Tuesday, March 19বাংলারবার্তা২১-banglarbarta21
Shadow

আইনের অপব্যবহার করা ইনস্পেক্টর সালামত এখনো বহাল তবিয়তে উর্ধ্বতনদের নাকের ডগায় এসব কি?

চট্টগ্রাম নিরাপত্তা জেনারেল শাখার ইনস্পেক্টর সালামতের বিরুদ্ধে গত কয়েকদিনে বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় ও অনলিইনে খবর প্রকাশিত হওয়ার পরও উর্ধ্বতনদের কোন টনক নড়ছেনা। খবর প্রকাশিত হওয়ার আগে ও পরে রেলওয়ে চীফ কমান্ডেন্ট ও জিএমকে ফোনে না পাওয়ায় হোয়াসআপে তাদের জানানো হলেও এনিয়ে ইনস্পেক্টর সালামতের বিরুদ্ধে কোন পদক্ষেপ নিতে দেখা যায়নি। শুধু কমান্ডেন্ট তাকে একটি কারন দর্শৃানো নোটিশ দিলেও তা যে কোন কারনে টেবিলের নীছে ছাপা পড়ে গেছে। তার বিরুদ্ধে যে সব অভিযোগ তার মধ্যে তিনি ক্ষমতার অপব্যবহার করে বেশ কয়েকজন নিরাপত্তা কর্মীকে (জেনারেল শাখার) ডিউটি ছাড়া স্বল্প টাকার বিনিময়ে তাদের বেতন পাইয়ে দেন।

আরো পড়ুন আরএরবি ইনস্পেক্টর সালামতের দুর্ণিতি যেন কমছেইনা এত ক্ষমতার জোর কোথায়?

এছাড়াও তিনি বিভিন্ন সময় চট্টগ্রামের বেশকিছু রিক্সার গেরেজে, ষ্টিলের আলমারীর দোকান, বিভিন্ন ডকইয়ার্ডে, অভিযান পরিচালনা করেন।তার সঙ্গি হিসেবে থাকেন এসআই জমিম ও র্সোস কাশেম। এছাড়া তিনি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে রেলের বিট পাওয়ার পর তাদের বিরুদ্ধে সমন জারী করার পর আইনের কোন তোয়াক্কা না করেই আদালতের আদেশ ছাড়াই তিনি সেই সমন জারী থেকে অব্যহতি দেন যা আইনের পরিপন্থি। তার বিরুদ্ধে যেসব প্রতিষ্ঠান অভিযোগ করেন তা হল বাঁশখালী মগনাঘাট ডক ইয়ার্ড, নাপোড়া চেয়ারম্যান ঘাটা রেজাউল করিমের ডক ইয়ার্ড এবং কালুরঘার জাফর সাহেবের ডক ইয়ার্ড ও চন্দনাইশের ব্যবসায়ীরা। এছাড়া তিনি চট্টগ্রাম সিটির মুরাদপুর, ষোলশহর, বহদ্দারহাট, বায়েজিদ, সীতাকুন্ড, পাহাড়তলী, অলংকার, ফৌজদারহাট, কদমতলী, মুগলটুলি, আগ্রাবাদ, বড়পোল, ইপিজেড সহ বিভিন্ন এলাকায় রিক্সার গেরেজ, ষ্টিলের আলমারীর দোকান, কামারের দোকান ও বিভিন্ন লোহার দোকানে অভিযানা চালায়। এছাড়া গত বছর বায়েজীদে একটি ষ্টিলমিলে অভিযান পরিচালনার সময় সরকারী কোন কাগজপত্র বা মন্ত্রনালয়ের কোন অর্ডার দেখাতে না পারায় ইনস্পেক্টর সালামতকে কয়েক ঘন্টা আটকে রাখা হয়, পরে মোচলেকা দিয়ে সেখান থেকে ছাড়া পায়।এসব রেলওয়ের মানহানীর আওতায় পড়েনা মনে হয়।

আরো পড়ুন চট্টগ্রাম আরএনবির ওসি সালামতের দুর্ণিতি ও ক্ষমতার অপব্যবহার করে বিভিন্ন অভিযানের নামে চাঁদাবাজি

এছাড়া তিনি জামায়াত বিএনপির একজন এজেন্ডা হিসেবে কাজ করেন বলেও প্রমান পাওয়া গেছে।
নাম না বলা একাধিক কর্মকর্তা জানান কোন ওয়াকশপে, গ্যারেজে বা কোন দোকানে বা ষ্টান্ডিজে কোন বিট পাওয়া গেলে রেলওয়ের সম্পাত্তির অবৈধ দখল উদ্ধার আইন ২০১৬ এর ৪,৫,ও ১০ নং ধারায় মামলা করার বিধান রয়েছে। আর এটি নিস্পত্তি একমাত্র আদালতের এখতেয়ারে চলে যায়। কিন্তু চট্টগ্রাম জেনারেলের নিরাপত্তা বাহিনির অফিসার ইনচার্জ ইনস্পেক্টর সালামত কিভাবে অবৈধভাবে রেলবিট পাওয়ার পরও তাদের বিরুদ্ধে সমন জারী করে আবার তিনিই তা নিস্পত্তি করে সমন থেকে অব্যহতি দেন।

এছাড়া বিভিন্ন পত্রিকায় খবর প্রকাশিত হওয়ার পর ইনস্পেক্টর সালামত আরো বেপরোয়া হয়ে উঠে। তিনি রেলপথ মন্ত্রনালয় ও রেলের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নাম ভাঙ্গিয়ে দুর্নিতি, আইন অমান্য ও ক্ষমতার অপব্যবহারে বহাল তবিয়তে রয়েছেন বলে জানা গেছে।

বিশ্বস্থসূত্রে জানা গেছে ইনস্পেক্টর সালামতের বিরুদ্ধে বিভিন্ন পত্রিকায় তার দুর্ণিতি ও ক্ষমতার অপব্যবহারের খবর প্রকাশিত হওয়ার পর তার বিরুদ্ধে যে সকল অভিযোগ উঠেছে তা উর্ধ্বতনদের থেকে আড়াল করার জন্য অস্ত্র শাখার মত গুরুত্বপূর্ণ সার্কেলে যাওয়ার জন্য উপর মহলে দর কষাকষি আরম্ভ করছে যা শাক দিয়ে মাছ ডাকার মত।
এছাড়া বিশ্বস্থ্য সুত্রে জানা গেছে রেলওয়ের টিকেট কালোবাজারীর মোটা অংকের ভাগ পান তিনি যার কারনে রেলওয়ের টিকিট কালোবাজারী থামছেই না। এছাড়াও নতুন ষ্টেশন থেকে পাবলিক ফ্লাটফর্মে যাওয়ার সময় রেলওয়ের নিরপত্তা প্রহরী ও দায়িত্ববান টিটি থাকেন সেখানে টিকিট ছাড়া অনেককে টাকার বিনিময়ে ডুকতে দেওয়া হচ্ছে যা ইনস্পেক্টর সালামতের অনুমতি সাপেক্ষে। এদিকে জেনারেল শাখার বিভিন্ন কর্মকর্র্তারা অভিযোগ করেন যার সাথে তার ভাল সম্পর্র্ক তাদের তিনি ছাড় দেন আর অন্যদের কোনঠাশা করে রাখেন। এহেন প্ররিস্থিতিতে ইনস্পেক্টর সালামতের বিরুদ্ধে অভিযোগগুলো আরো খতিয়ে দেখার জন্য উর্ধ্বতন মহলের প্রতি সংশ্লিষ্টরা অনুরোধ জানান।
আরো কিছু তথ্য প্রমান থাকছে পরবর্তী খবরে…..

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *