Friday, April 26বাংলারবার্তা২১-banglarbarta21
Shadow

অর্থমন্ত্রী বললেন কোরিয়া মালয়শিয়া ও চীন পারলে আমরাও পারব

বার্তা প্রতিনিধি: জাতীয় সংসদে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেছেন, চীনে এক সময় খাদ্য সংকট ছিল। তাদের অধিকাংশ মানুষের খাবার ছিল না। অথচ আজকে তারা বিশ্বের এক নম্বর দেশে পরিণত হতে যাচ্ছে। আগামীতে আমরাও চীনের সমান হতে পারবো।

গত শনিবার জাতীয় সংসদে প্রস্তাবিত ২০১৯-২০ অর্থবছরের বাজেটে (অর্থবিলের ওপর) সমাপনী বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। অর্থমন্ত্রী আরও বলেন, এ বাজেটের সুফল ২০২৪ সাল পর্যন্ত পাওয়া যাবে। বাজেটটি শুধু একটি বছরের জন্য নয়। বাজেটটির ফাউন্ডেশন এই বছর। কিন্তু এই বাজেটটি থেকে ২০৪১ সাল পর্যন্ত অর্জন করতে পারবো। সেইভাবে আমরা বাজেটটি প্রণয়ন করেছি। আমি বিশ্বাস করি, ২০২৪ সালে আমরা ডাবল ডিজিট গ্রোথে পা রাখবো। ২০২৪ সাল থেকে শুরু করে ২০৩০ সাল পর্যন্ত এই বাজেটের ফলাফল পাবো।
অর্থমন্ত্রী বলেন, একটা দেশ এবং জাতির সাথে অনেক মিল আছে। মানুষের জীবনে যেমনিভাবে সম্ভাবনা সৃষ্টি হয় ঠিক তেমনিভাবে দেশের ক্ষেত্রেও সেটা সম্ভব হয়। দেশের ক্ষেত্রে সম্ভব হয় বলেই আমরা আমাদের এই বাজেটে টাইটেল রেখেছি ”সময় এবার আমাদের, সময় এখন বাংলাদেশের”। এটা ইচ্ছাকৃতভাবে লেখা হয়েছে।

মন্ত্রী আরো বলেন, আমরা কী দেখতে পাই? আমরা যদি মালয়েশিয়ার দিকে তাকাই? ৩০ বছরের মধ্যে মালয়েশিয়া চলে গেছে তাদের কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে, কাঙ্ক্ষিত জায়গায়। চীনের অবস্থা কি ছিল? চীন সবচেয়ে দরিদ্র দেশ ছিল। চীনের কোনো খাবার ছিল না। অথচ চীন আজকে পৃথিবীর এক নম্বর দেশ।

অর্থমন্ত্রী বলেন, যদি চীন পারে, মালয়েশিয়া পারে, সাউথ কোরিয়া পারে তাহলে বাংলাদেশ অবশ্যই পারবে। আমরা গত দশ বছরে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে নিরলস পরিশ্রম করে আমরা সবাই মিলে বাংলাদেশকে যে জায়গায় নিয়ে এসেছেন। ট্রেন একবার যখন ট্র্যাকের উপর উঠে যায় তখন আর ট্রেন পেছনের দিকে যায় না। কোনো জাতি নাই আমাদেরকে এখান থেকে গতিচ্যুত করতে পারবে। আমরা এগোবই, এগোবই ইনশাল­াহ।

তিনি বলেন, আমরা বেশি ঋণ করি কী না? আমাদের ঋণের পরিমাণ জিডিপির ৫ শতাংশ। মালয়েশিয়ার এর চেয়ে বেশি। ঋণের পরিমাণ হিসাব করা হয় জিডিপি দিয়ে। আমরা ঋণ নেই চীনের কাছ থেকে। চীনের ঋণের পরিমাণ জিডিপির ২৮৪ শতাংশ। ওরা আমাদেরকে ঋণ দেয়। আমাদের ঋণের পরিমাণ জিডিপির ৩৪ শতাংশ। ২০৪১ সাল নাগাদ আমরা আর ঋণ নিবো না। আমরা ঋণ দিব ইনশাআল্লাহ। সারা বিশ্বের মানুষকে ঋণ দিব আমরা।

সূত্র: বিডি-প্রতিদিন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *