Sunday, May 5বাংলারবার্তা২১-banglarbarta21
Shadow

বঙ্গবন্ধুর খুনী আব্দুল মাজেদের রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষা ছাড়া আর কোন পথ নেই

বার্তা প্রতিনিধি: ১৯৭৫ সালে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের খুনিদের একজন মৃত্যুদণ্ডাদেশপ্রাপ্ত আসামি ক্যাপ্টেন (বরখাস্ত) আবদুল মাজেদের রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষা ছাড়া সামনে আর কোনো পথ খোলা নেই বলে জানিয়েছেন আইন বিশেষজ্ঞরা।
এইদিকে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, এখন আবদুল মাজেদের বিরুদ্ধে রায় কার্যকর করার জন্য আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়ে গেছে। এই আনুষ্ঠানিকতা শেষ হলেই দণ্ড কার্যকর করা হবে।

গত মঙ্গলবার সন্ধ্যায় রাজধানী গুলশান কার্যালয়ে ভিডিওবার্তায় মন্ত্রী এ কথা বলেন। তিনি বলেন, তিনি কারাগারে করোনাভাইরাসের ঝুঁকি সৃষ্টি করতে পারেন কি-না, এমন প্রশ্ন আমার কাছে এসেছে। আব্দুল মাজেদকে মিরপুর সাড়ে ১১ নম্বর এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তিনি ফাঁসির দণ্ডে দণ্ডিত আসামি। ফাঁসির দণ্ডে দণ্ডিত আসামিদের সলিটারি কনফাইনমেন্টে রাখা হয়। আব্দুল মাজেদকে সলিটারি কনফাইনমেন্টে রাখা হবে। এ হিসেবে তিনি করোনা ভাইরাস ছড়ানোর কোনো ঝুঁকি সৃষ্টি করবেন না।

অন্যদিকে পলাতক আসামি মাজেদ গ্রেফতারের পর পরবর্তী আইনি প্রক্রিয়া সম্পর্কে জানতে চাইলে সাবেক আইনমন্ত্রী ব্যারিস্টার শফিক আহমেদ বলেন, তার (মাজেদ) আপিল করার কোনো সুযোগ নেই। আপিলের তো একটা সময় সীমা দেওয়া থাকে। সে সময় অনেক আগেই শেষ হয়েছে। এখন সেই সুযোগও নেই। একটা সুযোগ তিনি পাবেন সেটা হচ্ছে মহামান্য রাষ্ট্রপতির কাছে ক্ষমা চাওয়া। তবে এই পর্যায়ে এসে তিনি ক্ষমা পাবেন কি না সেটা রাষ্ট্রপতির বিবেচ্য বিষয়।

কোন দন্ডপ্রাপ্ত আসামীর রায় কার্যকর করতে আইন মন্ত্রণালয় এবং স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় যৌথভাবে পদক্ষেপ নেবেন।

অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম জানান, যে কোন ফাঁসির আসামি প্রাণভিক্ষা চাইতে পারে। তবে দণ্ড কার্যকরের ক্ষেত্রে আইনি যে বিধান রয়েছে, সেভাবেই হবে।

জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মনসুরুল হক চৌধুরী বলেন, সরকার চাইলে মাজেদের ফাঁসি এখন কার্যকর করতে পারবে। আসামি আপিল করার সুযোগ পাবেন না। সব আইনি প্রক্রিয়া শেষ হয়ে গেছে। এখন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে মাজেদের ফাঁসি করতে পারবে সরকার।

ফৌজদারি আইন বিশেষজ্ঞ এসএম শাহজাহান বলেন, আপিল বিভাগ এই আসামির মৃত্যুদণ্ড বহাল রেখেছেন। তিনি যেহেতু এতোদিন পলাতক ছিলেন। গ্রেফতারের পর এখন বিচারিক আদালত থেকে তার মৃত্যু পরোয়ানা গেলেই কারাকর্তৃপক্ষ তার ফাঁসি কার্যকর করতে পারবে।

বঙ্গবন্ধু হত্যার অপর আসামির আইনজীবী ব্যারিস্টার আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, কারা কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে আসামি মাজেদ আপিল বিভাগে একটি আবেদন করতে পারেন। আপিল বিভাগ যদি তার আবেদন গ্রহণ করেন তাহলে তিনি লিভ টু আপিলের সুযোগ পাবেন। আপিল বিভাগ যদি মাজেদের জেল পিটিশন খারিজ করে দেন, তাহলে সরকার তার ফাঁসি কার্যকর করতে পারবে।

১৯৭৫ সালে নির্মম হত্যার ৪৫ বছর পর একজন আত্মস্বীকৃত পলাতক খুনি বরখাস্ত ক্যাপ্টেন মাজেদ ধরা পড়লো। সেদিনের সেই নির্মম হত্যাকাণ্ডের বিপথগামী সেনা সদস্যদের মধ্যে অন্যতম আসামি আবদুল মাজেদ। অন্যান্য আসামীদের বিভিন্ন দেশ থেকে আনার চেষ্টা করছে সরকার।
সূত্র: সমকাল

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *