বার্তা প্রতিনিধি: পবিত্র রমজানে আবারো রাজধানী ঢাকাতে গ্যাস সংকত তীব্রতর হচ্ছে। ইফতার তৈরী, সেহরীর রান্না সহ অনেক অসুবিধায় গত তিনদিনেও রাজধানীর বেশিরভাগ এলাকায় স্বাভাবিক হয়নি গ্যাস সরবরাহ। সীমাহীন দুর্ভোগে নাকাল নগরবাসী। স্বল্প চাপের কারণে মাটি কিংবা কেরোসিনের চুলা-ই ভরসা এখন। এই রমজানেও গ্যাস নেই, মাটি-কেরোসিনের চুলাই ভরসা ঢাকাবাসীর
এদিকে, বিবিয়ানায় রক্ষণাবেক্ষণের সময় বন্ধ হওয়া ছয়টি কূপের চারটি থেকে শুরু হয়েছে গ্যাস উত্তোলন। সন্ধ্যার মধ্যেই সংকট কেটে যাওয়ার আশা করছে পেট্রোবাংলা।
অনেক পরিবারের মত ছোট্ট দুই নাতি আর প্রতিবন্ধী সন্তানকে নিয়ে গত দুই দিন বাইরে থেকে খাবার কিনে খেলেও নিরুপায় হাওয়া বেগম। তাই বাধ্য হয়ে বিকল্প হিসেবে বেছে নিয়েছেন কেরোসিনের চুলা। পাশেই গ্যাসের বেশ কয়েকটি চুলা থাকলেও চাপ না থাকায় অন্য অনেকের মতোই দুর্বিষহ জীবন তার।
এছাড়া ঢাকার একজন বাসিন্দা বলেন, গ্যাস নেই, সেজন্য নাতিকে বাটারবন নিয়ে এসে খাওয়াছি। গ্যাস না থাকার কারণে রান্না করে খেতে পারিনি। ইফতারও কিনে খেতে হচ্ছে এছাড়া সেহরীর সমস্যাতো আছেই।
রাজধানী এলাকা রাজধানীর তেজগাঁও বেগুনবাড়ির বাসিন্দা ফাতেমা বেগম এক্ষেত্রে কিছুটা ভাগ্যবতী। গত দুইদিন ইটের চুলায় রান্না করলেও কিছুটা গ্যাস জুটেছে ভাগ্যে। তবে সেটি পেতেও অনেকটা কৌশলী হতে হয়েছে তাকে। ফাতেমা তিনটি চুলা বন্ধ রেখে একটি চুলায় পেয়েছেন খানিকটা গ্যাস।
এছাড়া আরেকজন বলেন, আমরা রান্না করে খেতে পারি না। হোটেল থেকে কিনে এনে খেতে হচ্ছে। রমজান মাসে রান্না করে খাব, সেটা হচ্ছে না।
রাজধানীতে বছর জুড়েই নানা অতৃপ্তি থাকলেও রমজানের শুরুতেই যেন গা ঢাকা দিয়েছে অতি প্রয়োজনীয় গ্যাস। নাকাল পরিস্থিতিতে নগরবাসী। পেট্রোবাংলার পক্ষ থেকে বিবিয়ানার সংকট কিছুটা কাটিয়ে ওঠার দাবি করা হলেও মাঠের চিত্র বলছে ভিন্ন কথা। গ্যাস সংকটে পরিবারের সদস্যদের খাবারের যোগান দিতে নাভিশ্বাস অবস্থা গৃহিণীদের। তাই সরকারের কাছে ঢাকার বাসিন্দাদের দাবী যেন দ্রুত গ্যাসের সমাধান করা হয়।