Monday, April 29বাংলারবার্তা২১-banglarbarta21
Shadow

চট্টগ্রামে বিদেশী অ্যাপস পিএলসির ফাঁদে হাজারো মানুষ কয়েক কোটি টাকা লোপাট, মুলে আছেন গার্ডিয়ান লাইফের রিজিউনাল অফিসার দুর্দান্ত, ঠক প্রতারক, অর্থলোভী ক্রিমিনাল প্রতারক মাসুদ

চট্টগ্রামে রাতারাতি কোটিপতি হওয়ার স্বপ্নে বিদেশী অ্যাপস পিএলসিতে ইনভেস্ট করে কোটি টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে মানুষ রুপি প্রতারক লিও মো: মাসুদ। গার্ডিয়ান লাইফের পলিসি বুঝিয়ে অফিসে নিয়ে তিনি অভিনব কায়দায় সাধারন মানুষকে ১০০ টাকায় এক বছরে ১২০% লাভের স্বপ্ন দেখিয়ে কোটি কোটি টাকা পিএলসিতে ইনভেস্ট করিয়েছে। আর এই ইনভেস্ট করার নামে পিএলসির ডুপি¬কেট আইডি খুলে দিয়ে কিছু কোড গ্রাহককে প্রদান করে। কিন্তু পরবর্তী মাসে কিস্তি পাওয়ার সময় হলে ডলারের দাম কমছে এখন উইড্র করা যাচ্ছেনা এইসব বলে মাসের পর মাস পার হলে কেহই টাকা পাচ্ছেনা। প্রতারক অর্থলোভী মো: মাসুদ আলম নিজেকে গার্ডিয়ান লাইফের রিজিওনাল একজন অফিসার বলে পরিচয় দেয়। ইনভেস্ট করার পর তিনি তার কোন দায়িত্বই নিতে চাননা। এছাড়া খোজ নিয়ে জানা গেছে তিনি তার অফিসের অনেক কর্মকর্তা সহ এবং গার্ডিয়ান লাইফে পলিসি করার জন্য ডেকে এনে পিএলসিতে ইনভেস্ট করার জন্য বলে। তিনি বলেন ইনস্যুরেন্স করে আর কত টাকা পাবেন এখানে ইনভেস্ট করলে ১ বছরে কোটিপতি হবেন। এই্ প্রতারক কাজটি করেন গার্ডিয়ান লাইফের অফিসে বসেই। আর যারা তার খপ্পরে পড়েন তারা হন সর্বহারা আর প্রতারক মাসুদ নিজেই বনে গেছেন কোটিপতি।

লিও মোহাম্মদ মাসুদ একজন পিএলসি অনলাইন কর্মকর্তা ও গার্ডিয়ান লাইফ ইনস্যুরেন্স কর্মী ও অত্যনÍ দুষ্ট, দুর্দান্ত, ঠক প্রতারক, অর্থলোভী ও ক্রিমিনাল প্রকৃতির লোক । সে বিভিন্ন মানুষকে বেশী অর্থের লোভ দেখাইয়া পিএলসিতে ইনভেষ্ট করার উৎসাহ যোগায়। ৫০,০০০ (পঞ্চাশ) হাজার টাকায় এক বছরে ১২০% প্রতি মাসে ১৫,০০০ (পনের হাজার) টাকা দিবে বলে। কিন্তু ১মাস যাওয়ার পর ডলারের দাম কম এখন টাকা তোলা যাবেনা এই রকম বিভিন্ন অযুহাত দেখাইয়া কোন প্রকার পেমেন্ট দিচ্ছেনা। ফোন করলেও ধরেনা এমনকি অনলাইনেও কোন উত্তর দেয়না। জোর করে যাদের টাকা পিএলসিতে ইনভেষ্ট করেছে তাদের টাকা লিও মোহাম্মদ মাসুদ আত্বসাৎ করেছে। গত কয়েকদিন ধরে তাকে ফোন করেও পাওয়া যায়না। লোক মারফত তিনি বলেন কোম্পানীতে ইনভেষ্ট করছেন কোম্পানীর সাথে বুঝেন এমতাবস্থায় কয়েকশ মানুষের টাকা না পাওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেশী।

তার নামে প্রায় ডজন খানেক অফিযোগ জমা পড়ছে। অনেক ভুক্তভোগীর সাথে কথা বলে জানা গেছে অভিনব কায়দায় বা ফেসবুকের মাধ্যমে তাদের গ্র“পের নাম প¬াটিনাম বিলিউনার নামক গ্র“প এবং হোয়াটস অ্যাপের মাধ্যমে গ্রাহককে কোটিপতির লোভ দেখায় পরে গার্ডিয়ান লাইফের অফিসে নিয়ে তাদেরকে পিএলসিতে ইনভেস্ট করতে বাধ্য করে। ইনভেস্ট করার সময় প্রতারক মাসুদ বিশ্বাস যোগানোর জন্য সে তার ব্রাক ব্যাংক হিসাব শেখ মুজিব রোড শাখায় টাকা জমা নেয় তারপর সে ঐ টাকা আর কোন অনলাইন বা কোথাও ইনভেস্ট করেনা। ডপি¬কেট কতগুলো কোড দিয়ে ইনভেস্টম্যানকে হয়রানি করে। যার প্রমানও অনেকের কাছে আছে বলেও জানা যায়। এই অ্যাপের একটি অফিসও খোলা হয়েছে আগ্রাবাদ এলাকায়। এছাড়াও তিনি গার্ডিয়ান লাইফের কর্মকর্তা হওয়ায় তার চেম্বারে নিয়ে ইনভেস্ট করার কথা বললে অনেকে বিশ্বাস করে তাকে টাকা দিয়ে দেয়।
প্রতারক অর্থলোভী বিশ্বাসঘাতক মাসুদ যেমন সাধারন লোকদের সাথে প্রতারনা করছে তেমনী গার্ডিয়ান লাইফের কোম্পানীর সাথেও।
সুন্দর বচনভোঙ্গী আর নানা রকম লোভ দেখিয়ে তিনি এখন কোটিপতি। তিনি সাধারন মানুষদেরকে কখনো ২২ হাজার কখনো ৫০ হাজার কখনো আরো বেশী ইনভেস্ট করার নামে তার ব্রাক ব্যাংক হিসেবে টাকা নেয় তারপর সেগুলো ডলারে কনভার্ট করে তাদের টাকা অ্যাপসে ইনভেস্ট করায়। ঠক প্রতারক মাসুদ গংদের প্ররোচনায় সাধারন মানুষের কষ্টার্জিত টাকা পিএলসির মত অনলাইনে ইনভেষ্ট করাতে অনেকে হয়েছেন সর্বস্বান্ত। বিষয়টি প্রশাসনের দৃষ্টি দিবেন সাধারন মানুষের আশা।

এছাড়া গার্ডিয়ান লাইফের ম্যানেজমেন্টকে বিষয়টি দেখার অনুরোধ জানিয়েছেন মাসুদের মাধ্যমে ইনভেস্ট করা সাধারন মানুষের।
গার্ডিয়ান লাইফের এই কর্মকর্তা প্রথমে গার্ডিয়ান লাইফের পলিসি বুঝান। বলেন গার্ডিয়ান লাইফ স্কয়ার আর এপেক্স এর। তারা কখনো টাকা মারবেনা আর সাথে বুঝানো হয় পিএলসি কি। সাধারন গ্রাহক বুঝেন পিএলসিও গার্ডিয়ান লাইফের একটা অংশ। তাই এই ঠক প্রতারককে আইনের আওতায় এনে শাস্থির দাবি করছেন অনেকে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *