৫ সেপ্টেম্বর, ২০১৯ । বিকাল ৫টা । থিয়েটার ইনস্টিটিউট, চট্টগ্রাম
বাবলা চৌধুরী-চট্টগ্রাম প্রতিনিধি: জাগরণের আহ্বান- সুপ্ত প্রতিভাকে জাগ্রত করে দেশ, জাতি তথা মানব কল্যাণে নিজেদের নিয়োজিত করার মানসে একুশ প্রতিনিয়ত কাজ করে যাচ্ছে। নতুন প্রজন্মের কাছে প্রমিত ভাষার চর্চা ও প্রগতিশীল আগামী সমাজ বিনির্মাণে ধারাবাহিকভাবে সুস্থ সংস্কৃতি সম্প্রসারণে ‘একুশ’ প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। এর ধারাবাহিকতায় ৫ সেপ্টেম্বর, ২০১৯ বৃহস্পতিবার বিকাল ৫টায় থিয়েটার ইনস্টিটিউট চট্টগ্রামে একুশ ‘জাগরণের আহ্বানপর্ব-২’ শিরোনামে প্রগতিশীল সমাজ বিনির্মাণে এবং মানবতার উন্নয়নে স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের সাথে স্বেচ্ছাসেবকদের নিয়ে ভিন্নধর্মী এক আলোচনা সভার আয়োজন করে।
আয়োজনের শুরুতে একুশের সাধারণ সম্পাদক অনির্বাণ চৌধুরী জিকুর সম্পাদনায় আলোচনা সভার প্রবন্ধ ‘প্রগতিশীল সমাজ বিনির্মাণ এবং মানবতার উন্নয়ন : শিক্ষক, স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ও স্বেচ্ছাসেবক’ পাঠ করবেন একুশের অনুষ্ঠান ও কর্মশালা বিষয়ক সম্পাদক বিজয় চক্রবর্ত্তী। এরপর একুশের সহ-সভাপতি ড. শ্যামল কর্মকারের সভাপতিত্বে আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিজিসি ট্রাস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. সরোজ কান্তি সিংহ হাজারী, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজ বিজ্ঞান অনুষদের সাবেক ডিন অধ্যাপক হোসাইন কবির, স্মমিলিত আবৃত্তি জোট চট্টগ্রামের সভাপতি অঞ্চল চৌধুরী, কবি ও সাংবাদিক কামরুল হাসান বাদল, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ফলিত রসায়ন ও কেমিকৌশল বিভাগের অধ্যাপক ড. সুমন বড়ুয়া, প্রিমিয়ার ইউনিভার্সিটির ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদের সহকারী অধ্যাপক রাজীব দত্ত।
এছাড়া আলোচনায় বক্তব্য রাখেন হাজী মুহাম্মদ মহসিন সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা ইতিকণা চৌধুরী, হাজী বাদশা মিয়া কলেজের প্রভাষক সুদর্শন চক্রবর্তী, পাহাড়িকা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সিনিয়র শিক্ষক রাসেল মামুন, পাথরঘাটা সিটি কর্পোরেশ বালক উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক দীপংকর গুপ্ত, বাংলাদেশ নারী প্রগতি সংঘের উন্নয়ন কর্মকর্তা এস. এম. এরশাদুল করিম। আয়োজনে আরও উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রামের বিভিন্ন সাংস্কৃতিক ও সামাজিক সংগঠনের প্রতিনিধিবৃন্দ। অনুষ্ঠান সঞ্চালনায় ছিলেন একুশের সাধারণ সম্পাদক অনির্বাণ চৌধুরী জিকু।
আলোচনায় বক্তারা শ্রেণিহীন, শোষণ মুক্ত অসাম্প্রাদায়িক বাংলাদেশে গড়ার কথা বলেন। সকল অশুভ অন্ধকারকে সরিয়ে একটি স্বর্ণালী ভোরের প্রত্যাশায় চলমান সাংস্কৃতিক আন্দোলনের সমসঙ্গী, বাংলা ভাষার প্রমিত চর্চা ও মানবতার সেবায় প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে দেশ-সমাজ-সাহিত্য-শিল্প অঙ্গনকে রাঙাতে নব প্রেরণায় কাজ করে যাবার পরামর্শ দেন। আয়োজনে একক আবৃত্তি পরিবেশন করেছেন বোধন আবৃত্তি পরিষদ চট্টগ্রামের আবৃত্তিশিল্পী তৈয়বা জহির আরশি ও তারুণ্যের উচ্ছ্বাসের সাধারণ সম্পাদক আবৃত্তিশিল্পী মো. মুজাহিদুল ইসলাম। প্রমিত ভাষার চর্চা ও প্রগতিশীল আগামী সমাজ বিনির্মাণে ধারাবাহিকভাবে সুস্থ সংস্কৃতি সম্প্রসারণে এক নব জাগরনের আহবান ‘একুশ’।