বার্তা প্রতিনিধি: হায়রে মাতবতা। একেমন নিষ্ঠুরতা। মাথার ওপর কাঠফাটা রোদ। এমন রোদের মধ্যে যেখানে একা একাই হেঁটে যাওয়া দুষ্কর, সেখানে এক যুবককে কাঁধে নিয়ে খোলা মাঠের মধ্যে দিয়ে খালি পায়েই হেঁটে যাচ্ছেন এক তরুণী। আর তাকে ঘিরে নানা বয়সের মানুষের ভিড়।
এটি কোনো খেলা বা প্রতিযোগিতা নয়। কিংবা অসুস্থ কোনো ব্যক্তিকেও বহন করছেন না তিনি। শাস্তি হিসেবে ওই তরুণীকে গ্রাম ঘোরানো হচ্ছে। ভারতের মধ্যপ্রদেশের ভোপাল থেকে প্রায় ৩৪০ কিলোমিটার দূরে দেবীগড় গ্রামের এই ঘটনার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়ে গেছে।
এক মোবাইল ভিডিওতে দেখা গেছে, হাঁটার সময় ওই তরুণীর পা টলছে, কাঁপছে শরীরও। দেখে মনে হচ্ছে কাঁধের ভার সইতে না পেরে এই বুঝি মাটিতে লুটিয়ে পড়বেন। ওই যুবতী কাঁধে বহন করছেন তার স্বামীকে। আর এই দৃশ্যই তাড়িয়ে তাড়িয়ে উপভোগ করছেন মাতব্বরসহ গ্রামবাসী। ওই তরুণী ক্লান্ত হয়ে একটু থামলেই আশপাশ থেকে ভেসে আসছে হুমকি। ওই তরুণীর কষ্ট দেখে আশপাশের মানুষেরা যেন আনন্দে মেতেছেন। কেউ নাচছেন।, কেউবা আবার সেই দৃশ্য ক্যামেরাবন্দি করছেন।
ভারতের জিনিউজের এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, ভিন্ন জাতের ছেলেকে বিয়ে করার ‘অপরাধে’ ওই তরুণীকে এমন শাস্তি দিয়েছেন গ্রামের মাতব্বররা।
যখন এই ভিডিও প্রকাশ্যে আসে তখন সারা ভারতে নিন্দার ঝড় উঠেছে। সবার প্রশ্ন, প্রাপ্ত বয়স্ক দু’জন স্বেচ্ছায় বিয়ে করেছেন, তারপরও কোন নিয়মে এমন শাস্তি ভোগ করতে হবে তাদের?
এদিকে ঘটনার জন্য পুলিশ বাদী হয়ে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন। ঝাবুয়া থানার এসপি বিনীত জৈন বলেন, ওই তরুণীকে অপমান করার কারণে প্রত্যেকের বিরুদ্ধেই অভিযোগ দায়ের হয়েছে। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত দু’জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। জড়িত অন্যান্যদের ধরতে পুলিশ অভিযান চালাচ্ছেন।
সূত্র: সমকাল