চট্টগ্রাম প্রতিনিধি: চট্টগ্রাম নগরী থেকে একটু দুরে বাইপাস সড়ক। যে রাস্তাটি সরাসরি বন্দরের সাথে যোগাযোগ। সেই বাইপাস সড়ক দিয়ে যাতায়াত করে অসংখ্য ট্রাক, ট্রলি সহ অন্যান্য মালবাহী গাড়ি। ডপ্লিকেট ডিজেল বিক্রয়কারী আবুল জানান আমরা কমদামে ডিজেল ক্রয় করি তাই কমদামে বিক্রয় করি। বিশ্বস্ত সুত্রে জানা গেছে ভাল ডিজেলের সাথে পোড়া মবিল মিশিয়ে ও অন্যান্য কেমিক্যাল মিশিয়ে এইসব ব্যাবসা করে যাচ্ছে আবুল। গাড়ীর মালিকের বিষদ ক্ষতি করে এইসব প্রতারনার ব্যবসা করে আবুলরা। যেহেতু মালামাল বন্দর থেকে আসে তাই গাড়ীর সাথে পন্যের মালিক বা গাড়ীর মালিক কেউই থাকেন না ফলে গাড়ীর ড্রাইভার বা তার সাথে সংশ্লিষ্টরা সহজেই অন্যায় কাজের সাথে জড়িয়ে পড়তে পারে। এমনি চিত্র দেখা গেছে বাইপাস সড়কে। দেখা গেছে ঢাকা চট্টগ্রাম সড়ক থেকে বাইপাস সড়ক দিয়ে কিছুদুর গেলে রাস্তার দুপাশে অনেকগুলো তেলের দোকান রয়েছে। সরকারী ভাবে এক লিটার ডিজেলের দাম ৬৫ টাকা হলে ও সেখানে পাওয়া যায় মাত্র ৫৫ বা ৫৬ টাকায়। বিষদ ভাবে খোজ নিয়ে জানা গেছে অনেক ড্রাইভার আছে যারা ভাল ডিজেল তাদের কাছে বিক্রি করে কম টাকায়। চুরি হওয়া ডিজেল ট্রাকের ড্রাইভার বা হেলপার সেখানে বিক্রি করে। পরে ডিজেল লাগলে আবার তাদের থেকে কমদামে ডিজেল ক্রয় করে। এতে করে একদিকে ডিজেল চুরি করে আয় করে অন্যদিকে কমদামে ডিজেল কিনে আয় করে। ভুক্তভোগি একজন মালিক বলেন খারাপ ডিজেল ইঞ্জিনে দেওয়ার কারনে পার্সগুলো অতি তাড়াতাড়ি বিকল হয়ে যায়। আরো কিছু গাড়ির মালিকও এমন সব অভিযোগ করে বলেন সরকারী ভাবে এইসব দেখলে আমাদের গাড়ীগুলো অকালে আর বিকল হইতো না।এই সব বিষয়ে সেখানের পুলিশকে জানালে তারা বলেন প্রমান পেলে অবশ্যই আমরা এই ব্যাপারে পদক্ষেপ নিব।