Friday, May 17বাংলারবার্তা২১-banglarbarta21
Shadow

পপুলার লাইফ ইনস্যুরেন্স এর চট্টগ্রামের তাকাফুল ইনস্যুরেন্সের প্রায় ৩ কোটি টাকা আত্নসাৎ ও থানার জাল ডায়েরী করে দলিল ও জাল পাশ বই করার অভিযোগ

পপুলার লাইফ ইনস্যুরেন্স কোম্পানী লিমিটেড এর চট্টগ্রাম বিভাগীয় কার্যালয়ের বেশকিছু অনিয়মের সাথে আরো প্রায় ৩ কোটি টাকা আতœসাতের অভিযোগ পাওয়া গেছে। গোপন সূত্রে জানা গেছে গ্রাহকদের টাকা আতœসাত, প্রিমিয়াম দুর্নিতি ক্ষমতাবলে কর্মকর্তাদের টাকা আতœসাত করে উর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও ইনডোরের কর্মকর্তারা এসব টাকা হাতিয়ে নেয়া সহ জালজালিয়াতির সাথে জড়িত। জানা গেছে উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের একতরফা আধিপত্ত বিস্তার করে নিজের ইচ্ছামত দুর্নিতি করে কোটি কোটি টাকা এই কোম্পানী থেকে হাতিয়ে নিতেছেন। উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের ও ইনডোর কর্মকর্তাদের এসব দুর্নিতির মধ্যে রয়েছে যেসব কর্মকর্তার সাথে তাদের মিল না হয় তাকে কৌশলে পপুলার থেকে বিদায় নিতে বাধ্য করে পরে তাদের আনিত প্রিমিয়াম এর কোম্পানী কর্তৃক কমিশন তিনি নিজে নিয়ে যান। পূর্বে প্রায় ১৪ জন কর্মকর্তাকে এভাবে বিদায় করে তাদের কমিশন উর্ধ্বতন কর্মকর্তাতাদের কয়েকটি ডেমি এজেন্ট ও ইউএমএবং নিজের নামে একটি বিএম কোড ব্যবহার করে এসব অর্থ হাতিয়ে নেন। জানা গেছে এপর্যন্ত অনেক কর্মকর্তাকে বেশ কয়েকবার দেশের বিভিন্ন জায়গা ও প্রধান কার্যালয়ে বদলী করা হলেও ঐসব কর্মকর্তারা তাদের ক্ষমতা দেখিয়ে ও পপুলারের এমডির হাতেপায়ে ধরে তাদের জায়গাতেই বহাল তবিয়তেই আছেন। তাদের নামে অভিযোগ আছে যে, একজন গ্রাহকের ৩টি পলিসি থাকায় তার ক্ষমতাবলে স্যারেন্ডার করে সেই টাকাগুলো আতœসাৎ করেন। জানা গেছে গ্রাহক বিদেশে থাকায় একজন উর্ধ্বতন কর্মকর্তা ব্যাংকে অন্যছবি দিয়ে একাউন্ট খুলে প্রায় ২৬৭,০০০ (দুই লক্ষ সাতষট্টি) হাজার টাকা আতœসাৎ এর অভিযোগ পাওয়া গেছে।এছাড়াও যেসব অধিক বয়স্ক লোকের যাদের বীমা হবেনা তাদের বয়স কমিয়ে ডপ্লি¬কেট বয়স প্রমান করিয়েবীমা করিয়েছেন বেশ কয়েকটি। তার মধ্যে উল্যেখ যোগ্য ২০১১ সালে একজনের মূল বয়স ৬৮ হলেও তার বয়স ৪৫ বছর করে ১৫ লক্ষ টাকার একটি করান। আবার ২০১৮ সালে হালিমা বেগম নামে এক বৃদ্ধ মহিলাকে একটি বীমা করান তার মূল বয়স ৭৫ হলেও ইসলামী বীমা তাকাফুল প্রকল্পের অবলিখন কর্মকর্তা তার বয়স ৪৮ বানিয়ে তাকে ৪ লক্ষ টাকার একটি পলিসি করান। এছাড়াও অবলিখন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অসংখ্য কারচুপির অভিযোগ পাওয়া গেছে। জানা গেছে কোন গ্রাহকের ডিপিএস পাস বই হারিয়ে গেলে কোম্পানীর নিয়ম তিনশত টাকার নন জুডিশিয়াল ষ্টাম্প, থানার ডায়েরী, সার্ভিস চার্জ ও বীমা ষ্টাম্প ফি দেওয়ার কথা থাকলেও তার কোন নিয়মনিতীর তোয়াক্কা না করে সার্ভিস সেলের অবলিখন কর্মকর্তা সে সার্ভিস সেল থেকে বই ইস্যু করে দেন। কোন নিয়ম না মেনেই বইটি সার্ভিস সেল থেকে ইস্যু করা হয়। যা সরকার ও কোম্পানীর আইন বহির্ভূত। এছাড়া তিনি অনেক থানার সীল বানিয়ে ডপ্লিকেট জিডি করা সহ এমন আরো অসংখ্য অভিযোগ পাওয়া গেছে। আরো জানা গেছে ২০১৭ সালে এই অবলিখন কর্মকর্তা নিজের বউয়ের নামে ইসলামী ব্যাংকে একটি একাউন্ট খুলে কোন এক গ্রাহকের প্রায় ৩৪ হাজার টাকা আতœসাৎ করেন। এসব দুর্ণিতি এবং তার প্রমান মিলবে প্রধান কার্যালয়ে যেসব ডপ্লিকেট দলিল ও পাশ বইয়ের জন্য দেয়া আছে সেই ডায়েরীগুলো দেখলেই। এছাড়া তাকাফুলের মেয়াদউর্ত্তির্ণ পাশবই দেখলেই বুঝা যাবে কারচুপির তথ্য এমনি জানিয়েছেন কোন কোন কর্মকর্তা। উল্যেখ্য বিষয়গুলো খতিয়ে দেখে তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহনের দাবি অনেকের। চট্টগ্রাম সার্ভিস সেল ঘুরে দেখা গেছে আগের মত তেমন কোন গ্রাহক নেই। যারা আসেন তাদের শুধু অভিযোগ। কিছু দর্নিতিবাজদের কারনে এই সব অর্থলগ্নি প্রতিষ্ঠান ধংশ হয়ে যাওয়ার আশংকা করেছেন অনেকেই। সরকার বাংলাদেশে বীমা নিয়ন্ত্র অধিদপ্তর গঠন করলেও এইসব বিষয়ে তাদের কোন তদারকি নাই বললেও চলে। তাই সাধারন গ্রাহকদের মতে একজন উর্ধ্বতন কর্মকর্তা যদি ১০/১২ বছর একস্থানে বসে থাকেন তাহলে দুর্নিতি কমবেনা বরং বাড়বে। পপুলার লাইফের চট্টগ্রাম বিভাগীয় কার্যালয় ঘুরে আরো দেখা গেছে ইনডোরে অনেক চেয়ারই খালি, পিয়ন সহ একদুজন লোক মাত্র। এক সময় অনেক জাকজমক ছিল এই সার্ভিস সেল বললেন বেশ কয়েকজন। জানা গেছে ইনডোর কর্মকর্তাদের অল্প বেতন হওয়ায় বিগত চার বছরেও তাদের কোন বেতন না বাড়ায় অনেক ইনডোর কর্মকর্তা চলে গেছেন। তাই এই বিষয়ে কোম্পানী ও বীমা নিয়ন্ত্রন কর্তৃপক্ষ জোরালো ভাবে দেখার জন্য অনেক গ্রাহক অনুরোধ করেন। আসা করি কোম্পানী ও সরকার কর্তৃক গঠনকৃত অধিদপ্তর বীমা নিয়ন্ত্রন কর্তৃপক্ষ এই সব বিষয়ে খোজখবর নিয়ে জোরালো পদক্ষেপ নিবেন। চলবে

চট্টগ্রাম প্রতিনিধি

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *