Monday, May 6বাংলারবার্তা২১-banglarbarta21
Shadow

পেঁয়াজ আমদানীতে ১৫ সিন্ডিকিটের তালিকা প্রকাশ খাতুনগঞ্জ ও রিয়াজুদ্দিন বাজারে অভিযান

বার্তা প্রতিনিধি: পিয়াজের দাম স্থিতিশীল রাখতে গতকাল বেলা ১২ টা থেকে দুপুর ২ টা পর্যন্ত বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধি উপ-সচিব জনাব সেলিম হোসেন চট্টগ্রামের খাতুনগঞ্জ, চাক্তাই ও রিয়াজুদ্দিন বাজার পরিদর্শন করেন। এসময় জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) জনাব মোঃ তৌহিদুল ইসলাম মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করেন। ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে এবং বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের যৌথ অনুসন্ধানে উঠে আসে যে, মিয়ানমার থেকে আমদানিকৃত পেঁয়াজের দামের কারসাজিতে যুক্ত ১২-১৫ জনের একটি সিন্ডিকেট। এই সিন্ডিকেটে যুক্ত আছেঃ টেকনাফ বন্দর, টেকনাফ উপজেলা, কক্সবাজার সদর এবং চট্টগ্রামের খাতুনগঞ্জ ভিত্তিক পেঁয়াজ আমদানিকারক, সিএন্ডএফ, আড়তদাররা। অনুসন্ধানে উঠে আসা এসব সিন্ডিকেটের তালিকা:
১. সজিব (আমদানিকারক)- Mobile: +8801404763792, টেকনাফ, কক্সবাজার।
২. মম (মগ) ( আমদানিকারক)- +8801979751364, টেকনাফ, কক্সবাজার।
৩. ফোরকান (পেয়াজ বিক্রেতা) – +8801978674361, টেকনাফ, কক্সবাজার।
৪. জহির ( আমদানিকারক)- +8801999905692, টেকনাফ, কক্সবাজার।
৫. সাদ্দাম(আমদানিকারক)- +88001975101326, টেকনাফ, কক্সবাজার।
৬. কাদের ( C&F Agent): +8801973677939, টেকনাফ স্থল বন্দর, কক্সবাজার।
৭. শফি ( পেঁয়াজ দালাল/ব্রোকার)- +8801966172472,টেকনাফ, কক্সবাজার।
৮. গফুর ( বিক্রেতা)- +8801301042779, টেকনাফ, কক্সবাজার।
৯. মিন্টু ( বিক্রেতা)- +8801409092945,টেকনাফ, কক্সবাজার।
১০. খালেক (বিক্রেতা)- +8801907704141,টেকনাফ, কক্সবাজার।
১১. টিপু (বিক্রেতা)- +8801968153590,টেকনাফ, কক্সবাজার।
১২. মেসার্স আজমীর ভান্ডার, মোবাঃ +8801971609925. ১০৯, খাতুনগঞ্জ, চট্টগ্রাম।
১৩.মেসার্স সৌরভ এন্টারপ্রাইজ, নুপুর মার্কেট, ৮৬, স্টেশন রোড, চট্টগ্রাম।
১৪. এ হোসেন ব্রাদার্স, ১২৯/১৮; খাজা দস্তগীর ম্যানশন, নীচ তলা, ঘোষাল কোয়ার্টার, চট্টগ্রাম।
১৪. মেসার্স আলীফ এন্টারপ্রাইজ, জেসি হাউজ, কে কে পাড়া, টেকনাফ, কক্সবাজার।
১৫. মেসার্স আল্লার দান স্টোর, খাতুনগঞ্জ, চট্টগ্রাম।

উপরোক্ত পেঁয়াজ আমদানিকারক, সিএন্ডএফ এজেন্ট, কক্সবাজার ও চট্টগ্রামস্থ কমিশন এজেন্ট এবং আড়তদারদের যোগসাজশে মিয়ানমার থেকে ৪২ টাকা দরে আমদানীকৃত পেঁয়াজ পাইকারী বাজার পর্যায়ে ৯০ থেকে ১১০ টাকা দরে বিক্রি করতে বাধ্য করছে। জেলা প্রশাসন,চট্টগ্রামের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট কর্তৃক পরিচালিত ভ্রাম্যমাণ আদালতের নিকট এসব সিন্ডিকেটের তথ্য দেন খাতুনগঞ্জস্থ ব্যবসায়ী সূত্র।

আজ চট্টগ্রামে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় হতে আগত প্রতিনিধি জনাব সেলিম হোসেন, উপসচিব কর্তৃক জেলা প্রশাসন, কক্সবাজারের নিকট উপরোক্ত সিন্ডিকেটের তালিকা আজ বেলা ১২.০০টার দিকে প্রেরণ করা হয়েছে। কক্সবাজার জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে কক্সবাজারের টেকনাফ ভিত্তিক উপরোক্ত সিন্ডিকেট ভাঙ্গতে অভিযান পরিচালিত হচ্ছে।

আজ ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার সময় বারবার সতর্ক করা সত্ত্বেও মাত্রাতিরিক্ত দামে মিয়ানমারের পেয়াজ বিক্রি করার দায়ে খাতুনগঞ্জের গ্রামীণ বাণিজ্যালয় কে ৫০ হাজার টাকা এবং রিয়াজুদ্দিন বাজারের রুহুল আমিন সওদাগর কে ২০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়।

অভিযান শেষে মিয়ানমার থেকে আগত পেয়াজের আমদানি মূল্য কেজি প্রতি ৪২ টাকা হওয়ায় পরিবহন খরচ, শ্রমিক খরচ, মুনাফা ও বিবিধ খরচ সব কিছু বিবেচনায় নিয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধি জনাব সেলিম হোসেন,উপ-সচিব খাতুনগঞ্জ ও রিয়াজুদ্দিন বাজারে পাইকারি পর্যায়ে মিয়ানমারের পেয়াজের দাম ৫৫-৬০ টাকা দরে এবং খুচরা পর্যায়ে ৬৫-৭০ টাকা দরে বিক্রি করার নির্দেশনা দেন। আজকের অভিযানে ভোক্তা অধিকার অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক শাহিদা ফাতেমা চৌধুরী, র‍্যাব-৭, এপিবিএন,চট্টগ্রাম, সিএমপি সদস্যগণ, বাজার পরিদর্শক বিল্লাল হোসেন উপস্থিত ছিলেন। পেয়াজের দাম স্থিতিশীল রাখতে আগামীতে ও এসব অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানান কর্মকর্তারা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *