Sunday, May 19বাংলারবার্তা২১-banglarbarta21
Shadow

পাক প্রধান মন্ত্রীকে যে পরামর্শ দিলেন ডোনান্ড ট্রাম্প

বার্তা প্রতিনিধি: বিশ্বের অন্যতম চলতি সমস্যায় কাশ্মীর ইস্যুতে নয়াদিল্লি ও ইসলামাবাদকে আলোচনায় বসার আহ্বান জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। গত শুক্রবার পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের সঙ্গে টেলিফোনে কথোপকথনের সময় এ আহ্বান জানান তিনি। সংবাদ সংস্থা এএফপি এর বরাত দিয়ে ভারতীয় গণমাধ্যম এনডিটিভি’র খবরে এমনটিই বলা হয়েছে।

অতি সম্প্রতি জম্মু ও কাশ্মীর নিয়ে কথা বলুক ভারত ও পাকিস্তান মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এমনটাই চায় বলে হোয়াইট হাউজের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে। জম্মু ও কাশ্মীরকে দেয়া বিশেষ মর্যাদাকে অবলুপ্ত করার জন্য নরেন্দ্র মোদি সরকারের পদক্ষেপের পরে দু’দেশের মধ্যে নতুন করে উত্তেজনার সৃষ্টি হয় যা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে বিবৃতি দেয় যুক্তরাষ্ট্র। এমনকি বিযয়টি জাতিসংঘের কাছে পৌঁছলে জম্মু ও কাশ্মীর ইস্যুতে রুদ্ধদ্বার বৈঠকও করে নিরাপত্তা পরিষদ।

তবে পাকিস্তানের পরারাষ্ট্রমন্ত্রী শাহ মেহমুদ কুরেশি দাবি করেছেন যে ইমরান ও ট্রাম্পের মধ্যে ‘সৌহার্দ্যপূর্ণ আলাপচারিতা’ হয়েছে। কাশ্মীর সংক্রান্ত বিষয়েও কথা হয়েছে। অন্যদিকে রেডিও পাকিস্তানের পক্ষ থেকে পরারাষ্ট্রমন্ত্রীকে উদ্ধৃত করে বলা হয়েছে, কাশ্মীরের সাম্প্রতিক ঘটনাবলী এবং সেখানকার আঞ্চলিক শান্তি বিপন্ন হওয়ার বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।

এদিকে জম্মু ও কাশ্মীর নিয়ে টেলিফোনে কথা হওয়ার পাশাপাশি ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং ইমরান খান আফগানিস্তান নিয়েও আলোচনা করেছেন, যেখানে তালেবানদের সঙ্গে আলোচনা করছে যুক্তরাষ্ট্র।

শুক্রবার রাতে এক সাংবাদিক সম্মেলনে শাহ মেহমুদ কুরেশি দাবি করেন যে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের পাঁচ স্থায়ী সদস্যের মধ্যে চার জনই পাকিস্তানের পক্ষ নিয়ে সমর্থন জানিয়েছে।

তবে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের রুদ্ধদ্বার বৈঠকটি পাকিস্তানের ঘোষিত মিত্র দেশ চীনের অনুরোধে অনুষ্ঠিত হয়েছিল। আলোচনাটি কেবল তার পাঁচটি স্থায়ী সদস্য এবং ১০ টি অস্থায়ী সদস্যের জন্য উন্মুক্ত ছিল এবং দেশের প্রতিনিধিদের অংশগ্রহণের অনুমতি দেয়ার জন্য পাকিস্তানের করা একটি আবেদন নাকচ করে দেয়া হয়। এর আগে নিরাপত্তা পরিষদ ১৯৬৫ সালে জম্মু ও কাশ্মীর সংক্রান্ত বিরোধ নিয়ে সর্বশেষ আলোচনা করেছিল।

উল্লেখ্য, গত ৫ আগস্ট ভারত সংবিধানের ৩৭০ অনুচ্ছেদের জম্মু ও কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা প্রত্যাহার করে এবং রাজ্যটিকে দুটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে বিভক্ত করার সিদ্ধান্ত নেয়। এরপরেই নয়াদিল্লির সঙ্গে পাকিস্তান কূটনৈতিক সম্পর্ক বন্ধ করে দেয়। পাকিস্তান থেকে ভারতীয় হাই কমিশনারকে বহিষ্কার করে।

সূত্র: মানবকণ্ঠ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *