Saturday, May 18বাংলারবার্তা২১-banglarbarta21
Shadow

মধ্যযুগীয় কায়দায় সুনামগঞ্জে শিশুকে হত্যা করেছে দুর্বত্তরা

বার্তা প্রতিনিধি: সত্যিই আমরা আইয়ামে জাহেলিয়ার যুগে বসবাস করছি!
মানুষ যখন মনুষ্যত্ব হারিয়ে ফেলে তখন সে আর মানুষ থাকে না। আবারো বাংলাদেশে অমানুবিক ও মধ্যযুগীয় কায়দায় একি শিশু সন্তানকে হত্যার ঘটনা ঘটেছে্। জানা গেছে সিলেট দৈনিক জালালাবাদের দিরাই প্রতিনিধি জনাব ইমরান হোসেনের খালাতো ভাইয়ের শিশু ছেলে তুহিনকে( ৫) গতরাতে ঘুম থেকে ধরে নিয়ে হত্যা করা হয়েছে। সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলার রাজানগর ইউনিয়নের কেজাউরা গ্রামে তুহিন (৫) নামের এক শিশুর দুটি কান, লিঙ্গ ও গলা কেটে পেটে দুটি ছুরি ঢুকিয়ে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে। নিহত শিশু কেজাউরা গ্রামের আব্দুল বাছের মিয়ার ছেলে।

রোববার (১৪ অক্টোবর) মধ্যরাতে এ ঘটনা ঘটলেও সোমবার ভোরে জানাজানি হয় কি নির্মমভাবে শিশুটিকে হত্যা করা হয়েছে!

বিশ্বস্থ সূত্রে জানা যায় পূর্ব শুত্রুতার জের ধরে এই শিশুটিকে হত্যা করা হয়েছে।

পাষন্ড হত্যাকারীরা তার কান ও লিঙ্গ কেটে নিয়েছে।হত্যা করে শিশুর লাশটি গাছের সাথে রশি দিয়ে বেঁধে রাখে।তাকে হত্যায় ব্যবহৃত দুটি ছুরি তার পেটের আটকে দিয়েছে।

এদিকে উপজেলার রাজানগর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সৌম্য চৌধুরী জানান, রোববার দিবাগত রাত শিশুটি নিজ বাড়িতে বাবা ও মায়ের সঙ্গে ঘুমিয়ে ছিল। রাত ২টার দিকে হঠাৎ ঘুম ভেঙ্গে বাবা-মা দেখেন তাদের সন্তান তুহিন নেই। সেই থেকে খোঁজাখুঁজি করে ভোর সাড়ে ৪টার দিকে বাড়ির সামনে গিয়ে দেখেন একটি গাছের সঙ্গে বেঁধে শিশুটির দুটি কান, লিঙ্গ ও গলা কেটে পেটে দুটি ছুরি ঢুকিয়ে রেখে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। পরে দিরাই থানা পুলিশে খবর দেন তারা। খবর পেয়ে পুলিশ সকালে ঘটনাস্থলে লাশের সুরতহাল তৈরি করে।

তবে দিরাই থানার এসআই আবু তাহের মোল্লা ঘটনাস্থল থেকে জানান, লাশের সুরতহাল তৈরি করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের জন্য সুনামগঞ্জ ২৫০ শয্যা সদর হাসপাতালে পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে।

সিলেট সুনামগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. মিজানুর রহমান পিপিএম জানান, তিনি ঘটনাস্থলে রওয়ানা হয়েছে। অপরাধী যেই হোক ছাড় দেয়া হবে না। সচেতন মহল মনে করেন এই চলতে থাকলে দেশের আইন শৃংখলা আর থাকল না। তবে খুনিকে ধরে জনগনের সামনে এমন বিচার করলে হয়তো ছেলেটির আত্না শান্তি পাবে বলে সকলের ধারনা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *