বিশ্ব বার্তা: ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর এক যুগের প্রধানমন্ত্রীত্বের অবসান হতে যাচ্ছে। ইসরায়েলের নতুন প্রধানমন্ত্রী হতে যাচ্ছেন উগ্র ডানপন্থি নেতা নাফতালি বেনেট।
বিশ্ব বার্তার রবাত দিয়ে প্রকাশিত খবরে জানা যায় বৃহস্পতিবার (৩ জুন) বিবিসি ও আল-জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়, ইসরায়েলের ৮টি বিরোধীদল জোট সরকার গঠনের লক্ষ্যে একটি সমঝোতা চুক্তিতে উপনীত হয়েছে। মধ্যপন্থী দল ইয়েস আতিদের নেতা ইয়ার লাপিড এই সমঝোতা চুক্তির কথা জানিয়েছেন। চুক্তি অনুসারে আগামী প্রথম দুই বছরের জন্য ইয়ামিনা পার্টির নেতা নাফতালি বেনেট দেশটির প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন। এরপর মেয়াদের বাকি দুই বছরের জন্য প্রধানমন্ত্রী হবেন ইয়ার লাপিড।
বর্তমান তৃত্বীয় বিশ্বযুদ্ধের ডাকঢোল বাজানো এই ইসরায়েলের প্রেসিডেন্ট সরকার গঠনের জন্য বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুকে আমন্ত্রণ জানানোর পর তিনি ব্যর্থ হলে বিরোধীদলগুলো সরকার গঠনের জন্য তোড়জোড় শুরু করেছে।
ইসরায়েলে ১২০ আসনের পার্লামেন্টে গুরুত্বপূর্ণ ৬টি আসন পেয়েছে বেনেটের দল যা প্রস্তাবিত বিরোধী জোট গঠনে নিশ্চিত সংখ্যাগরিষ্ঠতা দিতে সক্ষম।
গত এক যুগ ধরে ক্ষমতায় থাকা নেতানিয়াহু বিরোধীদের মধ্যে রাজনৈতিক মতাদর্শের মিল খুব সামান্য হলেও একটি জায়গায় তারা সবাই মিলেছেন। প্রত্যেকেই নেতানিয়াহুর শাসনের অবসান চাইছেন। নেতানিয়াহুর লিকুদ পার্টি বেনেট ও অন্যান্য দলের নেতাদের ক্ষমতা ভাগাভাগির প্রস্তাব দেন। তিন দফায় প্রধানমন্ত্রিত্ব ভাগ করে নেওয়ার প্রস্তাব দেন তিনি। কিন্তু সেই প্রস্তাবে কোন সাড়া মেলেনি।
এদিকে নাফতালি বেনেট সাবেক কমান্ডো, নিজের চেষ্টায় হয়েছেন প্রযুক্তি খাতের সফল ব্যবসায়ী। বিবিসি জানায়, ক্ষমতায় আরোহনের আগেই রাজনৈতিক জীবনকে যথেষ্ট আলোচিত করে তুলেছেন উগ্র ডানপন্থি হিসেবে পরিচিত বেনেট। ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের ধারণা প্রত্যাখ্যান করে আসা এই নেতা এ বিষয়ে নিজেকে বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর চাইতেও কট্টর হিসেবে দাবি করে থাকেন। তবে নেতানিয়াহুর একযুগের শাসন অবসানের পর যদি নাফতালি বেনেট ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী হন তাহলে বিশ্বের জন্য কতটুকু শান্তি আনবে সেই দিকেই তাকিয়ে আছেন বিশ্ব নেতারা। আর ফিলিস্থিনিরে ভবিৎষত কি তা দেখার বিষয়।