নগরীর একটি হোমিওপ্যাথি দোকানে ‘রেক্টিফায়েড স্পিরিট’ পানের পর সাংবাদিকসহ দুইজনের মৃত্যু হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তারা মারা যান।
তারা হলেন- বাঘার সাংবাদিক এসএম সেলিম আহম্মেদ ভাণ্ডারী (৩৪) ও তার বন্ধু রনি। সেলিম উপজেলার মণিগ্রামের শামসুল ইসলামের ছেলে। তিনি যায়যায়দিন ও আমাদের রাজশাহীসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমের বাঘা উপজেলা প্রতিনিধি ছিলেন। আর রনি ছিলেন একই এলাকার আটঘরি গ্রামের শ্রী সূর্যের ছেলে।
এ বিষয়ে সাংবাদিক সেলিমের চাচা কায়েম উদ্দিন বলেন, সেলিম মৃত্যুর আগে বলে গেছে, নিরাময় হোমিও হলে তাকে বিষাক্ত কিছু খাওয়ানো হয়েছিল। এর পর থেকে তার শরীর খারাপ হতে থাকে।
বাঘা থানার ওসি মহসীন আলী জানান, সেলিম ও রনি বুধবার রাতে মণিগ্রাম বাজারে ‘নিরাময় হোমিও হলে’ বসে রেক্টিফায়েড স্পিরিট পান করেন। তারা বাড়ি ফিরে অসুস্থ হয়ে পড়লে রাতেই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এবং পরে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়। বৃহস্পতিবার সকাল ১০টার দিকে রনি চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। আর সাংবাদিক সেলিম মারা যান রাত ১১টার দিকে।
তিনি আরো জানান, ওই দোকান থেকে এক কার্টন রেক্টিফায়েড স্পিরিট উদ্ধার করা হয়েছে। প্রাথমিক তদন্ত, চিকিৎসকের মতামত, সুরতহাল প্রতিবেদন ও পরিবারের সদস্যদের কাছে দেওয়া সেলিমের জবানবন্দির ভিত্তিতে নিরাময় হোমিও হলের মালিক ও হোমিও চিকিৎসক মাজেদুর রহমানকে আটক করা হয়েছে। আজ তাকে আদালতে তোলা হবে।
সু্ত্র: মানবকণ্ঠ