বার্তা প্রতিনিধি: বিশ্বের দ্বিতীয় মুসলিম জমায়েত বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্ব টঙ্গীর তুরাগতীরে শুরু হয়েছে । শুক্রবার ফজরের নামাজের পর আম বয়ানের মধ্যদিয়ে ইজতেমার এ প্রথম পর্ব শুরু হয়। আগামী রোববার আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে শেষ হবে এ পর্ব। এতে মাওলানা জুবায়েরের অনুসারীরা অংশ নিয়েছেন।
৪ দিন বিরতির পর ১৭, ১৮ ও ১৯ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হবে ইজতেমার দ্বিতীয় পর্ব। যাতে সাদ কান্ধলভীর অনুসারীরা ইজতেমায় অংশ নেবেন।
ঢাকার অদুরে গাজীপুর জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, পুরো ইজতেমায় কাজ করবেন জেলা প্রশাসনের ৩০টি ভ্রাম্যমাণ আদালত। মুসল্লিদের পারাপারের জন্য ইতিমধ্যে সেনাবাহিনীর ৭টি ভাসমান সেতু প্রস্তুত করা হয়েছে। তাদের যাতায়াতের সুবিধার্থে ১০টি বিশেষ ট্রেন চালু করা হবে এবং সব ট্রেনের টঙ্গী রেলস্টেশনে যাত্রাবিরতি দেবে। এবার পুরো ইজতেমাকে ৯১টি খিত্তায় ভাগ করা হয়েছে। এর মধ্যে ৬৪ জেলার লোকজন খিত্তা অনুসারে বসবেন। ইজতেমায় আগত মুসুল্লিদের চিকিৎসা দেওয়ার জন্য ১৯টি মেডিক্যাল টিম গঠন করা হয়েছে।
এদিকে বিশ্ব ইজতেমাকে কেন্দ্র করে সাত স্তরে কাজ করছেন পুলিশের প্রায় আট হাজার সদস্য। পুরো ইজতেমার মাঠ ঘিরে থাকছেন র্যাব, বিজিবি ও আনসার সদস্যরা। পুলিশের নিজস্ব ১৬টি ওয়াচ টাওয়ারসহ র্যাবের নিজস্ব ওয়াচ টাওয়ার থেকে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। পুরো ইজতেমা মাঠের চারপাশে রয়েছে অসংখ্য সিসিটিভি ক্যামেরা। মুসুল্লিদের যাতায়াত সুবিধার জন্য মাঠের চতুর্দিক থেকে রাস্তা খোলা রাখা হয়েছে। এবার বিশ্বের প্রায় ৩১টি দেশ থেকে বিদেশী মুসুল্লিরা বাংলাদেশের এই বিশ্বের দ্বিতীয় মুসলিম জামায়েতে অংশ গ্রহন করেন।