বার্তা প্রতিনিধি: এবার যুব নারীদের ধরতে মাঠে নেমেছে আইনশৃংখলা বাহিনি। নরসিংদী জেলা যুব মহিলা লীগের সদ্য বহিষ্কৃত সাধারণ সম্পাদক শামিমা নূর পাপিয়া ও তার স্বামী মফিজুর রহমান ওরফে সুমন চৌধুরীর ফার্মগেটের বাসায় অভিযান চালিয়েছে র্যাব। এ সময় সেখান থেকে বিদেশি অস্ত্র, ম্যাগজিন, গুলিসহ বিপুল পরিমাণ টাকা উদ্ধার করা হয়। রোববার র্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল সারোয়ার বিন কাশেম বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
সারোয়ার বিন কাশেম জানান, র্যাব-১-এর একটি বিশেষ দল অভিযান চালায় পাপিয়া-সুমন দম্পতির বাসায়। এ সময় বাসা থেকে বিদেশি অস্ত্র, ম্যাগজিন, গুলি, বিদেশি মদ ও বিপুল পরিমাণ অবৈধ টাকা উদ্ধার করা হয়।
রোববার বিকেলে রাজধানীর কাওরানবাজারের র্যাব মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানানো হবে বলেও জানায় বাহিনীটি।
পালিয়ে দেশত্যাগ করার সময় গতকাল শনিবার রাজধানীর শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে শামিমা নূর পাপিয়া (২৮) এবং তার স্বামী ও অপরাধের সহযোগী মফিজুর রহমান ওরফে সুমন চৌধুরী ওরফে মতি সুমন (৩৮), সাব্বির খন্দকার (২৯), ও শেখ তায়্যিবাকে (২২) গ্রেপ্তার করে র্যাব।
র্যাব বলছে, গ্রেপ্তারকৃতরা নরসিংদী ও ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় অবৈধ অস্ত্রের কারবার, মাদককারবার, চাঁদাবাজিসহ নারীঘটিত অসামাজিক কর্মকাণ্ডে জড়িত। তারা হুণ্ডির মাধ্যমে বিপুল পরিমাণ অর্থ বিদেশে পাচার করেছে।
গতকাল সন্ধ্যায় কারওয়ানবাজারে র্যাব মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান র্যাব-১ অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল শফিউল্লাহ বুলবুল। তিনি বলেন, অনুসন্ধানে র্যাব জানতে পারে, গ্রুপটি দীর্ঘদিন ধরে অবৈধ অস্ত্র ব্যবসা, মাদক ব্যবসা, চাঁদাবাজিসহ বিভিন্ন অনৈতিক কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে অর্জিত অর্থ গোপনে দেশের বাইরে পাচার করে আসছে। টাকা পাচারের পর তারা গোপনে দেশত্যাগের জন্য বিমানবন্দরে অবস্থান করছে এমন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গতকাল বেলা সাড়ে ১১টার দিকে র্যাব-১-এর একটি আভিযানিক দল হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ওই চারজনকে গ্রেপ্তার করে। এ সময় তাদের কাছ থেকে ৭টি পাসপোর্ট, ২ লাখ ১২ হাজার ২৭০ টাকা, ২৫ হাজার টাকা মূল্যের জালনোট, ৬০০ ভারতীয় রুপি ৩১০, ৪২০ শ্রীলংকান মুদ্রা, ১১ হাজার ইউএস ডলার এবং ৭টি মোবাইল ফোন জব্দ করা হয়।
লে. কর্নেল শফিউল্লাহ বুলবুল প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে জানান, অবৈধভাবে অর্থপাচার ও জাল টাকা প্রস্তুতকারী এ গ্রুপের প্রধান শামিমা নূর পাপিয়া এবং তার স্বামী মফিজুর রহমান সুমন তার সহযোগী। এ ছাড়া সাব্বির খন্দকার ও শেখ তায়্যিবা তার ব্যক্তিগত সহকারী (পিএস)। এরা এতদিন যুবমহিলা লীগের ব্যানারে এসব কাজ করত বলে জানা গেছে।
সূত্র: চাহিদা