বিশ্ব বার্তা: গত ডিসেম্বরে চীনের ওবেই প্রদেশ থেকে চড়িয়ে পড়া করোনাভাইরাসের একটি ‘বিশেষ দুর্বলতা’ খুঁজে পেয়েছেন রাশিয়ার বিজ্ঞানীরা । সংবাদমাধ্যম স্পুটনিক নিউজ জানিয়েছে, সাইবেরিয়ার নভোসাবিরস্কে ভেক্টর স্টেট রিসার্চ সেন্টার অব ভাইরোলজি অ্যান্ড বায়োটেকনোলজিতে গবেষণারত বিজ্ঞানীদের দাবি অনুযায়ী, স্রেফ পানি দিয়ে করোনাভাইরাসের বৃদ্ধি ঠেকানো যেতে পারে।
রাশিয়ার সংবাদমাধ্যম স্পুটনিকে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গবেষণায় বিজ্ঞানীরা দেখেছেন, প্রথম ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ঘরের স্বাভাবিক তাপমাত্রায় রাখা পানির সংস্পর্শে এসে মরে যায় প্রায় করোনাভাইরাসের ৯০ শতাংশ উপাদান। আর ৭২ ঘণ্টায় মরে যায় প্রায় ৯৯ দশমিক ৯ শতাংশ। বিজ্ঞানীরা আরও দাবি করেছেন, ফুটন্ত পানির সংস্পর্শে এলে করোনাভাইরাস সম্পূর্ণভাবে এবং সঙ্গে সঙ্গে নিশ্চিহ্ন হয়।
আরও পড়ুন : নতুন দল নিয়ে মালশিয়ার মানচিত্রে আবারো মাহাথির মোহাম্মদ
রাশিয়ার বিজ্ঞানীদের গবেষণায় আরও দেখা গেছে, নোনা জলে করোনাভাইরাস বংশ বৃদ্ধি করতে পারে না। তবে কিছুক্ষণ সক্রিয় থাকতে পারে। সে সময় পানির তাপমাত্রার ওপর নির্ভর করে ভাইরাসের আয়ু। বিজ্ঞানীরা জানান, এই ধরনের পানিতেও দ্রুততার সঙ্গে মারা যায় ভাইরাস।
অন্যদিকে বিশ্বে প্রথম করোনাভাইরাসের শতভাগ সফল টিকা আবিষ্কারের দাবি করেছে রাশিয়া। জুলাইয়ে প্রথম এই টিকার কথা জানানোর পর আগস্টে এসে এর সফলতা দাবি করছে দেশটি। অক্টোবর থেকে রাশিয়ার সাধারণ মানুষের মধ্যে এই টিকা প্রয়োগ করার কথাও জানা যাচ্ছে। এছাড়া ২০২১ সালেই লাখ লাখ ডোজ টিকা তৈরির প্রস্তুতিও নেয়া হচ্ছে।
গভেষনা মস্কোভিত্তিক গামেলিয়া ইনস্টিটিউটের তৈরি এই টিকাকে বিশ্বের প্রথম কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন বলে দাবি করে তা গ্রহণের জন্য একটি হাসপাতাল স্বাস্থ্যকর্মীদের তালিকা করেছে। স্বেচ্ছাসেবী হিসেবে সরকারি কর্মকর্তারাও টিকা গ্রহণের চিঠি পেয়েছেন বলে জানিয়েছে নিউইয়র্ক পোস্ট।
আরও পড়ুন : সিটি মেয়র আজম নাছিরের মেয়াদ শেষ খোরশেদ আলম সুজনকে চসিকের নতুন প্রশাসক নিয়োগ
এর কার্যপ্রক্রিয়া সঠিক করার জন্য আরও ১ হাজার ৬০০ জনের ওপর পরীক্ষা করতে হবে এমন শর্তে রাশিয়ান ডিরেক্ট ইনভেস্টমেন্ট ফান্ডের সঙ্গে গামেলিয়া ইনস্টিটিউটের যৌথভাবে তৈরি টিকাটি নিবন্ধন পাচ্ছে এ মাসেই। আর সেপ্টেম্বর থেকেই এ টিকার উৎপাদন শুরু হবে বলে ২৯ জুলাই প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে জানিয়েছেন ডেপুটি প্রধানমন্ত্রী তাতিয়ানা গোলিকোভা। তবে রাশিয়ার এই টিকাটি বিশ্বের জন্য আশির্বাদ আনতে পারে বলে ধারনা বিশেষজ্ঞদের।