Saturday, May 4বাংলারবার্তা২১-banglarbarta21
Shadow

আতিকুলের বার্ষিক আয় এক কোটি ২৯ লাখ আর তাবিথের ৪ কোটি ১২ লাখ

বার্তা প্রতিনিধি: আসন্ন ঢাকা সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের সব দলের প্রার্থীরা নির্বাচন রিটার্নিং কর্মকর্তাদের কাছে হলফনামা জমা দিয়েছেন ।

নির্বাচন অফিস থেকে হলফনামা যাচাই-বাছাইয়ে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের আসন্ন নির্বাচনে মেয়র পদে সাত প্রার্থীর ছয়জনকে বৈধ ঘোষণা করা হয়েছে।

এদিকে জাতীয় পার্টির জিএম কামরুল ইসলামের মনোনয়নপত্র বাতিল ঘোষণা করা হয়েছে।

ঢাকা উত্তর সিটিতে বৈধ মেয়রপ্রার্থীরা হলেন- আওয়ামী লীগের আতিকুল ইসলাম, বিএনপির তাবিথ আউয়াল, সিপিবির সাজেদুল হক, পিডিপির শাহীন খান, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের ফজলে বারী মাসউদ এবং এনপিপির আনিসুর রহমান দেওয়ান।

এদিকে এদের মধ্যে সবচেয়ে আলোচিত প্রার্থী হলেন আওয়ামী লীগ মনোনীত আতিকুল ইসলাম এবং বিএনপির মনোনীত তাবিথ আউয়াল।

ঢাকার সাবেক মেয়র আতিকুল ইসলামের হলফনামা থেকে পাওয়া তথ্যানুযায়ী, অনেক প্রতিষ্ঠানের মালিক তিনি। কিন্তু ব্যক্তিগত কোনো গাড়ি নেই আতিকুলের। তিনি ব্যক্তিগত ঋণ দেখিয়েছেন ৯৮ লাখ ৮৯ হাজার টাকা।

অন্যদিকে বিএনপি সমর্থিত প্রার্থী তাবিথ আউয়ালের হলফনামা অনুযায়ী, ব্যক্তিগত কোনো ঋণ নেই তার। ব্যক্তিগত সম্পদের পরিমাণও বেশি তাবিথের।

আতিকুল ইসলামের হলফনামা থেকে পাওয়া তথ্য: আয়ের উৎস হিসেবে কৃষি, ব্যবসা, বাড়ি বা অ্যাপার্টমেন্ট ভাড়া, মৎস্য চাষ ও ব্যাংক সুদ উল্লেখ করেছেন ডিএনসিসির সাবেক এ মেয়র।

১৬ ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান রয়েছে তার। এসব ব্যবসা থেকে তার বার্ষিক আয় হয় এক কোটি ২৯ লাখ ৬৮ হাজার টাকা।

এ ছাড়া তার অস্থাবর সম্পদ ৪ কোটি ৮৬ লাখ ৬৯ হাজার টাকা ও স্থাবর সম্পদের মূল্যমান ১৩ কোটি ৯৭ লাখ ৯২ হাজার টাকা।

ব্যক্তিগত ঋণ ৯৮ লাখ ৮৯ হাজার টাকা রয়েছে তার আইএফআইসি ব্যাংকে। তবে ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের নামে ৫৯১ কোটি ৬ লাখ টাকার ঋণ রয়েছে। এত বড় অঙ্কের ঋণের মধ্যে আইএফআইসি ব্যাংকে ফান্ডেড ১৮৬ কোটি ৬২ লাখ টাকা ও নন-ফান্ডেড ২৪৪ কোটি ৬৪ লাখ টাকা ঋণ রয়েছে। শাহজালাল ইসলামী ব্যাংকে ২৬ কোটি ১৫ লাখ টাকা ফান্ডেড ও ৭৩ কোটি ২৫ লাখ টাকা নন-ফান্ডেড টাকা ঋণ রয়েছে তার।

আতিকুল ইসলামের শিক্ষাগত যোগ্যতা বিকম। তার বিরুদ্ধে কোনো মামলা নেই।

বিএনপি প্রার্থি তাবিথ আউয়ালের হলফনামা থেকে পাওয়া তথ্য:

কৃষি, বাড়ি, দোকান, অন্যান্য ভাড়া, ব্যবসা, শেয়ার, সঞ্চয়পত্র, ব্যাংক থেকে লভ্যাংশ, চাকরি ও অন্যান্য খাতে আয়ের উৎস বলে উল্লেখ করেছেন তাবিথ আউয়াল।

৩৭ ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের মালিক তিনি। এসব ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান ও উল্লিখিত আয়ের উৎস থেকে বার্ষিক ৪ কোটি ১২ লাখ ৭৩ হাজার টাকা আয় হয় তাবিথ আউয়ালের।

এ ছাড়া বিএনপির এই প্রার্থীর অস্থাবর সম্পদের পরিমাণ ৪৫ কোটি ৬০ লাখ ৮ হাজার টাকা উল্লেখ করা হয়েছে।

স্থাবর সম্পদ হিসেবে রয়েছে ৪ দশমিক ২৪ একর কৃষিজমি, ১৬ দশমিক ৪৮ একর অকৃষিজমি, দশমিক ৫৬ একর অন্যান্য জমি। ৯২৪ ও ১ হাজার ৪৩ বর্গফুট আয়তনের দুটি অ্যাপার্টমেন্টও রয়েছে তার।

তাবিথের এসব ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের নামে ৩০২ কোটি ৪৫ লাখ টাকা ঋণ রয়েছে ব্যাংক অ্যাকাউন্টে।

তাবিথ আউয়ালের শিক্ষাগত যোগ্যতা এমএসসি। তার নামে কোনো মামলা নেই।
সূত্র: যুগান্তর

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *