বার্তা প্রতিনিধি: নৌপথে অন্য দেশে যাওয়ার সময় লিবিয়ার খোমস উপকূলীয় এলাকায় ১২১ জন অভিবাসী নিয়ে একটি নৌকা ভূমধ্যসাগরে ডুবে যায়। সেখানে উদ্ধার অভিযান চালায় লিবিয়ার কোস্টগার্ড। ৪৭ জনকে জীবিত উদ্ধার করা গেলেও মারা যান অন্তত ৭৫ জন।
এদিকে আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা জানায়, গেল ১ অক্টোবর থেকে এ পর্যন্ত অন্তত ৮টি নৌকাডুবির ঘটনা ঘটলো। নিহতদের অধিকাংশই আফ্রিকার বিভিন্ন দেশের নাগরিক বলে জানা গেছে।
তবে লিবিয়ার আইওএম-এর প্রধান ফেডেরিকো সোডা জানান, ‘বিপদজ্জনক ভূমধ্যসাগর হয়ে অবৈধ উপায়ে ইউরোপে যাওয়া ঠেকাতে উন্নত দেশগুলি ব্যর্থ। ফলে প্রতিনিয়ত জানমালের ব্যপক ক্ষয়ক্ষতি হচ্ছে। সমুদ্র পথে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ইউরোপে প্রবেশ বন্ধ না করা গেলে সামনে আরো প্রাণ ঝরবে।
আরো পড়ুন: ব্যাংকের পর্ষদ সভায় বহিরাগতদের অংশ নেওয়ায় বিপাকে কেন্দ্রীয় ব্যাংক
লিবিয়ার বেসরকারি উদ্ধারকারী সংস্থা ওপেন আর্মস জানায়, গত মঙ্গল এবং বুধবার পৃথক অভিযান চালিয়ে আড়াই শতাধিক অভিবাসন প্রত্যাশীকে উদ্ধার করেছে।
তবে আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার তথ্য মতে, চলতি বছরে অবৈধভাবে ইউরোপে প্রবেশের চেষ্টাকালে ভূমধ্যসাগরে ডুবে প্রায় ৯’শ মানুষ প্রাণ হারান। জীবনের স্বপ্ন পূরণ করতে গিয়ে বিপদজ্জনক পথে দালাল এবং সীমান্তরক্ষীদের হাতে অমানবিক নির্যাতনের শিকার হতে হয় তাদের। তবে বিভিন্ন সময় অভিযান চালিয়ে উদ্ধার করে ১১ হাজার অভিবাসন প্রত্যাশীকে লিবিয়ায় ফেরত পাঠানো হয়েছে।
নৌকায় থাকা অভিবাসন প্রত্যাশীদের অন্যতম লক্ষ্য থাকে ইতালি। প্রতিবছর বহু মানুষ এ দেশটিতে অবৈধ উপায়ে প্রবেশ করে। ইতালির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, এ বছর ৩১ হাজার শরণার্থী দেশটিতে প্রবেশের চেষ্টা করে। যা, গত বছরের থেকে ১০ হাজার বেশি। তবে বিশ্ব থেকে এইসব চোরাপথে এক দেশ থেকে অন্য দেশে যাওয়া না ঠেকাতে পারলে পরিস্থিতি আরো ভয়াবহ হবে।