Friday, May 17বাংলারবার্তা২১-banglarbarta21
Shadow

যুবলীগ নেতা আনিচ বহিস্কার চেয়ারম্যান ছাড়া প্রেসিডিয়াম সভা অনুষ্ঠিত

বার্তা রিপোটার: আজ বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে যুবলীগের কেন্দীয় কার্যালেয়ে যুবলীগের চেয়াম্যান ছাড়াই যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সভা শেষ হয়েছে। আজ এটি ছিল যুবলীগের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারনী সভা। সভাতে দপ্তর সম্পাদক কাজী আনিচুর রহমানকে যুবলীগ থেকে বহিস্কার করা হয়। বিকেলে বৈঠক শেষে যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য শেখ আতিয়ার রহমান জানান সভা ডাকার অনুমতি দিয়েছেন চেয়ারম্যান। তবে তিনি হয়তো অসুস্থতার কারনে আসেননি সে বিষয়ে আমরা নিশ্চিত নই।

এদিকে প্রেসিডিয়াম সদস্য এবিএম আমজাদ হোসেন বলেন কাজী আনিচের কথা পত্রিকায় পাওয়ার প্রেসিডিয়াম বৈঠকে তাকে বহিস্কারের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।

বৈঠক সূত্র জানায়, আজকের এ বৈঠকে সভাপতিমণ্ডলীর ২৯ সদস্যের মধ্যে ১৯ জন সদস্য উপস্থিত ছিলেন। বৈঠকে যুবলীগের ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ শাখার সম্মেলনের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। তবে সম্মেলনের তারিখ আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার সঙ্গে আলোচনা সাপেক্ষে নির্ধারণ করা হবে বলে একমত পোষণ করেন সভাপতিমণ্ডলীর সদস্যরা।

কেন্দ্রিয় সদস্য মোহাম্মদ আলী মিন্টু বলেন আনিস যুবলীগের নাম বিক্রি করে চাঁদাবাজি ও টেন্ডারবাজি করে বিপুল পরিমান অর্থের মালিক হয়েছেন। জানা যায় যুবলীগের কেন্দ্রীয় অফিসে ২০০৫ সালে তিনি কম্পিউটার অপারেটর হিসেবে কাজ করেন। তিনি কেন্দ্রিয় নেতাদের আস্থাভাজন হওয়ায় ৭ বছর পর যুবলীগের কেন্দ্রীয় দপ্তর সম্পাদক পদ পান। দীর্ঘ দিন যুবলীগের দপ্তরপদে কাজ করায় তার সারা বাংলাদেশে যুবলীগের সব তথ্য মুখস্থ থাকায় তিনি চেয়ারম্যানের আস্থা অর্জন করেন আর পেয়ে যান গুরুত্বপূর্ণ একটি পদও। যা দিয়ে তিনি অডেল টাকা ও গাড়ী বাড়ীর মালিক বনে যান।

জানা যায় যুবলীগ চেয়ারম্যানের খুব ঘনিষ্ট হওয়ায় তিনি ২০১২ সালে এই পদটি পান। তবে তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন চাঁদাবাজি, দরপত্র থেকে কমিশন ও পদ বানিজ্যরে অভিযোগ উঠেছে। এই সব অভিযোগের পর তিনি আত্বগোপন করে আছেন।

সূত্র জানায়, শুক্রবারের সভায় যুবলীগের চেয়ার‌্যমানের বিরুদ্ধে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেন উপস্থিত নেতারা। তারা ওমর ফারুক চৌধুরীর বিরুদ্ধে সংগঠনকে কুক্ষিগত করা, তার একক সিদ্ধান্তে বিভিন্ন শাখা কমিটি ভেঙে দেওয়া ও বিভিন্ন জনকে পদ থেকে বহিষ্কার, নেতাকর্মীদের গালিগালাজ, দাপট খাটিয়ে এককভাবে কমিটি গঠন করার বিরুদ্ধে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেন। সভাপতিমণ্ডলীর সদস্যরা বলেন, যুবলীগের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ উঠেছে। তিনি (ওমর ফারুক) যুবলীগের চেয়ারম্যান থাকতে পারেন না। কিন্তু যেহেতু চেয়ারম্যানকে বহিষ্কার বা অব্যাহতি দেওয়ার এখতিয়ার সভাপতিমণ্ডলীর নেই, তাই বিষয়টি নিয়ে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার সঙ্গে আলোচনা করা হবে। আর সম্মেলনে গুরুতর অভিযোগে অভিযুক্ত কারও সভাপতিত্বে আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অংশ নেবেন না। তাই যুবলীগ চেয়ারম্যান সম্মেলন অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকতে পারবেন না।

আজ শুক্রবার যুবলীগের এই প্রেসিডিয়াম বৈঠকে যারা উপস্থিত ছিলেন তারা হলেন প্রেসিডিয়াম সদস্য আলতাব হোসেন বাচ্চু, শেখ শাসসুল আবেদীন, সিরাজুল ইসলাম মোল্লা, শহীদ সেরনিয়াবাত, মো:আতাউপর রহমান, আব্দুস সাত্তার মাসুদ, মাহবুবুর রহমান রিপন, মো: ফারুক হোসেন, মজিবুর রহমান চৌধুরী, মোহাম্মদ আলী খোকন,আবুল বাশার, এবিএম আমজাদ হোসেন, আ্যাডভোকেট বেলার হোসাইন, সাহজান ভুঁইয়া মাখন, ডা: মোখলেচুর রহমান হিরু, আনোয়ারুর ইসলাম ও শেখ আতিয়ার রহমান দিপু।
শাকিল আহমেদ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *