বিভাগীয় প্রতিনিধি: চাঁদপুর জেলার ফরিদগঞ্জ থানার ৭নং গুপটি ইউনিয়নের ভোটাল প্রাইমারী স্কুল এখন বিলিন হওয়ার পথে। যেখানে কোন খেলার মাঠ নেই, নেই কোন রাস্তাঘাট, ঐতিহ্যবাহী একটি সরকারী প্রাথমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রায় বিলিন হওয়ার পথে। ভোটালের এই প্রাথমিক স্কুল, দীর্ঘ প্রায় ৫০ বছর ধরে এই স্কুলটি। এই স্কুলের অনেক শিক্ষার্থি বাংলাদেশের সরকারী বেসরকারী অনেক বড় স্থানে ব্যবসা বিদেশ ভ্রমন সহ অন্যান্য কাজে রয়েছেন। প্রতিষ্ঠিত এই প্রাইমারী স্কুলটি এখন জরাজির্ণ প্রায়। স্কুলের ছাত্র/ছাত্রীর সংখ্যা খুবই সামান্য। স্কুল কর্তপক্ষ নামে বেনামে ছাত্র/ছাত্রীদের নাম উঠিয়ে কোটা পূরনের চেষ্টা করছেন। এই বিরাটএকটি দুর্ণিতির খরব নিয়েজানা গেছে এলাকাবাসির কিছু ইসলাম নাম ধারীভন্ডও ফতোয়াবাজী স্কুলটিকে জিম্মি করে রেখেছে। তার কারন হিসেবে প্রথমে উঠে আসে পুরোনো যে ভবনটি রয়েছে স্কুলের ছাত্র/ছাত্রী কম হওয়ায় সেখানে এলাকার লোকজন ধান শুকোয়, গরু ছাগল বাঁধে আর অনেকে একচেটিয়া স্কুল ভবনটিকে দখল করে রেখেছে। সামান্যটুকু মাঠ থাকলেও এলাবাসির দখলে থাকায় ছোট ছোট ছেলে মেয়ের কোথাও খেলার বা দাড়ানোর সুযোগ টুকু পায়না। দ্বিতীয় স্কুল ভবনটি নতুন হলেও তার পরিনতি আরো খারাপ। দেখা গেছে নতুন ভবনটির সামনে একটি মক্তব আর ঈদগা ঁরয়েছে। ঠিক স্ক’লটির সামনে ১ ফুটও জায়গা নাই। সামনে বড় একটি মাঠ থাকলেও সেটা এলাকার ঈদগাঁ হওয়ায় ঈদগাঁ কমিটি পুরো মাঠের তিন পাশ্বে দেয়াল তুলে দেয়। যার কারনে বিগত ৫/৬ বছরে ছোট ছোট ছেলে মেয়েরা খেলতে গিয়ে প্রায়ই আহত হয়। খবর নিয়ে জানা গেছে এই পর্যন্ত প্রায় ৭০/৮০ জন আহত হলে সাধারন অভিবাবক আর তাদের স্কুলে আসতে দিচ্ছেনা। যার ফলে অনেক অভিবাবকরা তাদের সনন্তানদের স্কুলে না দিয়েই এবতেদায়ী মাদ্রাসা কর্তৃক ঝুকছে। সাধারন মানুষের দাবী এখানে ঈদগা থাক, তবে যদি পাকা না করা হতো আর চারদিকে দেয়াল না তুলতো তাহলে ঐতিহ্যবাহী এই স্কুলটি আরো বড় পরিশওে চলত। এছাড়া স্কুলে আসারতো রাস্থা নাই বললেও চলে। স্কুলের সামনেই মক্তব থাকায় পশ্চিমে শেষ সিমানা পর্যন্ত মক্তব ঘরটি তোলার কারনে দক্ষিন থেকে উত্তওে যাওয়ার কোন রাস্তাই নেই। অন্যদিকে প্রায় ২০০ বছর আগের পুরোনো রাস্তাকে সরু কওে মুফতি মাওলানা ইছহাক ফতোয়াবাজী কওে হাটার জন্য রাস্তার উপর টিনের বেড়া দিয়ে দিয়েছে।এই রাস্তা দিয়ে ভোটালের সাধার মানুষ সাহার বাজার করতে যায় আর পূর্ব ভোটাল ও তাম্রশাসনের এক অংশ এই স্কুলে আসা যাওয়া করেন। প্রায় তিন হাজার লোক প্রতিদিন এই রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করে। সে ২০০ বছরের অতিতকে ভুলে গিয়ে এটি তার নিজের জায়গা বলে রাস্তার উপর টিনের বেড়া দেয়ায় সাধারন মানুষ আর হাটতে পারছেনা এবং স্কুলে কোনছাত্র/ছাত্রী ঠিকমত আসতে পারেনা। অনেক ছেলে মেয়েরা ঐটিনে আহত হয়ে অনেকে জামাকাপড় পর্যস্ত ছিরে ফেলায় সাধারন অভিবাবকরা তাদের সন্তানদের স্কুলে আসতে দিচ্ছেনা। একদিকে ঈদগাঁ কমিটি স্কুলের সামনে তাদের ঈদগাকে পাকা কওে চারদিকে দেয়াল তুলে দেয় অন্য দিকে মুফতি মাওলানা ইছহাক তিনি তার নিজের জায়গা দিয়ে রাস্তা যাওয়ায় রাস্তার উপর টিনের বেড়া দিয়ে রাস্তা সরু করে পেলায় এলাকার লোকজন বাচ্ছাদেও স্কুলে আসতে দিচ্ছেনা এবং দক্ষিন দিক থেকে সাধারন মানুষ ও হেটে যেতে পারছেনা। এলাকাবাসি এই রাস্তাটিকে কোন উপায়ে আগের মত ফিরিয়ে আনতে মুফতি মাওলানা ইছহাককে বললে তিনি রিতিমত হুমকি প্রদান করেন এবং জঙ্গি ইষ্টাইলে অনেকগুলো লিফলেট ্চাপিয়ে ভোটালের সাধারন জনগনের মাঝে বিলিয়ে দেন। পরে এলাকার লোকজন তার এহেন আচরনে বিমর্ষ হয়ে পড়েন। এলাকাবাসির ধারনা মুফতি মাওলানা ইছহাকের সাথে জঙ্গিদের সম্পৃক্ত রয়েছে। অন্যদিকে আবার মুফতি মাওলানা ইছহাক স্কুল ভবনটির ঠিক পশ্চিম পাশ্বে একটি মসজিদ তৈরী করে পূর্বে শেষ সিমানায় দেয়াল তোলার কারনে কেই ঠিকমত হাটা চলা করতে পারছেনা। স্কুলটির পশ্চিমে মসজিদটির দায়িত্ব পালন করেন তার ইভাই মো: ইসমাইল। কোথা থেকে পানতারা এত শক্তি। তাদের এহেন পতোয়াবাজির বিরুদ্ধে সরকারী গোয়েন্দাদেও নজর দেয়ার তাগিত দেন এলাকাবাসির। স্কুলের সমস্যা এই নিয়ে স্কুল কমিটি অনেকবার থানা নির্বাহী অফিসারের সরনাপর্ণ হলে ও তার কোন ব্যবস্থা গ্রহন করা হয়নি। যেখানে স্কুলের ছাত্রছাত্রীর সংখ্যা থাকার কথা তিনশর উপরে সেখানে মাত্র ৭০/৮০ জন ছাত্রছাত্রী নিয়ে কিভাবে একটি স্কুল চলে। ভোটাল গ্রামের এই দুরাবস্থা একেবারেই নাজেহাল। ২০০ বছরের ঐতিহ্য রাস্তাকে সর্কিণ্য করার পর মাওলানা মুফতি মো: ইছহাককে জিজ্ঞাসা করিলে তিনি বলেন এটা আমার বাবা আমার নামে দিয়ে গেছে। এটা আমার পৈত্রিক সম্পত্তি আমি এই জায়গা বন্ধ কওে দিব বা হাটার জন্য দিব তা একমাত্র আমার সিদ্ধাস্ত। এলাকাবাসীর জিজ্ঞাসা যে তিনি অনুদান নিয়ে একটি মসজিদ করেছেন সেখানে নামাজ পড়লে সওয়াব হবে আর রাস্তা দিয়ে হাটলেকি কোন সওয়াব হবেনা? সরকার যখন পুরো বাংলাদেশকে ডিজিটালের আওতায় আনছেন ঠিক তখনী গ্রামের কিছু ইসলাম নামধারী ভন্ড কুচক্রি মহল, আর ফতোয়ার শিকারহলো খেটে খাওয়া সাধারন জনগণ। তারা তাদের সন্তানদেও নিয়ে চিন্তিত। জননেত্রী শেখ হাসিনার টুয়েন্টি টুয়েন্টি ভিশন ও ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয়কে বাস্তবায়ন করার জন্য ও এলাকাবাসি এই ঐতিহ্যবাহী প্রতিষ্টানকে পূর্বেও ন্যায় সুন্দর ও মনোরম পরিবেশে এবং রাস্তাটিও পূর্বেও ন্যায় পিরিয়ে আনার জন্য কর্তৃপক্ষকে দৃষ্টি দেওয়ার জোর তাগিদ জানান।