Saturday, May 4বাংলারবার্তা২১-banglarbarta21
Shadow

মামার ধর্ষনের শিকার ভাগনে ৩৬ বছর পর অভিযোগ দায়ের

হয়তো ছিল এটি এক লোমহর্ষক কাহিনি। শুরুর দিকটা শিশু বয়স থেকেই। আর সেই ধর্ষণ করত তারই আপন মামা! তার জন্য বেশ কয়েকবার করাতে হয়েছে গর্ভপাত! শেষ পর্যন্ত ৪০ বছর বয়সে এসে ধর্ষণের অভিযোগ দায়ের করলেন নির্যাতিতা।

তারও তিন বছর পর আদালত চার্জ গঠনের নির্দেশ দিল অভিযুক্তের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে ভারতে।
দিল্লি আদালতের এই ভয়ঙ্কর ধর্ষণের মামলা সামনে আসার পর নানা মহলে শুরু হয়েছে তোলপাড়।

অভিযুক্ত ও তার সন্তানদের মঙ্গলবার দিল্লি আদালতের অতিরিক্ত দায়রা বিচারক উমেদ সিংহ গ্রেওয়াল চার্জ গঠনের নির্দেশ দিয়ে বলেছেন, প্রাথমিকভাবে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে ধর্ষণ ও ফৌজদারি অপরাধের তথ্যপ্রমাণের সত্যতা মিলেছে। যদিও অভিযুক্তের আইনজীবী আদালতে চার্জ গঠনের বিরোধিতা করেন। ২০১৬ সালে অভিযোগ দায়ের করেছিলেন নির্যাতিতা। তিন বছর পর সেই মামলায় চার্জ গঠন হল।

অভিযোগপত্রে নির্যাতিতা জানিয়েছেন, অভিযুক্ত প্রথম তাকে ধর্ষণ করেন ১৯৮১ সালে, যখন তার বয়স মাত্র চার বছর। তার পর থেকে দশম শ্রেণি পর্যন্ত লাগাতার চলতে থাকে ধর্ষণ। তার জেরে এই সময়ের মধ্যে তিনবার তাকে গর্ভপাত করাতে হয়। এর পর ওই তরুণীর বিয়ে হয়ে যায়। কিন্তু স্বামীর সঙ্গে বনিবনা না হওয়ায় ২০১৪ সালে বিবাহবিচ্ছেদ হয়ে যায় তার।

নির্যাতিতা মহিলার অভিযোগ, বিচ্ছেদের পর ফের তার সঙ্গে যৌন সম্পর্কের চাপ দিতে শুরু করেন অভিযুক্ত। কিন্তু নারী রাজি হননি। এর মধ্যে আবার অভিযুক্তের সঙ্গে বিয়ে হয় তার সৎ বোনের। সেই বিয়ের পর থেকে বোন ও জামাইবাবুও নির্যাতিতার বাড়িতে থাকতে শুরু করেন। ফলে সেই চাপ আরও বাড়তে থাকে।

সেই সময় বাধ্য হয়ে মা-বাবা ও পরিবারের লোকজনকে গোটা ঘটনা জানান নির্যাতিতা। নির্যাতিতার দাবি, পরিবারের লোকজনও তাকে সাহায্য করেননি বা পাশে দাঁড়াননি। উল্টো বিষয়টি চেপে যাওয়ার কথা বলেন।

পরিবারের লোকজন তাকে মারধর করে বলেও অভিযোগ করেছেন তিনি।

নির্যাতিতার আরও অভিযোগ, শুধু অভিযুক্তই নন, তার ছেলেরা এবং পরিবারের অন্য সদস্যরা তাকে নিয়মিত খুনের হুমকিও দিচ্ছেন। যদিও অভিযুক্তের আইনজীবীর বক্তব্য, অভিযোগের সারবত্তা নেই। পুরোটাই সাজানো। সূত্র: আনন্দবাজার

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *