপদক বিজয়ী।
সব মিলিয়ে ১৯৭৩ থেকে ১৯৯০ সাল পর্যন্ত প্রতি গ্রীষ্মে ও প্রতি শীতেই উনি কোনো না কোন স্নাতকোত্তরের বিষয়ের পরীক্ষা দিয়ে গেছেন।
মাথা ঝিমঝিম করছে তো!তা মাথার আর দোষ কি বলুন!তবে মাথা ঘুরে পড়ে যাবার আগে একবারটি শুধু শুনে যান।এতসব পড়তে পড়তে ওনার যখন একঘেয়েমি লাগছিল,ঠিক করলেন এবার একটু স্বাদ বদলানো যাক…!!!
তো স্বাদ বদলাতে আমি আপনি বেড়াতে যাই, আর উনি “আই.পি.এস(IPS)” পরীক্ষায় বসলেন আর পাশ করলেন।সেটা ১৯৭৮ সাল। কিন্তু পোষালো না চাকরীটা। চাকরীটা ছেড়ে দিয়ে বসলেন “আই.এ.এস(IAS)” পরীক্ষায় ।
১৯৮০ তে “আই.এ.এস(IAS)” হলেন ।
নটে গাছটা তাহলে মুড়োলো শেষ অবধি।আজ্ঞে না মুড়োয় নি এখনো ।
চারমাসের মধ্যে “আই.এ.এস(IAS)” এর চাকরীটাও ছেড়ে দিলেন মহারাষ্ট্রের বিধান সভা ভোটে লড়বেন বলে ।
১৯৮০ তে উনি যখন বিধায়ক নির্বাচিত হলেন তখন ওনার বয়স সবে ২৫ ।
উনি হলেন ভারতের সবচেয়ে কমবয়সী বিধায়ক ।
সবই হল যখন তখন মন্ত্রী হওয়াটাই বা আর বাকী থাকে কেন….??
সেটাও হলেন এবং একটা কিংবা দুটো দপ্তরের নয়, একেবারে ১৪ টা দপ্তরের ।
১৯৯২ সাল নাগাদ রাজ্যসভার সদস্য নির্বাচিত হলেন ।
ওনার এই ‘সামান্য’ কয়েকটি গুণ ছাড়াও তিনি
অসাধারণ চিত্রশিল্পী,
পেশাদার ফটোগ্রাফার,
মঞ্চাভিনেতা,
সখের বেতার চালক
ও জ্যোতিষশাস্ত্রে বিশেষ পারদর্শী ছিলেন।সম্মিলিত জাতিপুঞ্জ ও ইউনেস্কোতে ভারতের প্রতিনিধিত্ব করেছেন ।
ব্যক্তিগত সংগ্রহে ৫২০০০ বই রয়েছে ওনার। ‘লিমকা বুক অফ রেকর্ডস’ ওনাকে “ভারতবর্ষের সবথেকে শিক্ষিত ব্যক্তি”র শিরোপা দিয়েছে।১৯৮৩ তে উনি ‘বিশ্বের অসামান্য দশজন তরুণ’ হিসেবে নির্বাচিত হন।
২০০৪ এ পথ দুর্ঘটনায় ওনার মৃত্যু হয় ।
বয়স হয়েছিল মাত্র ৪৯
তার মর্মান্তিক মৃত্যুতে একটি জ্বলন্ত নক্ষত্র নিভে যায় ।
আর শিক্ষা দিয়ে যান, যার যতো জ্ঞান তার অহংকার তত কম ।
সংগৃহীত- কাজী শেলী

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *