Sunday, May 5বাংলারবার্তা২১-banglarbarta21
Shadow

বাংলাদেশের ই-কমার্সগুলো ভোক্তাদের সেবায় একযোগে কাজ করার প্রত্যয়ে

নিজস্ব বার্তা: বৈশ্বিক আতংকিত মহামারী করোনাভাইরাস বর্তমানে সারা বিশ্বকে একযোগে আতঙ্কিত করে রেখেছে যার ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে প্রতিটি মানুষের দৈনন্দিন জীবন। এই সঙ্কটের মাঝে ভোক্তাদের ক্রমাগত পণ্য সরবরাহের দায়িত্ব পালনে এক জোটে কাজ করে যাচ্ছে দেশের শীর্ষস্থানীয় ই-কমার্স ও ডেলিভারি কম্পানিগুলো। যাদের একমাত্র লক্ষ্য হলো গ্রাহকদের সুরক্ষিত রেখে তাদের নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসগুলো দোরগোড়ায় ডেলিভারি দেওয়া। জাতির সেবায় একযোগে নিয়োজিত থাকা কম্পানিগুলোর মধ্যে রয়েছে দারাজ, চালডাল, বাগডুম, পিকাবু, ফুডপান্ডা এবং উবার ইটস।

স্টে সেফ, লেট আস ডেলিভার (নিরাপদে থাকুন, ডেলিভারি আমরাই করছি)- এই মূলমন্ত্রে দেশের সঙ্কটপূর্ণ অবস্থায় গ্রাহকরা যাতে সহজেই নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিস যেমন- চাল, ডাল, আটা, ময়দা, নুডুলস, পাস্তা, সাবান, হ্যান্ডওয়াশ, স্যানিটাইজার, চিনি, চা, ইত্যাদি আনলাইনে কিনতে পারেন, সেই লক্ষ্যে কাজ করছে ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান দারাজ এবং স্বাস্থ্যসম্মতভাবে তা ঢাকাসহ ৩০টি জেলায় ডেলিভারিও করছে।

যেহেতু এই মুহূর্তে ঘরের বাইরে বাজার করতে যাওয়া অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ সেহেতু চালডাল ডটকম দিচ্ছে গ্রাকদের সহজ সমাধান। এই ই-কমার্স সাইট থেকে ক্রেতারা সহজেই শাক-সবজি, ফল-মূল, মাছ-মাংস, দুধ, ফ্রোজেন ফুড, রুটি, বেকারি, ডায়াবেটিক খাবার এবং অন্যান্য ধরনের প্রয়োজনীয় পণ্য যেমন পরিষ্কারের সরঞ্জাম, বাড়ির সরঞ্জাম, সৌন্দর্য পণ্য, শিশু খাদ্য, পোষা প্রাণীর খাবার ইত্যাদি অর্ডার করতে পারেন। বর্তমানে চালডাল শুধুমাত্র ঢাকা শহরের মধ্যে তাদের সেবা দিচ্ছে।

এছাড়াও বিভিন্ন রেস্টুরেন্টের খাবার বাসায় ডেলিভারি করছে ফুডপান্ডা ও উবার ইটস। এছাড়াও করোনার বিস্তার রোধে প্রতিষ্ঠান দুটি অনলাইন পেমেন্ট ও কন্টাক্টলেস ডেলিভারি করতে ক্রেতাদের উদ্বুদ্ধ করছে যার মাধ্যমে গ্রাহক সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে ডেলিভারি গ্রহণ করতে পারবে।

পিকাবু ও বাগডুমে এই মুহূর্তে অর্ডার নেওয়া চলছে যেগুলোর ডেলিভারি শুরু হবে ৪ঠা এপ্রিলের পর থেকে।

উল্লেখ্য, প্রতিষ্ঠানগুলোর ডেলিভারি এজেন্টরা সর্বদা মাস্ক এবং গ্লাভস পরে এবং গ্রাহকের দোরগোড়ায় প্যাকেজটিকে জীবাণু মুক্ত করে ডেলিভারি দিচ্ছে। সতর্কতামূলক ব্যবস্থা স্বরূপ রাইডারদের হ্যান্ড স্যানিটাইজারও সরবরাহ করেছে প্রতিষ্ঠানগুলো। সমস্ত কর্মচারীদের এবং লজিস্টিক দলের সকল সদস্যের শারীরিক তাপমাত্রা ফোরহেড থার্মোমিটারের সাহায্যে দিনে কয়েকবার করে পরীক্ষা করা হচ্ছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *