এটিই প্রথম চট্টগ্রামে করোনা রোগী শনাক্তের ঘটনা। চট্টগ্রাম সিভিল সার্জন ড. ফজলে রাব্বি মিয়াও এলাকাটি পরিদর্ষন করেছেন।
এদিকে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের চট্টগ্রাম বিভাগীয় পরিচালক ডা. হাসান শাহরিায়ার কবির জানান, চট্টগ্রামে একজন করোনা আক্রান্ত রোগী পাওয়া গেছে। তার বয়স ৬৭ বছর। চট্টগ্রাম নগরীর দামপাড়া এলাকায় তার বাসা। করোনা শনাক্ত হওয়ার পর তিনি যে বাসায় থাকেন, সেখানে পুরো ভবন লকডাউন করার জন্য পুলিশকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মামুন আহমেদ অনিক জানান, চিকিৎসা বিভাগ থেকে নির্দেশনা আসছে ওই বাসা লগডাউন করার জন্য। তাই লগডাউন করা হচ্ছে। কিন্তু তার আশেপাশের আর কোন বাসা লকডাউন করা হবেকিনা সে ব্যাপারে কোন তথ্য এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. অসীম কুমার নাথ জানান, জ্বর, শ্বাসকষ্ট, ব্রঙ্কাইটিসের উপসর্গ নিয়ে ওই রোগী বৃহস্পতিবার (১ এপ্রিল) হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। তাকে শুরু থেকেই আইসোলেশনে রাখা হয়েছে। তাকে পর্যাপ্ত চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। তবে কীভাবে তিনি করোনা আক্রান্ত হয়েছেন, সেই তথ্য এখনো পাওয়া যায়নি। তবে এক সূত্রে জানা গেছে গত মাসে তার পরিবারের দুজন সদস্য ওমরা করে এসেছিলেন।
বিআইটিআইডি’র ল্যাব ইনচার্জ ডা. শাকিল আহমেদ বলেন, আমরা ৩১ জনের নমুনা পরীক্ষা করেছি। এখানে শুধুমাত্র একজন পজিটিভ। বিআইটিআইডিতে এ পর্যন্ত ৮৭ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। সেখানে প্রথমবারের মতো একজন করোনা রোগী পাওয়া গেলো।
এর আগে কক্সবাজারের বাসিন্দা এক রোগীর শরীরে করোনা ভাইরাসের অস্তিত্ব পাওয়া গিয়েছিলো। ওই রোগী চট্টগ্রাম নগরীতে একদিন অবস্থান করেছিলেন। তখন চট্টগ্রাম নগরীর চান্দগাঁও ও বাকলিয়ায় দুটি ভবন লকডাউন করা হয়েছিল। গত ২৬ মার্চ থেকে চট্টগ্রামে করোনা পরীক্ষা করা হচ্ছে।
এদিকে