বার্তা প্রতিনিধি: মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের চতুর্থ বোয়িং ৭৮৭-৮ ড্রিমলাইনার ‘রাজহংস’ উদ্বোধন করেছেন। মঙ্গলবার বিকেল সোয়া ৪টায় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ভিআইপি টার্মিনালে ফিতা কেটে রাজহংসের উদ্বোধন করেন তিনি। এর মাধ্যমে বিমানের বহরে সংযুক্ত হলো ড্রিমলাইনারটি।
বিমানবন্দরের ভিআইপি টার্মিনালে উদ্বোধন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মাহবুব আলী, বিমান পরিচালনা পর্ষদ চেয়ারম্যান বিমান বাহিনীর সাবেক এয়ার মার্শাল ইনামুল বারী, সচিব মহিবুল হক, বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের সদ্য নিযুক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও মোকাব্বির হোসেন।
বিমানের চতুর্থ ড্রিমলাইনার রাজহংস যুক্তরাষ্ট্রের স্থানীয় সময় ১৩ সেপ্টেম্বর বেলা ১২টায় ঢাকার উদ্দে্শে উড্ডয়ন করে। বাংলাদেশ সময় শনিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) বিকেল ৪টা ৪৪ মিনিটে দেশে এসে পৌঁছায়।
জানা যায় এর আগে গত ১২ সেপ্টেম্বর উড়োজাহাজের মালিকানা হস্তান্তর করেন বোয়িং পরিচালক (ডেলিভারি কন্টাক্ট) জন বর্বার। বিমানের পক্ষে পরিচালক (প্রকিওরমেন্ট অ্যান্ড লজিস্টিক সাপোর্ট) মো. মমিনুল ইসলাম চাবি বুঝে নেন। ওই সময় বিমানের চেয়ারম্যান এয়ার মার্শাল (অব.) মোহাম্মদ ইনামুল বারী, পরিচালক (প্রশাসন) জিয়াউদ্দিন আহমেদসহ বিমান ও বোয়িংয়ের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে বাংলাদেশ বিমানের জনসংযোগ শাখার উপমহাব্যবস্থাপক (ডিজিএম) তাহেরা খন্দকার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ‘শনিবার দুপুরে ড্রিমলাইনার বিমান রাজহংস অবতরণের কথা থাকলেও বিকেল ৪টা ৫৫ মিনিটে অবতরণ করে। সকালের দিকে বিমানটি নামলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উদ্বোধন করার কথা ছিল। কিন্তু দেরিতে নামায় তা সম্ভব হয়নি। এজন্য আজ বিকেল ৪টায় বিমানটি উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী।’
সম্প্রতি উদ্ভোদনকৃত রাজহংস’র আসন সংখ্যা ২৭১টি। বিজনেস ক্লাস ২৪টি আর ২৪৭টি ইকোনমি ক্লাস। বিমানটিতে যাত্রীরা অন্যান্য আধুনিক সুবিধা, ইন্টারনেট ও ফোন কল করার সুবিধাও পাবেন। টানা ১৬ ঘণ্টা উড়তে সক্ষম এই ড্রিমলাইনার চালাতে অন্যান্য বিমানের তুলনায় ২০ শতাংশ কম জ্বালানি ব্যয় হবে। এটি যুক্ত হওয়ার মধ্য দিয়ে বিমান বহরে উড়োজাহাজের সংখ্যা এখন ১৬টি।
সূত্র: মানবকণ্ঠ/