বার্তা প্রতিনিধি: বিগত কয়েক বছরে বাংলাদেশ থেকে বিভিন্ন পত্রপত্রিকা ও অনলেইনে প্রকাশিত খবরে ভিত্তিতে দুবাইয়ে অর্থ প্রাচার ও ৪৫৯ বাংলাদেশির হাজারের বেশি প্রপার্টি কেনার অভিযোগের বিষয়ে অনুসন্ধান করার নির্দেশ দিয়েছেন বাংলাদেশের হাইকোর্ট।
জানা গেছে বাংলাদেশের একটি দৈনিক পত্রিকা বণিক বার্তায় প্রকাশিত খবরের ভিত্তিতে বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ), দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক), সিআইডি ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে (এনবিআর) অনুসন্ধান করতে বলা হয়েছে। অনুসন্ধান শেষে একমাসের মধ্যে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করতে হবে।
এরই ধারাবাহিকতায় গত রোববার (১৫ জানুয়ারি) বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি খিজির হায়াতের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
সেই সঙ্গে এ সংক্রান্ত প্রতিবেদনের সত্যতা সম্পর্কে ‘বণিক বার্তা’কে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে। পাশাপাশি দুবাইয়ে ৪৫৯ বাংলাদেশির হাজার প্রপার্টি কেনার অভিযোগের বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে কর্তৃপক্ষের নিষ্ক্রিয়তা কেন অবৈধ হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট বেঞ্চ।
দুবাইয়ে বাংলাদেশীদের অর্থ প্রাচার আর সেখানে বিলাস বহুল বাড়ী ও বিভিন্ন প্রপার্টি কেনার বিষয়ে আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন ও অ্যাডভোকেট সুবীর নন্দী দাস।
খবর নিয়ে জানা যায় অ্যাডভোকেট সুবীর নন্দী দাসের সমন্বয়ে গত ১২ জানুয়ারি সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাইয়ে ৪৫৯ বাংলাদেশির সম্পদ থাকার বিষয়ে অনুসন্ধানের নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে সম্পূরক রিট আবেদন করা হয়।
হাইকোটে অ্যাডভোকেট সুবীর নন্দী দাস জনস্বার্থে এ আবেদন দায়ের করেন। আবেদনে দুদক, বিএফআইইউ, এনবিআর ও সিআইডিসহ সংশ্লিষ্টদের বিবাদী করা হয়েছে।
অ্যাডভোকেট সুবীর নন্দী ১১ জানুয়ারি জাতীয় পত্রিকা “দৈনিক বনিক বার্তা” ‘দুবাইয়ে ৪৫৯ বাংলাদেশির হাজার প্রপার্টি’ শিরোনামে প্রকাশিত প্রতিবেদন সংযুক্ত করে এ আবেদন করা হয়।
এদিকে ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন ও অ্যাডভোকেট সুবীর নন্দী দাস মনে করেন যদি বাংলাদেশী এইসব প্রতারক অর্থ প্রাচার সম্পর্কে জানা যায় তাহলে তাদের বিচারের সম্মুখিন করে সরকারের মাধ্যমে সেই অর্থ দেশে পিরিয়ে আনা সম্ভব হবে।