বার্তা প্রতিনিধি: উপজেলা নির্বাচনের পর গত দু’দিন ধরে সারাদেশে তোলপাড় চলছে নবনির্বাচিত আলীকদম উপজেলা চেয়ারম্যান আবুল কালামকে নিয়ে। সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে গিয়ে এক আদিবাসী ম্রো তরুণীকে জড়িয়ে ধরে অশোভন আচরণ করেন তিনি। এই ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়লে সমালোচনার জন্ম দেয়। এই ছবি ছড়িয়ে পড়ায় ম্রো সম্প্রদায়সহ আদিবাসী নেতারা বিব্রত বোধ করছেন।
এদিকে সোমবার আলীকদমের মিরিনচর এলাকায় সংবাদ সম্মেলন করেছেন ভুক্তভোগী তরুণীসহ তার স্বজনেরা। ম্রো তরুণী ও তার ভাই বলেন, চেয়ারম্যানের বিষয়টি নিয়ে অতিরঞ্জিত করা হয়েছে। সেদিনের ঘটনায় অশালীন কিছু ঘটেনি। এটাকে (জড়িয়ে ধরা) অন্যভাবে ভাবার সুযোগ নেই।
গত শুক্রবার আলীকদম উপজেলার নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান আবুল কালামকে নোয়াপাড়া ইউনিয়নের মিরিনচর এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়। সেখানে ফুলের মালা দিয়ে বরণ করার সময় চেয়ারম্যান আবুল কালাম এক ম্রো তরুণীকে জড়িয়ে ধরেন। পরে এই ছবি ফেসবুকে ছেড়ে দিলে তা ভাইরাল হয়ে পড়ে।
তবে চেয়ারম্যানের এমন আচরণ এবং ছবি ছড়িয়ে পড়ায় বিব্রত বোধ করেছেন ম্রো নেতারা। একই সঙ্গে চেয়ারম্যান আবুল কালামের এমন অশালীন আচরণেও তারা ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। তাদের দাবি, আবুল কালাম আদিবাসী নারীদের প্রতি অসৌজন্যমূলক আচরণ করেছেন। পাহাড়ের নারীদের সম্মানহানি করেছেন।
ম্রো নেতা ও জেলা পরিষদ সদস্য সিং ইয়ং ম্রো বলেন, উপজেলা চেয়ারম্যান যে কাজ করেছেন তা ক্ষমার অযোগ্য। পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির নেতা কাইনথপ ম্রো বলেন, সংবর্ধনার নামে এমন কুরুচিপূর্ণ চর্চা বন্ধ করা হোক। এমন আচরণ একজন নেতার কাছ থেকে আশা করা যায় না।
এসময় সংবাদ সম্মেলনে ভুক্তভোগী তরুণী বলেন, চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে আমার কোনো অভিযোগ নেই। কী কারণে এত আলোচনা হচ্ছে, আমি জানি না। এ ব্যাপারে আবুল কালাম বলেন, আমার খারাপ উদ্দেশ্য থাকলে এমন আচরণ করতাম না। আর যে ছবি ভাইরাল হয়েছে, সেই ছবি তো আমিই ফেসবুকে দিয়েছি। খারাপ উদ্দেশ্য থাকলে তো ছবিটি ফেসবুকে দিতাম না। এখানকার আদিবাসীদের প্রতি আমার অগাধ ভালোবাসা রয়েছে। তারাও আমাকে ভালোবেসে প্রতিবার ভোট দিয়ে জয়ী করে।
সূত্র: মানবকণ্ঠ