গত ৭ তারিখ থেকে কোটা আন্দোলনে দেশ স্থবির হয়ে পড়লে ১৮ তারিখ ছাত্ররা টোটাল শাট ডাউন দিলে দেশ জালাও পোড়াও ও ভাংচুরের হাত থেকে রক্ষা করতে ১৮ তারিখ রাত থেকে সরকারী ভাবে কারপিও জারি করা হয়। সাথে আন্দোলন নিয়ন্ত্রন করতে পুলিশের পাশাপাশি র্যাব, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ ও বাংলাদেশ সেনাবাহিন নামায় সরকার। এরই ধারাবাহিকতায় তিন দিন টোটাল বন্ধ হয়ে যায় সব সরকারী ও বেসরকারী অফিস। কারপিও পর্যায়ক্রমে শিথিল করতে থাকায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আসলে আগামীকাল বুধবার ৩১/০৭/২০২৪ইং থেকে স্বাভাবিক সূচিতে চলবে সরকারি-বেসরকারি অফিস। সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত চলবে কার্যক্রম।
আজ মঙ্গলবার ৩০/০৭/২০২৪ইং তারিখ জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, আগামীকাল ৩১ জুলাই (বুধবার) থেকে সব অফিস স্বাভাবিক সময়সূচি অনুযায়ী চলবে।
ছা্ত্রদের কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে সহিংসতার কারণে গত ১৯ জুলাই মধ্যরাত থেকে দেশব্যাপী কারফিউ জারি করে সরকার।
ইতিহাসের অন্যতম কারফিউ জারি হওয়ায় ২১ জুলাই থেকে গত রবিবার থেকে ২৩ জুলাই পর্যন্ত সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয়। পরে কারফিউ শিথিল হওয়ার পর সরকারি-বেসরকারি অফিসগুলোও খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। তবে কমিয়ে দেওয়া হয়েছিল কর্মঘণ্টা। তবে এখনো কয়েক ঘন্টার জন্য জারী আছে কারপিও।
এদিকে শর্ত মোতাবেরক রেল চালুর সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। আর মেট্টোরেল কবে নাগাদ চালু হবে তা এখনো পরিস্কার নয় বলে জানিয়েন কর্তৃপক্ষ। গত ১৮ জুলােই সর্বশেষ স্বাভাবিক সূচিতে অফিস করেছিলেন সরকারী ও আধাসরকারী এবং স্বায়ত্বস্বাশিত চাকরিজীবীরা।
ছাত্রদের কোটা সংস্কার আন্দোলন পরে এটি সরকার হটাও আন্দোলনে রুপ নেয় এবং বাংলাদেশের ইতিহাসে জগন্যতম অধ্যায় রচনা করে দুর্বিত্তরা। এতে বাংলাদেশের ক্ষতি কয়েক হাজার কোটি টাকার মত। আর সরকারী হিসাব মতে মারা যান ১৫০ জন।