Tuesday, April 30বাংলারবার্তা২১-banglarbarta21
Shadow

রেলওয়ে নিরাপত্তা কর্মী পারভেজ মাদক পাচার ও অপহরন বানিজ্য করে কোটি টাকার মালিক

বাংলাদেশে রেলওয়ে নিরাপত্তা কর্মী মো: পারভেজ, তার বাবা একসিডেন্ট করে মৃত্যুর পর পৈত্রিক সূত্রে ও উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সুপারিশে তাকে চাকুরি দেন বাংলাদেশ রেলওয়ে কর্তপক্ষ। তার সুবাধে তিনি টাইগার পাস ১৪/২, এফ/২ (তয় তলায়) বাম পাশ্বে এ একটি কোয়াটার পেয়ে যান। বিশ্বস্ত সুত্রে জানা গেছে তিনি একদিন ও ডিউটি না করে প্রতি মাসে সরকারী বেতন তুলে নিয়ে যান। আর কোয়াটারের একরুম ভাড়া দেন পাবলিককে। যার মাধ্যমে তিনি চালিয়ে যান অপরাধ বানিজ্য। আরো জানা গেছে তিনি ২/৩টি বিয়ে করেছেন যখন যাকে দরকার তাকে দিয়েই বাড়াটিকে আটকিয়ে তাদের সাথে খারাপ আচরন বা অপহরনের নাকট করে টাকা আদায় করেন। তার নেপত্তে আছে তার ভাই মো: হেলাল সহ অন্যান্যরা। আর চাকুরির বিষয়ে তাকে সহযোগিতা করেন তার বিভাগের উর্ধ্বতন অসাধু কর্মকর্তারা। তার একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান আছে টাইগার পাস নৌবাহিনি অফিসের সামনের কলোনী বটগাছের নিকটে পারভেজ মিডিয়া। তিনি সেখানেই ব্যবসা করেন। আর মাস শেষ হলে রেলওয়ে থেকে বেতন তুলে নিয়ে আসেন।
তিনি সব সময় সরকারী কোয়াটারে পাবলিক ভাড়া দেন এবং তাদের সাথে বিভিন্ন নাটক করে অপহরন করে তাদের থেকে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নেন। এমনি একটি অভিযোগ ২০০৯ সালে রেলওয়ে নিরাপত্তা বিভাগে জমা পড়ে। ঘটনার বিবরনে জানা যায় ভুক্তভুগি ২০০৯ সালের মার্চ মাসে তার একটি রুমে ২ হাজার ৫ শত টাকা ভাড়ায় উঠেন। ১ মাস যাওয়ার পর হঠাৎ তাদের সাথে অসধাচরন শুরু করলে তারা প্রতিকার করায় তারা তাদের ঘরে আটকে রেখে ১ লক্ষ টাকা দাবি করে। পরে তাদের আতিœয়রা আসলে তাদেরও বিভিন্ন হুমকি প্রদান করে। যার কারণে তারা পারভেজের সাথে ২০ হাজার একটি চুক্তিতে আসে। যে চেকটি মো: কবির হোসেনের একাউন্ট এনসিসি ব্যাংক মাঝিরঘাট শাখা থেকে উত্তোলন করা হয়। আর চেকটি মো:হাবিবের কাছ থেকে বুঝিয়ে নেয় তার একটি স্বাক্ষর ও করেন পারভেজ।
পরে বিষয়টি নিয়ে ভুক্তভোগি মে ২০০৯ সালে চেকের ফটোাকপি সহ চিফ কমান্ডেন্ট বরাবর একটি অভিযোগ দেন। অভিযোগে পুরো ঘটনা উল্ল্যেখ করার পর চিফ কমান্ডেন্ট বিষয়টি আমলে নেন। তিনি তখনকার এস আই এয়ার আলীকে বিষয়টি তদন্তের জন্য নির্দেষ দেন। পরে এস আই এয়ার আলী পারভেজের সাথে যোগাযোগ করে ভুক্তভোগিকে ডেকে নিয়ে অপমান করে ও এসব অভিযোগ উঠিয়ে নিতে জোর তাগিদ দেয় এবং পারভেজ সহ বিভিন্ন লোকসহ ভুক্তভোগিকে অপমান অপদস্থ ও মেরে ফেলারও হুমকি প্রদান করে। পরে ভুক্তভোগি ৭ মার্চ ২০০৯ সালে এস আই এয়ার আলি থেকে তদন্তভার তুলে নিয়ে সরাসরি পুনরায় তদন্ত করতে আবারো একটি আবেদন করেন। ভুক্তভোগির আবেদনের প্রেক্ষিতে চীফ কমান্ডেন্ট সিআই রেলওয়ে পাড়াহতলী চট্টগ্রামকে তদন্তের ভার দিয়ে একটি প্রতিবেদন দাখিল করতে বলেন।
সিআই ভুক্তভোগিকে পাহাড়তলি ডেকে নিয়ে যান এবং বিষয়টি সম্পর্কে সব জানতে চান। সব বিষয় শুনে তিনি ভুক্তভোগিকে বিদায় দেন। কিন্তু সে তদন্তের রিপোট আজ ও পর্যন্ত প্রকাশ করা হয়নি। জানা গেছে ভুক্তভুগি বারবার সিআরবিতে গেলে তাকে অন্যান্য কর্মকর্তারা অপমান করে তাড়িয়ে দিচ্ছে। সে বিচার পাওয়ার জন্য আজও আশাবাদি। ভুক্তভোগি বলেন যাদেরকে পারভেজ বাসা ভাড়া দেন তারা সর্বোচ্চ ২ মাস থাকেন পরে কোন কারন দেখিয়ে আটকিয়ে মুক্তিপন আদায় করে কৌশলে তাদের মাসের মাঝখান হলেও সেখান থেকে বাহির করে দেন। ভুক্তভোগি বলে আমি নিরপরাধ আমি কোন অন্যায় করিনি তাই চীফ কমান্ডেন্ট বরাবর অভিযোগ দেওয়ার পরও আমি কোন বিচার পাইনি। ভুক্তভোগি সহ আরো লোকজন এহেন সরকারি চাকুজিবি একজন কিভাবে কোন ডিউটি না করে বেতন নিয়ে যাচ্ছে আর সরকারী কোয়াটার নিয়ে পাবলিককে বাসা ভাড়া দিচ্ছে তা খতিয়ে দেখা সহ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করতে তিনি আশাবাদি। চলবে

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *