বার্তা প্রতিনিধি: এবার পবিত্র মাহে রমজানে করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে মসজিদে তারারিহ’র নামাজ সিমিতভাবে আদায়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। তবে জামাতে সর্বোচ্চ ১২ জন উপস্থিত থাকতে পারবেন। ধর্মমন্ত্রী সবাইকে তারাবিহ সহ অন্যান্য ইবাদাত নিজ বাসায় পালন করার আহ্বান জানিয়েছেন। ইসলামি চিন্তাবিদরা বলছেন, আবেগ তাড়িত হয়ে রাস্টের এ সিদ্ধান্তকে উপেক্ষা করলে গোনাহগার হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
আসছে আগামী দুদিন পর পবিত্র মাহে রমজান। বিশ্ব মুসলিম উম্মাহর কাছে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ আর রহমতের এ মাস। আত্মার পরিশুদ্ধি, পাপাচার থেকে মুক্তিলাভের আশায় সিয়াম সাধনার জন্য সারা বছর অপেক্ষা করেন ধর্মপ্রাণরা।
তবে এবার অপেক্ষার শেষটা এবার খুব সুখকর নয়। করোনাভাইরাসের প্রভাবে শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখতে যে কোনা ধরণের জমায়েত নিষিদ্ধ থাকায় এবার মসজিদে গিয়ে অন্যান্য নামাজসহ তারাবীর নামাজ আদায় করতে পারবেন না মুসল্লিরা। তবে পূর্বের নির্দেশনা অনুযায়ী, জুমা’য়ার নামাজের মতো ইমাম, মুয়াজ্জিন ও খাদেমসহ মসজিদ সংশ্লিষ্ট সর্বোচ্চ ১২ জন জামায়াতে উপস্থিত থাকতে পারবেন। দেশ ও জাতিকে মাহামারী থেকে রক্ষায় সরকারের এ সিদ্ধান্ত মেনে নেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন ধর্মমন্ত্রী।
এদিকে, ইসলামি চিন্তবিদরা বলছেন, রাষ্টের নিষেধাজ্ঞা থাকায় কিয়ামুল লাইল এবং তারাবির নামাজের মতো নফল ইবাদত নির্দিষ্ট মাসালার আলোকে ঘরে আদায় করায় উত্তম।
এদিকে ধর্মমন্ত্রী আসছে পবিত্র মাহে রমজানে সকলকে সংযত হয়ে রোজার সকল নিয়ম মেনে সামাজিক দুরত্ব বজায় রেখে মহামারী করোনা থেকে হেফাজত থাকার জন্য সকলকে আহবান জানান।