বার্তা প্রতিনিধি: আবারো বর্বরোচিত এক হত্যাকান্ড ঘটেছে দেশে। গত কাল বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ ভারতের বিপক্ষে ফেসবুকে স্টাটার্স দিলে দুর্বুত্বরা বুয়েটের এক পরিত্যাক্ত কামরায় নিয়ে তাকে পিটিয়ে হত্যা করে। এই ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে আরও তিনজনকে সহ এই পর্যন্ত গত দুইদিনে বিভিন্ন সময়ে মোট ১৩ জনকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা ও অপরাধ তথ্য বিভাগ (ডিবি)। পরে গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন শামসুল আরেফিন রাফাত (২১), মনিরুজ্জামান মনির (২১) ও আকাশ হোসেন (২১)।
এদিকে ঢাকা মহানগর পুলিশের উপকমিশনার মাসুদুর রহমান জানান, আজ মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৬টায় রাজধানীর ডেমরা এলাকা থেকে মনিরকে ও গাজীপুরের বাইপাইল থেকে আকাশকে গ্রেপ্তার করা হয়। অন্যদিকে বিকেল সাড়ে তিনটায় রাজধানীর জিগাতলা এলাকা থেকে রাফাতকে গ্রেপ্তার করা হয়।
ডিবি মারফত জানা যায় গ্রেপ্তার তিনজনের মধ্যে মনিরুজ্জামান মনির ও আকাশ হোসেন আবরার হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত আসামি। তবে শামসুল আরেফিনকে সন্দেহভাজন হিসেবে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে ডিএমপির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।
ডেমরা থেকে গ্রেপ্তারকৃত মনিরুজ্জামান মনির বুয়েটের ওয়াটার রিসোর্সেস ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ১৬তম ব্যাচের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র। আকাশ একই ব্যাচের সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের তৃতীয় বর্ষের এবং শামসুল আরেফিন বুয়েটের মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের ১৭তম ব্যাচের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র।
দু্ইদিন আগে মেধাবী বুয়েট শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় গতকাল সোমবার পর্যন্ত ১০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ ঘটনায় এ পর্যন্ত মোট ১৩ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে ডিএমপি। তবে মামলার অন্যান্য আসামীদেরও গ্রেপতারের চেষ্টা চলছে বলে জানায় ডিএমপি।
তবে সত্রুতাবসত এই সব হত্যাকান্ড ঘটতে পারে বলে ধারনা করা হচ্ছে। একটি মেধাবী ছাত্রের সাথে প্রায় আরো ১৬ জন মেধাবী ছাত্রের ভবিৎষত অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। সমাজিক দায়বদ্ধতা, রাজনৈতিক প্রতিহিংসা ও অভিবাবকদের বেখায়ালীই এই ঘটনার জন্য দায়ী বলে সচেতন মহল মনে করেন।
শাকিল আহমেদ