বার্তা প্রতিনিধি: সাবেক সফল রাষ্টনায়ক ও জাতীয় পার্টির সাবেক চেয়ারম্যান জাতীয় সংসদের সাবেক বিরোধীদলিয় নেতা আলহাজ্ব হোসা্ইন মো: এরশাদ মারা যাওয়ার পর জাতীয় সংসদের বিরোধীদলীয় নেতা হিসেবে জাতীয় পার্টির কো-চেয়ারম্যান রওশন এরশাদ ও উপনেতা হিসেবে দলের চেয়ারম্যান জিএম কাদেরকে স্বীকৃতি দিয়েছেন স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী।
গত সোমবার এ বিষয়ে সংসদ সচিবালয় থেকে জারি করা প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, সংসদীয় দলের নেতা রওশন এরশাদকে (ময়মনসিংহ-৪) জাতীয় সংসদের কার্যপ্রণালি বিধি অনুযায়ী বিরোধীদলীয় নেতা এবং উপনেতা (পারিতোষিক ও বিশেষাধিকার) অধ্যাদেশ মোতাবেক (লালমনিরহাট-৩) গোলাম মোহাম্মদ (জিএম) কাদেরকে বিরোধীদলীয় উপনেতা হিসেবে স্পিকার স্বীকৃতি দিয়েছেন। আইন অনুযায়ী বিরোধীদলীয় নেতা মন্ত্রী ও উপনেতা প্রতিমন্ত্রীর মর্যাদা ভোগ করেন।
তবে এর আগে রোববার বিকালে জাতীয় পার্টির একটি প্রতিনিধি দল সংসদ ভবনে স্পিকারের কার্যালয়ে দেখা করে। সে সময় সংসদের বিরোধীদলীয় নেতা হিসেবে রওশন এরশাদের নাম প্রস্তাব করে স্পিকারের কাছে দলটির পক্ষ থেকে চিঠি দেয়া হয়।
গতকাল সোমবার রাতে অধিবেশন শেষে হলে জিএম কাদেরের নেতৃত্বে আরেকটি প্রতিনিধি দল স্পিকারের সঙ্গে দেখা করে রওশন এরশাদকে বিরোধীদলীয় নেতা এবং জিএম কাদেরকে বিরোধীদলীয় উপনেতা করার প্রস্তাবটি স্পিকারকে জানিয়ে আসে।
সাবেক রাষ্ট্রপতি ও জাতীয় পার্টির প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের মৃত্যুতে বিরোধীদলীয় নেতার পদটি শূন্য হয়। এ পদে নিয়োগ নিয়ে রওশন ও জিএম কাদেরপন্থীদের মধ্যে দ্বন্দ্ব সৃষ্টি হয়।
বিরোধী দলেন নেতার পদ শুন্য হলে একপর্যায়ে জিএম কাদের বিরোধীদলীয় নেতার স্বীকৃতি পেতে স্পিকারকে চিঠি দেন। পরদিন রওশন এরশাদ পাল্টা চিঠি দিয়ে ওই চিঠি গ্রহণ না করার জন্য স্পিকারকে অনুরোধ করেন।
তবে এনিয়ে দু’পক্ষের পাল্টাপাল্টি অবস্থানে দল বিভক্তির উপক্রম হয়। পরে দু’পক্ষের প্রতিনিধিরা বৈঠক করে জিএম কাদেরকে পার্টির চেয়ারম্যান ও রওশন এরশাদকে বিরোধীদলীয় নেতা নির্বাচনের মাধ্যমে সমস্যার সুরাহা হয়।
সূত্র: যুগান্তর