বার্তা প্রতিনিধি: আজও মনুষ্যত্তকে জলাঞ্জলি দিচ্ছে অনেকে। নিজের ইচ্ছাকে কাজে না লাগাতে পারায় অনেক খুন হচ্ছে আমাদের এই সমাজে। তেমনি জলিল শেখের (২৭) সঙ্গে বিয়ে হয়েছিল ফতেমা সর্দারের। জলিলের দ্বিতীয় স্ত্রী ফতেমা ২০১৪ সালে বিয়ে হওয়ার পর থেকে একটি ভাড়াবাড়িতে থাকত এই দম্পতি। তবে জলিলের প্রথম স্ত্রী পশ্চিমবঙ্গে থাকেন। প্রায়ই ফাতেমাকে দেহ ব্যবসা করার জন্য জোর করত স্বামী জলিল। কিন্তু ফাতেমা তীব্র প্রতিবাদ করতেন।
অর্থলোভী জলিল বারবার স্ত্রীর আপত্তি শোনার পর গত ৫ আগস্ট তাকে হত্যার পরিকল্পনা করে এবং শেষ পর্যন্ত তাকে হত্যা করে সেই অর্থলোভী সমাজের অমানুষ নামে কীট ক্ষুব্ধ জলিল। এরপর স্ত্রীর মৃতদেহ একটি কম্বলে মুড়িয়ে প্লাস্টিকের ব্যাগে ঢুকিয়ে রাখে জলিল। মরদেহটি দেহটি একটি স্থানে লুকিয়ে পালিয়ে কলকাতা চলে যায় সে ।
এদিকে প্রায় তিন সপ্তাহ আগে ভারতের নয়াদিল্লিতে এই মর্মান্তিক হত্যাকাণ্ড ঘটে বলে দেশটি গণমাধ্যম এনটিভি’র খবরে বলা হয়েছে। এর একদিন পর ৬ আগস্ট দেহটি উদ্ধার করে পুলিশ। হত্যাকাণ্ডের পর থেকেই পলাতক স্বামীকে খুঁজছিল পুলিশ। অবশেষে কলকাতা থেকে জলিল শেখকে গ্রেফতার করা হয়।
কলকাতার ডেপুটি কমিশনার অফ পুলিশ আর্য জানান, ফতেমাকে দেহ ব্যবসার করার জন্য প্রায়ই জোর করত স্বামী জলিল। ফাতেমা দেহ ব্যবসা করবেন না বলে তীব্র প্রতিবাদ করতেন। বারবার আপত্তি করার পর ফাতেমার স্বামী ক্ষুদ্ধ জলিল তাকে হত্যা করে।
এদিকে জানা যায় গত ১৭ আগস্ট পশ্চিমবঙ্গ থেকে পুলিশ একটি ফোন পায়। সেই ফোনে ফাতেমা সম্পর্কে তাদের জানানো হয়। নোটিসে পুলিশের প্রকাশ করা ছবিটি তাদের আত্মীয়া দক্ষিণ ২৪ পরগনার বাসিন্দা ফতেমা সর্দারের বলে জানায়। ময়নাতদন্তের পরে ফতেমার মরদেহ তার বাবা ও কাকার হাতে তুলে দেয় পুলিশ। জলিল এখন কারাগারে আছেন। ফাতেমার বাবা ও আত্নিয়রা জলিলের দৃষ্টান্ত মূলক শাস্থি চান বলে জানান পুলিশ ও গণমাধ্যম।
মানবকণ্ঠ