Sunday, May 19বাংলারবার্তা২১-banglarbarta21
Shadow

পশ্চিমবঙ্গের এক সবজি বিক্রেতা লটারীর টিকিটে কোটিপতি

ভারতের বিভিন্ন অঙ্গরাজ্যে লটারি চলছে। সেখানে পর পর কয়েকদিনে বেশ ক’জন কোটিপতি বনে গেছেন এই লটারির কৃপায়। এবার ডাস্টবিনে ফেলে দেওয়া লটারির টিকিটে পাওয়া গেল এক কোটি টাকা। আর এতে রাতারাতি কোটিপতি হয়ে গেলেন পশ্চিমবঙ্গের এক সবজি বিক্রেতা।

নতুন বছরে নাগাল্যান্ড রাজ্য লটারির ৬ টাকা মূল্যের ৫টি টিকিট কেনেন ভাঙড়ের কাশীপুরের সর্দারপাড়ার বাসিন্দা সাদেক মোল্লা। সেই টিকিটে রাতারাতি কোটিপতি হয়েছেন তিনি। ঘটনাটি গত ২ জানুয়ারির। তাকে দেখতে ভিড় করছে পাশপাশের বহু মানুষ। এই খবরে স্থানীয় লটারির দোকানে বিক্রি বেড়ে গেছে বহুগুণ।

গত বৃহস্পতিবার বাড়ি ফেরার পথে দমদমের কাঠগোলা এলাকা থেকে নাগাল্যান্ড রাজ্য লটারি ৫টি টিকিট কেনেন সাদেক। পরে বিক্রেতার কাছে লটারির ফলাফল জানতে চান। পুরস্কার পাননি বলেই শোনেন। পরে কাশীপুরের টিকিটের দোকানে গিয়েও ফলাফল জানতে না পেরে টিকিট ডাস্টবিনে ফেলে বাড়ি ফেরেন সাদেক।

পর দিন ওই টিকিট বিক্রেতা তাকে জানান, ১ কোটি টাকা জিতেছেন সাদেক। এই খবরে কাশীপুর বাজারের ডাস্টবিনে ফেলে দেওয়া টিকিট পাগলের মতো খুঁজতে থাকেন। পরে পানিতে ভেজা টিকিটগুলো খুঁজেও পান তিনি। আনন্দে চিৎকার করতে করতে দমদমে লটারি কর্তৃপক্ষের কাছে ছুটে যান।

তবে এত টাকা জিতে স্বস্তিতে নেই সাদেকের পরিবার। নিরাপত্তার অভাব বোধ করছেন। কাশীপুর থানা থেকে তাকে নিরাপত্তা দেওয়ার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে। সমস্যা আরও ছিল, সাদেকের ব্যাঙ্কে কোন অ্যাকাউন্টই নেই। এ বিষয়টি জানতে পেরে এলাকার একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ অ্যাকাউন্ট খুলে দেওয়ার ব্যবস্থা করেছে।

সাদেকের স্ত্রী আমেনা বেগম বলেন, ‘অভাবের সংসারে অনেক কষ্টে তিন ছেলেমেয়েকে বড় করছি। বড় ছেলে রাজেশকে টাকার অভাবে পড়াতে পারিনি। এবার আল্লাহ মুখ তুলে চেয়েছেন। ছোট ছেলে রাকেশকে ভাল স্কুলে পড়াব।’

লটারিতে টাকা পাওয়ার আনন্দে বন্ধুবান্ধব, পরিচিতদের মধ্যে মিষ্টি-বিরিয়ানি বিতরণ শুরু করেন সাদেক। তিনি বলেন, ‘ছোট থেকে অনেক কষ্ট করেছি। অনেক স্বপ্ন ছিল। কিন্তু টাকার অভাবে তা পূরণ করতে পারছিলাম না। যদিও লটারি টিকিট কেটে আগে কয়েকবার সামান্য কিছু টাকা জিতেছিলাম। কখনও এত টাকা পাব, তা ভাবতেও পারিনি।
সূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *