Friday, April 26বাংলারবার্তা২১-banglarbarta21
Shadow

বক্ষব্যাধি হাসপাতালের কর্মচারীর ১৫ বছরে কয়েকশ কোটি টাকার মালিক

বার্তা প্রতিনিধি: আরো এক রাগব বোয়ারেল খবরে দেশবাসী হতবাক। এবার ঢাকার মহাখালী বক্ষব্যাধি হাসপাতালের তৃতীয় শ্রেণির কর্মচারী (হিসাব রক্ষক) লিয়াকত হোসেন জুয়েল ও তার স্ত্রী লাকি আক্তার চৌধুরীর নামে ফরিদপুরে রয়েছে শত কোটি টাকার সম্পদ। তিনি ২০০৩ সালে স্বাস্থ্য বিভাগের (বক্ষব্যাধি হাসপাতালের) হিসাব সহকারী পদে চাকরিতে যোগদান করেন জুয়েল। মাত্র ১৫ বছরেই তিনি অঢেল সম্পদের মালিক হয়ে যান। এর সূত্র ধরে গত ৩১ জানুয়ারি তার সম্পদের হিসাব সংক্রান্ত বিষয়ে দুদক তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে।

বক্ষব্যাধি হাসাপাতালের এই কর্মচারী লিয়াকতের ফরিদপুরে পরিবারিক ও স্থানীয় বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়, লিয়াকত বেশ কয়েকটি আলিশান বাড়ি, গাড়ি, ব্রিক ফিল্ড, জমি, কার্গো জাহাজ ও বাগান বাড়ির মালিক। যেগুলো স্ত্রী, বোন, শ্বশুর বাড়ির লোকজন ও পরিবারের সদস্যদের নামে-বেনামে করা হয়েছে।

এদিকে বিভিন্ন সূত্র জানায়, ফরিদপুর জেলা সদর উপজেলার বিভিন্ন স্থানে রয়েছে তার বিপুল পরিমাণ সম্পদ। শহরের টেপাখোলায় লক্ষীপুর এলাকায় আলিশান একটি বাড়ি রয়েছে তার স্ত্রীর নামে। একই এলাকার ফরিদাবাদে ‘মাহি মাহাদ ভিলা’ নামে রয়েছে অপর একটি দৃষ্টিনন্দন বাড়ি। সেখানে বসবাস করেন লিয়াকত হোসেন জুয়েলের শ্বশুর বাড়ির লোকজন। এছাড়া শহরতলীর বায়তুল আমান এলাকায় রয়েছে ৫ কাঠার একটি আবাসিক প্লট, সেটিও তার স্ত্রীর নামে।

একাধিক সূত্র আরো জানায়, ফরিদপুরের নর্থ-চ্যানেল গোলডাঙ্গী চরে এলএন্ডএমএম নামে রয়েছে লিয়াকতের একটি ইট-ভাটা। এছাড়া সিএন্ডবি ঘাটের ওপারে নাজিরপুরে এএন্ড আর ব্রিকস নামে আরেকটি ইটভাটা রয়েছে তার, সেটি বড় বোনের নামে করা হয়।

এদিকে সিএন্ডবি ঘাটের বাজারে রয়েছে ১৭ শতাংশ জমিতে আরো একটি দোতলা ভবন। ফরিদপুর শহরের ভাটি লক্ষিপুরে ২৪ কাঠা জমিতে রয়েছে একটি বাগান বাড়ি। শহরতলীর আমদপুর এলাকার বেরহমপুর মৌজায় ১৭ বিঘা জমি রয়েছে, সেটিও তার স্ত্রীর নামে।

লেয়াকতের ছোট কার্গো জাহাজ রয়েছে ১৬টি, যা তার শ্বশুর বাড়ির আত্মীয়-স্বজনদের নামে রয়েছে। এছাড়া পরিবারিকভাবে ব্যবহার করার জন্য লিয়াকত হোসেন জুয়েলের রয়েছে আধুনিক মডেলের প্রিমিও ব্রান্ডের তিনটি প্রাইভেটকার। লিয়াকত হোসেন জুয়েলের ভাই বেলায়েত জানান, গত ৩১ জানুয়ারি দুদক তাদের পরিবারের সদস্যদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডেকেছিল। সেখানে তারা পারিবারিক বিভিন্ন তথ্য দিয়েছেন।

তবে এ বিষয়ে ফরিদপুরে ‘দুপ্রকে’র সাধারণ সম্পাদক হাসানউজ্জামান বলেন, সমাজে যারা অসৎভাবে অর্থ উপার্জন করেছে তাদের অবশ্যই আইনের আওতায় আনা দরকার। কারণ ওই দুষ্ট চক্রকে আটক করতে না পারলে রাষ্ট্র ও সমাজ ক্ষতিগ্রস্থ হবে। তিনি বলেন, একজন হিসাবরক্ষক হয়ে এতো সম্পদ কিভাবে হলো সেটা সকলেরই প্রশ্ন।

সূত্র: বাংলাদেশ টুডে নেট।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *