Thursday, September 19বাংলারবার্তা২১-banglarbarta21
Shadow

ছাত্রলীগের ঢাকসুর নির্বাচন ইশতেহার ঘোষনা, সাধারন শিক্ষার্থীদের প্রধান্য দিলেন

বার্তা প্রতিনিধি: ঢাকসুর নির্বাচনে সাধারণ শিক্ষার্থীদের চাওয়া-পাওয়াকেই প্রধান্য দিলেন বাংলাদেশ ছাত্রলীগ। গতকাল ছাত্রলীগের নির্বাচনী ইশতেহারে ডাকসুর ভিপি প্রার্থী ও সংগঠনটির সভাপতি রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভন একথা জানান। তিনি বলেন, ডাকসু নির্বাচনে বিজয়ী হলে আমাদের অন্যতম গুরুত্ববহ আদায়ের জায়গা থাকবে শিক্ষার্থীদের আবাসন সংকট দূর করা। পাশাপাশি যেসকল শিক্ষার্থী ক্যাম্পাসের বাইরে থেকে আসে তাদের জন্য রুটগুলোতে বাসের সংখ্যা বৃদ্ধি, বাসগুলোতে ওয়াইফাই সুবিধাসহ প্রতিবন্ধীদের জন্য বিশেষ ব্যবস্থার ব্যবস্থা করা।

সংগঠনের সভাপতি আরো বলেন, দীর্ঘ ২৮ বছর পর আগামী ১১ মার্চ অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া ডাকসু নির্বাচনকে ঘিরে রয়েছে বাড়তি চাপ। এই চাপ শিক্ষার্থীদের স্বপ্ন প্রতিফলনের চাপ। তবে আমরা সততার সঙ্গে বলতে পারি মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় পরিচালিত বাংলাদেশ ছাত্রলীগ সেই চাপকে আনন্দের সঙ্গে নিয়ে কাজ করার সামর্থ্য রাখে। সাধারণ শিক্ষার্থীদের মানসিক মানচিত্র বোধই আমাদের নির্বাচনী ইশতেহার। সেই বোধের জায়গা থেকে আমরা জানি এই বিশ্ববিদ্যালয়ের বেশিরভাগ শিক্ষার্থী ঢাকার বাইরে থেকে পরতে আসে।কাজেই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা জীবনে তাদের প্রথম প্রয়োজন একটা থাকার জায়গা। হলে একটা সিট। তাই নির্বাচনে বিজয়ী হলে আমাদের অন্যতম দায়িত্ব থাকবে শিক্ষার্থীদের আবাসন সংকট দূর করা।

শোভন আরো জানান বিশ্ববিদ্যালয়কে বৈশ্বিক জ্ঞানতাত্ত্বিক বিচরণ ভূমি গড়বার অর্থাৎ গবেষণা কেন্দ্রিক নিয়ে যাবার ক্ষেত্রেও আমরা কাজ করব। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক কার্যাবলীকে ডিজিটাইলেজেশন আওতায় এনে শিক্ষার্থীদের ভর্তি, সেমিস্টার পরীক্ষা, ফিসহ সকল প্রশাসনিক কর্মকাণ্ডকে সহজতর করে তোলা। আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের লাইব্রেরি বাংলাদেশের অন্যতম সমৃদ্ধ একটা লাইব্রেরি। কিন্তু সমস্যা হল এখানকার সিট সংকট। আমাদের শিক্ষার্থীরা এখানে বসার জায়গা পান না। তথ্য মতে, বিগত দশ বছরে বিশ্ববিদ্যালয়ে নতুন নতুন কিছু ‘বিভাগ’ খুলেছে। অর্থাৎ, শিক্ষার্থীর সংখ্যা বেড়েছে। কিন্তু সেই অনুযায়ী আমাদের লাইব্রেরির সিট সংখ্যা আগের মতই থেকে গেছে। কাজেই আমাদের এই লাইব্রেরিটিকে বিশ্বমানের বহুতলীয় ভবন নির্মাণের মাধ্যমে মধ্য দিয়ে শিক্ষার্থীদের পড়াশুনাকে বেগবান করবার ক্ষেত্রে অংশীদার হবে। আমাদের এরকম হাজারো চিন্তার বহিঃপ্রকাশ ঘটাতে চাই ডাকসু নির্বাচনে বিজয়ী হবার মাধ্যমে।

সংগঠনের সভাপতি আরো বলেন, সমস্যা কিংবা প্রতিকূলতা জীবনের নিত্য সঙ্গী। তবে আমাদের স্পর্ধার অনুরণন ওখানটায় যে আমরা পাশ কাটিয়ে চলা পথিক নই। আমাদের ‘বাংলাদেশ ছাত্রলীগ’ সমর্থিত ‘সম্মিলিত শিক্ষার্থী সংসদ’ সেই সাহস রাখে যে অন্যায়কে মূলোৎপাটন করে ন্যায় প্রতিষ্ঠা করবার। আর এই স্পর্ধা আমরা পাই ‘বঙ্গবন্ধুর জীবন দর্শন এবং দেশরত্ন শেখ হাসিনার নেতৃত্ব’ থেকে। আর নিজের কথা বলতে গেলে পারিবারিক রাজনৈতিক ঐতিহ্যগত ধারাবাহিকতা আমার রক্তে। সেই রক্তের স্পর্ধা এবং শিক্ষার্থীদের সম্মিলিত সমর্থন আমার সামনে চলার অনুপ্রেরণা। সেই অনুপ্রেরণা এবং মুক্তিযুদ্ধের উত্তরাধিকার নিয়ে বলতে চাই বিশ্বাস করি মৌলবাদী, প্রতিক্রিয়াশীল অপশক্তিকে প্রত্যাখ্যান করে সাধারণ শিক্ষার্থীরা বিজয় করবে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তির। এই শক্তি হবে বিশ্ব বাঙ্গালীর বাতিঘর। আমরা আশাবাদি আমাদের সাথে সাধারন শিক্ষার্থিরা সব সময় ছিল আছে। তিনি বলেন শিক্ষাখাতে এটি কোন রাজনীতির ফায়দা নিতে নয় বরং সাধারন শিক্ষার্থীদের সাংঠগনিক ভাবে সব সুবিধা পাইয়ে দেয়া ও শিক্ষার্থীদের সব ধরনের সহযোগীতা আমাদের উদ্দেশ্য।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *