অনেকদিন আগ থেকেই এক গৃহবধুকে পরকিয়ার প্রস্তাব করে আসছেন একই এলাকার দুলাল মিয়া। গতকাল জোরপূর্বক দুলাল তার পচন্দের প্রেমিকার ঘরে ডুকে পরকীয়া সম্পর্ক করার চেষ্টা করায় সিরাজগঞ্জের কামারখন্দে ঐ প্রেমিকা, প্রেমিক দুলালের পুরুষাঙ্গ কেটে দিয়েছেন । পরে ওই কাটা পুরুষাঙ্গ ও এ কাজে ব্যবহৃত বটি নিয়ে থানায় আত্মসমর্পণ করেন তিনি। গতকাল রোববার রাতে উপজেলার বাগবাড়ি খাঁ পাড়ায় এই ঘটনা ঘটে।
আহত প্রেমিককে রাতেই বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
কামারখন্দ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাবিবুল ইসলাম বলেন, ‘আহত দুলাল হোসেন (৫১) উপজেলার বাগবাড়ি গ্রামের বাসিন্দা এবং প্রেমিকা রওশন আরা (৪৫) একই গ্রামের প্রতিবেশি আব্দুস সাত্তারের স্ত্রী। উভয়ের সম্পর্ক দীর্ঘদিনের। দুলালের সংসারে স্ত্রী ও তিনটি মেয়ে রয়েছে। আর রওশন আরার স্বামী, এক ছেলে ও দুই মেয়ে রয়েছে। এর আগে এ সম্পর্ক নিয়ে এলাকায় একাধিক দেন দরবারও হয়েছে।’
ওসি আরও বলেন, ‘পরিবারের কথা ভেবে সম্পর্ক বিচ্ছেদ করার জন্য দুলালকে একাধিকবার প্রস্তাব দেয় প্রেমিকা রওশনা আরা। কিন্তু প্রেমিক দুলাল রাজি না হয়ে সম্পর্ক চালিয়ে যেতে থাকে। যে কারণে পূর্বপরিকল্পনা মোতাবেক রওশন আরা রোববার রাতে তার বাড়ির পেছনে বাঁশ বাগানে ডেকে এনে কৌশলে ধারালো বটি দিয়ে দুলালের পুরুষাঙ্গ কেটে নেয়। পরে থানায় এসে পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করে রওশন আরা।’
তবে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। এ ঘটনায় দুলালের স্বজনরা থানায় মামলা করায় সোমবার সকালে ওই গৃহবধূকে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে বলেও জানান পুলিশের এই কর্মকর্তা। রওশন আরা পুলিশকে আরো জানান সে সব সময় আমাকে এই ভাবে কু প্রস্তাব দিয়ে আসছিল। কিন্তু আমি তার ডাকে সাড়া না দিলে সে জোর করে আমার সাথে সম্পর্ক করতে আসলে আমি তার পুরুষাংগ কেটে দেই।
সুত্র: বাংলাদেশ প্রতিদিন