Sunday, May 5বাংলারবার্তা২১-banglarbarta21
Shadow

লিগ্যাল এইডের পরিচালক স্কাইপিতে কথা বললেন ভুক্তভোগীর সাথে

বার্তা প্রতিনিধি: বিচারের সঠিক ব্যবস্থাপনা থাকলে কোন সময় কেউ হয়রানির শিকার হয়না। এমনি ঘটেছে চট্টগ্রাম লিগ্যাল এইড অফিসে। মোহাম্মদ মহিউদ্দিনের সাথে তার স্ত্রী শিল্পীর ছাড়াছাড়ি হয়েছে ২০১৭ সালে। লিগ্যাল এইডের মাধ্যমে সরকারি খরচে বিচ্ছেদের যাবতীয় প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়। দরিদ্র বলে মহিউদ্দিন স্ত্রীর দেন মোহরের টাকা মাসিক কিস্তিতে পরিশোধ করে আসছেন। গতকাল রোববার তিনি কিস্তির ৫ হাজার টাকা স্ত্রীকে দিতে লিগ্যাল এইড চট্টগ্রাম অফিসে এসেছিলেন। আরেক ঘটনায় ২১দিন আগে সুলতানা রাজিয়া নামে একজন লিগ্যাল এইড অফিসে একটি অভিযোগ দেন। অভিযোগ হচ্ছে, তার প্রয়াত ভাইয়ের ৬ বছর বয়সী সন্তানকে পড়াশুনা করাচ্ছেন না ওই শিশুর মা গার্মেন্টস কর্মী শাহনাজ। একইসাথে ৬ বছর বয়সী সন্তানের পারিবারিক নিরাপত্তা ও সুরক্ষা নিশ্চিত করার কথাও উল্লেখ করেন তার ফুফু।

এবিষয়ে গতকাল শুনানী অনুষ্ঠিত হয় উভয়ের উপস্থিতিতে। শেষে শাহনাজকে তার সন্তানের পড়াশুনা ও যথাযথ সুরক্ষার বিষয়ে সতর্ক করেন আদালতের বিচারক। এসময় শাহনাজ আগামী বছরের শুরুতে তার মেয়েকে স্কুলে ভর্তি করিয়ে দেবেন বলে লিগ্যাল এইড চট্টগ্রামের অফিসার ও সিনিয়র সহকারি জজ ফারহানা ইয়াসমিনকে জানান। এসব কার্যক্রমকে জাতীয় আইনগত সহায়তা প্রদান সংস্থার পরিচালক মুহাম্মদ আমিনুল ইসলাম স্কাইপে’র মাধ্যমে ঢাকা থেকে সরাসরি তদারকি করেন। এছাড়া চট্টগ্রাম জেলা লিগ্যাল এইড অফিসের কার্যক্রম এবং বিচারপ্রার্থীদের সন্তুষ্টির মাত্রা সম্পর্কেও জেনেছেন উল্লেখিতদের সাথে কথা বলে। এসময় তিনি তাদের কাছে আইনগত সহায়তা পেতে কোনো সমস্যা বা দুর্ভোগের শিকার হতে হয়েছে কিনা জানতে চান। তখন তারা জানান, ‘আমরা এ কার্যালয়ে সব ধরনের সহায়তা পেয়েছি। এতে আমরা সন্তুষ্ট।

তিনি জেলা এইড লিগ্যাল অফিসার (সিনিয়র সহকারি জজ) ফারহানা ইয়াসমিন ও অফিস সহকারী মুহাম্মদ এরশাদুল ইসলামসহ অন্যদের সঙ্গেও কথা বলেন। একই সঙ্গে কোনো সেবা গ্রহীতা আইনী পরামর্শ পেতে ভোগান্তির শিকার হলে তাকে ১৬৪৩০ নম্বরে অভিযোগ করতে পরামর্শ প্রদান করেন। তিনি চট্টগ্রাম কোর্ট আঙিনায় বিলবোর্ড স্থাপন করা, বিভিন্ন দেওয়ানি আদালতে বিচারাধীন মিমাংসা যোগ্য মামলা সমূহ এডিআর এর সহায়তায় নিষ্পত্তির প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেন।

জানা গেছে, সারাদেশের ৬৪ জেলার লিগ্যাল এইড অফিসের কার্যক্রম, দুটি শ্রম আদালত ও একটি সুপ্রিম কোর্টস্থ লিগ্যাল এইড অফিস নিয়মিত তদারকিতে প্রযুক্তিকে এভাবে কাজে লাগানো হচ্ছে। একজন পরিচালকের পক্ষে সবখানে গিয়ে নিয়মিত তদারকি করা একদিকে সময় সাপেক্ষ, অপরদিকে ব্যয় সাপেক্ষও। এক্ষেত্রে সময় ও অর্থ দু’টারই সাশ্রয় হবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
সূত্র: আজাদী

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *