বার্তা প্রতিনিধি: বাংলাদেশের সাবেক প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা ‘শরণার্থী’ হিসেবে কানাডায় আশ্রয় চেয়েছেন বলে জানিয়েছে দেশটির সংবাদমাধ্যম দ্য স্ট্যার। বৃহস্পতিবার প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে জানানো হয়, গত ৪ জুলাই বিচারপতি সিনহা ফোর্ট এরি সীমান্ত দিয়ে যুক্তরাষ্ট্র থেকে কানাডায় প্রবেশ করে শরণার্থী হিসেবে আশ্রয় প্রার্থনা করেন।
এসকে সিনহা আবেদনে দাবি করেছেন প্রধান বিচারপতি থাকাকালে বিচারবিভাগে রাজনৈতিক হস্তক্ষেপের বিষয়টি সমর্থন করতে অস্বীকার করার কারণে তাকে হুমকি দেওয়া হয়েছিল। এ হস্তক্ষেপ বর্তমানে সংসদকে ভিন্ন ভিন্ন বিচারক নিয়োগের ক্ষমতা দিয়েছে।
তবে ঐ প্রতিবেদনে বলা হয়, মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ বাংলাদেশে ৬৮ বছর বয়সী সুরেন্দ্র কুমার সিনহাই ছিলেন প্রথম হিন্দু প্রধান বিচারপতি। ২০১৭ সালের নভেম্বর থেকে তিনি যুক্তরাষ্ট্রে জীবন কাটাচ্ছেন। তিনি দাবি করেছেন, সাংবিধানিক সংশোধনীর পক্ষে রায় দিতে তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অনুরোধ প্রত্যাখ্যান করার তিন মাস পর তাকে নির্বাসিত হতে হয়।
এক সাক্ষাৎকারে বিচারপতি সিনহা বলেন, আমি ছিলাম অ্যাক্টিভিস্ট জজ, তাই তাদের লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হই। আমার রায়ে আমলা, প্রশাসন, রাজনীতিবিদ ও সন্ত্রাসীরা ক্ষুব্ধ ছিল। ফলে তারা আমেক দেশের শত্রু আখ্যায়িত করেছে। সরকার আমাকে নিষিদ্ধ করেছে।
এদিকে চলতি মাসের শুরুর দিকে মানিলন্ডারিং ও ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগে সিনহাসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। বিষয়টি নিয়ে দ্য স্টারের পক্ষে দুদকের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে, তারা কোনো সাড়া দেয়নি। তবে বিচারপতি সিনহা তার বিরুদ্ধে আনা সব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
তবে সরকারের বিরুদ্ধে বিচারপতি সিনহার অভিযোগ অস্বীকার করে কানাডার বাংলাদেশের হাইকমিশনার মিজানুর রহমান বলেন, দেশ ছাড়ার পর থেকেই তিনি অসত্য বক্তব্য দিয়ে চলেছেন। তার দেশে ফেরার ব্যাপারে কোনো হুমকি নেই। বরং শরণার্থী হিসেবে আশ্রয় আবেদনকে পোক্ত করতেই তিনি মিথ্যা বক্তব্য দিয়ে যাচ্ছেন।
সূত্র: আমাদের সময়