বর্ষীয়ান নেতা, আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলামকে আজ রোববার (৬ জানুয়ারি) আছর নামাজের পর রাজধানীর বনানী কবরস্থানে দাফন করা হবে। এর আগে জাতীয় সংসদ ভবন, তার নিজ জেলা কিশোরগঞ্জ এবং ময়মনসিংহে তিনটি জানাজা হবে।
আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও জনপ্রশাসনমন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের প্রথম নামাজে জানাজা সকাল সাড়ে ১০টায় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় অনুষ্ঠিত হবে। এরপর হেলিকপ্টারে মরদেহ নেয়া হবে কিশোরগঞ্জে। দুপুর ১২টায় কিশোরগঞ্জের শোলাকিয়া ঈদগাহ মাঠে দ্বিতীয় নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। দুপুর ২টায় ময়মনসিংহের আঞ্জুমান ঈদগাঁ মাঠে মরহুমের তৃতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। এরপর হেলিকপ্টারে কিশোরগঞ্জ থেকে পুনরায় ঢাকায় ফিরিয়ে এনে আছর নামাজের পর বনানী কবরস্থানে সৈয়দ আশরাফকে চিরনিদ্রায় শায়িত করা হবে।
বৃহস্পতিবার (৩ জানুয়ারি) ব্যাংককের একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান সৈয়দ আশরাফ। শনিবার (৫ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় তার মরদেহ ঢাকায় আনার পর রাতে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালের (সিএমএইচ) হিমাগারে রাখা হয়।
ব্যাংকক থেকে সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের মরদেহ বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ‘মেঘদূত’ (বিজি-০৮৯) ফ্লাইটে সন্ধ্যা ৬টায় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এসে পৌঁছে। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের নেতৃত্বে দলের নেতারা তার মরদেহ গ্রহণ করেন। এসময় বিমানবন্দরে এক বেদনাবিধুর পরিবেশের সৃষ্টি হয়। সারা বিমানবন্দরে কান্নার রোল পড়ে যায়।
বিমানবন্দর থেকে সন্ধ্যা ৭টার দিকে সৈয়দ আশরাফের মরদেহ বেইলি রোডে তার সরকারি বাসভবনে নেয়া হয়। সেখানে তাকে দেখতে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা ভীর করতে থাকেন। ঢাকা মহানগরের আওয়ামী লীগ নেতাকর্মী ছাড়াও ছাত্রলীগ, যুবলীগসহ দলের বিভিন্ন অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা জড়ো হন। তার নিজ জেলা কিশোরগঞ্জ ও ময়মনসিংহ জেলার নেতারাও উপস্থিত ছিলেন। রাত সাড়ে ৯টার দিকে মরদেহ সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালের (সিএমএইচ) হিমাগারে নেয়া হয়।
এএইচএস/ এফসি