বার্তা প্রতিনিধি: গত কয়েকদিন ধরে রহিঙ্গা কেম্পে গোলযোগের খবর পাওয়া যাচ্ছে। আজ শনিবার ১৪/০৯৬/২০১৯ইং তারিখে রাত প্রায় ৮টার দিকে কক্সবাজার টেকনাফের শালবাগান রোহিঙ্গা ক্যাম্পে গোলাগুলির ঘটনার খবর পাওয়া গেছে। তবে এই ঘটনার সঙ্গে কারা জড়িত সে সম্পর্কে তাৎক্ষণিকভাবে নিশ্চিত হওয়া যায়নি। এতে ক্যাম্পে থাকা রোহিঙ্গাদের মাঝে আতঙ্ক বিরাজ করছে।
এদিকে নয়াপাড়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পের পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই মোহাম্মদ মনির বলেন, ‘আমরা গুলির ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসেছি। লোকজন আহত হয়েছে কিনা খোঁজ নেওয়া হচ্ছে। তবে সাধারণ রোহিঙ্গাদের শান্ত করেছি। তাদের ভীত না হওয়ার জন্য বলা হয়েছে।’
এদিকে বিভিন্ন খবর নেওয়ার পর টেকনাফের শালবাগান রোহিঙ্গা ক্যাম্পের মাঝি সায়েদুল আমীন বলেন, ‘রাতে (৮টার পরে) ক্যাম্পের পশ্চিমে পাহাড়ে খুব বেশি গোলাগুলির শব্দ শুনেছি। বিষয়টি ক্যাম্প কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে।’
নয়াপাড়ার রোহিঙ্গা বদলুল ইসলাম বলেন, ‘রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ব্যাপক গোলাগুলির শব্দ পাওয়া গেছে। তবে কে বা কাদের মধ্যে এই ঘটনা ঘটেছে তা বলা যাচ্ছে না। এছাড়া সশস্ত্র গ্রুপের কারণে আমরা সাধারণ রোহিঙ্গারা আতঙ্কে আছি।
তবে একাধিক সূত্রের দাবি- রঙ্গিখালী, আলীখালী, লেদা-মোচনী ও জাদিমোরা এলাকার চিহ্নিত ইয়াবা কারবারি এবং সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা রোহিঙ্গা অপরাধীদের সঙ্গে মিলে ইয়াবা চোরাচালান নিয়ন্ত্রণ, ছিনতাই, অবৈধ অস্ত্রের মজুদ, অপহরণ করে মুক্তিপণ আদায় বাণিজ্য চালিয়ে আসছে। তাদের মধ্যে গ্রুপিং হওয়ায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে প্রায় সময় এই ঘটনা ঘটছে।
সূত্র: বিডি ট্রিবিউন