Monday, May 6বাংলারবার্তা২১-banglarbarta21
Shadow

অনেক দিন পরে হলেও সৌদে থেকে ধর্ষককে ফিরিয়ে আনলেন ভারতের পুলিশ

মাহমুদুল হাসান: যিনি আশ্রয়দাতা তিনিই আবার ধর্ষক। সুনিল বন্ধুত্বের খাতিরে বাসায় অবাধ যাতায়াত ছিল। এ সময় সুযোগ বুঝে বন্ধুর কিশোরী ভাইঝিকে ধর্ষণ করেন তিনি। এর পর টানা তিন মাস কাকুর লালসার শিকার হয়েছে ওই কিশোরী। যখন বিষয়টা জানাজানি হয়, ততক্ষণে অনেকটাই দেরি হয়ে যায়। আত্মহত্যা করে বসে ওই কিশোরী (১৩)। এদিকে খাল কেটে কুমির আনার অনুশোচনায় আত্মহত্যা করেন সেই মেয়েটির কাকুও। ২০১৭ সালে ঘটনাটি ঘটেছে ভারতের কেরালায়।

তবে ওই সময় ঘটনার পর থানায় মামলা করে নিহতের পরিবার। এ ঘটনার প্রায় দুই বছর পর ধরা পড়েছেন সুনীল কুমার ভাড্রান (৩৮) নামের ওই অভিযুক্ত।

এদিকে ভারতীয় গণমাধ্যম ইন্ডিয়া টাইমসের খবরে বলা হয়েছে, গতকাল বুধবার কেরালা পুলিশের একটি টিম সৌদি আরব থেকে সুনীলকে ধরে আনে। আর এই সাফল্যের নেপথ্যে রয়েছেন নারী আইপিএস অফিসার, কোল্লামের পুলিশ কমিশনার মেরিন জোশেফ।

মেরিন জোশেফ জানান, প্রায় চার মাস আগে সৌদি আরবের পুলিশ ৩৮ বছর বয়সী সুনীলকে তাদের হেফাজতে নেয়। পরে গতকাল বুধবার তাকে কেরালা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়।

ইষ্ট ইন্ডিয়া টুডে টিভিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে জোশেফ বলেন, তিনি মামলা দায়েরের সময় অফিসে মুলতুবি মামলা ফাইল পর্যালোচনা করার সময় এই মামলাটি লক্ষ্য করেছিলেন।

‌তিনি বলেন আমি এই মামলাটি লক্ষ্য করেছি। এটি আমার কাছে গুরুতর অপরাধ ছিল বলে মনে হয়েছিল। আমাদের আন্তর্জাতিক তদন্ত উইং ইতিমধ্যে এই মামলাসহ আরও অনেক মামলায় কাজ করছে। গত ২০ জুন সিবিআই দল আমাদেরকে জানায় যে সৌদি পুলিশ সুনীল কুমারকে গ্রেপ্তার করেছে’, বলেন ওই নারী পুলিশ।

এক প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, অভিযুক্তের বাড়ি কোল্লামে হলেও, কর্মসূত্রে তিনি থাকেন সৌদি আরবে। ২০১৭ সালে দেশে ফিরে তিনি ওই অপকর্ম করেন। কেরালায় থাকাকালীন তিন মাস ধরে বন্ধুর কিশোরী ভাইঝিকে তিনি ধর্ষণ করেন। তার পর আবার ফিরে গিয়েছিলেন কর্মক্ষেত্রে।

এতু কিছুর পরেও এ ব্যাপারে তদন্তে নেমে অভিযুক্তের পরিচয় জানতে পারে পুলিশ। কিন্তু তাকে ভারতে ফিরিয়ে আনতে দুই বছর সময় লেগে গেল। তার পরও চৌকস পুলিশ অফিসারদের হাল না ছাড়ায় আসামীকে ধরে আনতে সক্ষম হয়েছিল পুলিশ।
সূত্র: আমাদের সময়

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *