Friday, April 19বাংলারবার্তা২১-banglarbarta21
Shadow

আরএরবি ইনস্পেক্টর সালামতের দুর্ণিতি যেন কমছেইনা এত ক্ষমতার জোর কোথায়?

দুর্নিতি এবং ক্ষমতা এখন যেন সালামীতে পরিনত হয়েছে। চট্টগ্রাম রেলওয়ের নিরাপত্তা বাহিনির (জেনারেল) ইনস্পেক্টর সালামতের দুর্নিতি যেন কমছেইনা। গত সপ্তাহে বিভিন্ন পত্রিকায় তার দুর্নিতির বিরুদ্ধে খবর প্রকাশিত হয়। ঐ খবরটি ছাপা হওয়ার পর চট্টগ্রাম রেলওয়ের চীপ কমান্ডেন্টকে বারবার ফোন দিলেও তাকে পাওয়া যায়নি এমনকি রিপোটার কর্তৃক তাকে একটি মেসেজও দেওয়া হয়েছিল তারও কোন উত্তর তিনি দেননি। এছাড়া বিভিন্ন পত্রিকায় খরব ছাপানোর পর কমান্ডেন্ট অফিসার ইনস্পেক্টর সালামতকে একটি কারন দর্শানো নোটিশও প্রদান করেন কিন্তু তার কোন কার্যকারিতা এই পর্যন্ত দেখা যায়নি। বিশ্বস্থ সূত্রে জানা যায় কমান্ডেন্ট অফিসার তার বিরুদ্ধে কারন দর্শানো নোটিশ জারী করার পর হয়তো কোন লেনদেন করার কারনে সেই কারন দর্শানো নোটিশ চাপায় পড়ে, যায় কারন এই পর্যন্ত নোটিশের কোন অগ্রগতি দেখা যায়নি। এহেন পরিস্থিতিতে ভূক্তভোগীরা হতাশায় ভুগছেন।
এছাড়া গত ২২শে মে দৈনিক সাঙ্গু পত্রিকায় খবর প্রকাশিত হওয়ার পর তিনি ”প্রকাশিত সংবাদের একটি প্রতিবাদ” দেন, সেখানে তিনি উল্যেখ করেন তিনি এনআরবি পাহাড়তলী স্টোর্স সার্কেলে দায়িত্বে থাকাকালিন রেলওয়ে সম্পদ রক্ষায় কঠোন মনোভাব দেখানোর কারনে কিছু অসাধু সুবিধাভোগী শ্রেনীর লোক তার বিরুদ্ধে কর্তৃপক্ষের নিকট বেনামী অভিযোগ দাখিল করিয়াছে যা বর্তমান খবরটির সাথে কোনভাবেই সামনজস্ব নয়। বর্তমান খবরটি এনআরবি জেনারেল শাখায় দায়িত্ব চলাকালিন দুর্নিতি ও ক্ষমতা অপব্যবহারের অভিযোগ। তিনি রেলওয়ের সম্পদ রক্ষায় কঠোর মনোভাব নিয়ে কাজ করার কারনে রেলের কিছু অসাধু সুবিধাভোগী তার বিরুদ্ধে কর্তৃপক্ষের নিকট বেনামী অভিযোগ দাখিল করিয়াছে তার এই কথাটি সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন ও মিথ্যা। কারন সে এই পর্যন্ত বহুজনকে সমন জারী করার পরও তাদের বিরুদ্ধে কোন আইনি পদক্ষেপ নেইনি এবং উপযুক্ত প্রমান পাওয়ার পরও কোন মামলা ছাড়া তিনি নিজেই ক্ষমতার অপব্যবহার করে সমন জারী থেকে অব্যহতি দেন এটা কি বে-আইনি নয় ? এছাড়া ইনস্পেক্টর সালামত প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদে আরো বলেন তিনি আইনি পদক্ষেপ গ্রহন করায় প্রাথমিকভাবে আবহ সৃষ্টি করে সুশিল সমাজ ও সাংবাদিকদের ক্ষেপিয়ে তোলার চেষ্টা করেন তার এই কথাগুলো সম্পূর্ণ আক্রোশজনিত ও ঈশান্নিত।
এছাড়া বিভিন্ন পত্রিকায় খবর প্রকাশিত হওয়ার পর ইনস্পেক্টর সালামত আরো বেপরোয়া হয়ে উঠে। তিনি রেলপথ মন্ত্রনালয় ও রেলের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নাম ভাঙ্গিয়ে দুর্নিতি, আইন অমান্য ও ক্ষমতার অপব্যবহারে বহাল তবিয়তে রয়েছেন বলে জানা গেছে।
এছাড়া পত্রিকায় খবর ছাপানোর পর এই প্রতিবেদক আবারো সত্যতার জন্য বেশ কয়েকটি স্থানে যায় সেখানে সব কয়টিরই সত্যতা পাওয়া গেছে। যার সব কয়িটিরই সঠিক প্রমান রয়েছে। এছাড়া পত্রিকায় খবর প্রকাশিত হওয়ার তিনি প্রায় জনকে লোক মারফত খবর দেন যেন তার বিরুদ্ধে কেহ কোন প্রকার অভিযোগ নাদেয় এবং তাদেরকে ভয়ভিতিও দেখান। কারন কোন ওয়াকশপে, গ্যারেজে বা কোন দোকানে বা ষ্টান্ডিজে কোন বিট পাওয়া গেলে রেলওয়ের সম্পত্তির অবৈধ দখল উদ্ধার আইন ২০১৬ এর ৪,৫,ও ১০ নং ধারায় মামলা করার বিধান রয়েছে। আর এটি নিস্পত্তি একমাত্র আদালতের এখতেয়ারে চলে যায়। কিন্তু তিনি তার কিছুই তোয়াক্কা করেননি। তিনি নিজেই আদালত বনে অব্যহতি দেন।
এছাড়া বিশ্বস্থসূত্রে জানা গেছে ইনস্পেক্টর সালামতের বিরুদ্ধে বিভিন্ন পত্রিকায় তার দুর্ণিতি ও ক্ষমতার অপব্যবহারের খবর প্রকাশিত হওয়ার পর তার বিরুদ্ধে যে সকল অভিযোগ উঠেছে তা উর্ধ্বতনদের থেকে আড়াল করার জন্য তিনি অস্ত্র শাখার মত গুরুত্বপূর্ণ সার্কেলে যাওয়ার জন্য উপর মহলে দর কষাকষি আরম্ভ করছে। এমতাবস্থায় এমন একজন দুর্ণিতিবাজ কালোবাজারী ও ক্ষমতার অপব্যবহারকারী যদি অস্ত্র শাখায় স্থানান্তর হয় তাহলে সে দেশের জন্য কতটা দুর্ণিতিমুক্ত কাজ করবে তা দেখার বিষয়।
কর্তৃপক্ষ একজন দক্ষ ব্যক্তিকে সঠিক স্থানে বসায় দেশের উন্নতির জন্য, কিন্তু সেই রক্ষক যখন ভক্ষক হয় তখন কর্তৃপক্ষও তার অন্যায় ও দুর্নিতিকে বাহবা দিচ্ছে। এখানে কি টাকা কাজ করে নাকি তেলমারা জানতে চায় ভুক্তভোগীরা।
উল্লেখ্যে যে, চট্টগ্রাম রেলওয়ের নিরাপত্তা বাহিনির (জেনারেল) ইনস্পেক্টর সালামতের দুর্নিতি ও ক্ষমতার অপব্যবহারের সকল তথ্য প্রমান সহ কয়েকটি খবর প্রকাশিত হওয়ার পরও কর্তৃপক্ষের টনক নড়েনি। যা সুশিল সমাজকে ভাবিয়ে তুলছে।
আগামী খবরে থাকছে তার অঢেল সম্পদ ও কালোবাজারী…..

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *