Thursday, April 25বাংলারবার্তা২১-banglarbarta21
Shadow

নতুন রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন দেবে নির্বাচন কমিশন গণবিজ্ঞপ্তি এমাসেই

বার্তা প্রতিনিধি: বাংলাদেশের দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের আগে নতুন রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন দেবে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এজন্য চলতি মাসে নতুন দল নিবন্ধনের জন্য আবেদন চেয়ে গণবিজ্ঞপ্তি জারি করবে ইসি সচিবালয়। তবে এ বিষয়ে ইসি এখনো অনুমোদন দেয়নি। ফাইল তৈরির কাজ চলছে। ইসির অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ বলেছেন, নতুন দল নিবন্ধনের প্রক্রিয়া মেনে কিছু দিনের মধ্যেই গণবিজ্ঞপ্তি জারি করা হতে পারে।

নির্বাচন কমিশন কর্মকর্তারা বলছেন, সংসদ নির্বাচনের আগে নতুন দল নিবন্ধনের জন্য গণবিজ্ঞপ্তি জারি করে নির্বাচন কমিশন। ২০০৮ সাল থেকে নির্বাচনমুখী দলগুলোকে নিবন্ধন দিয়ে আসছে ইসি। নিবন্ধন না থাকলে কোনো দল নির্বাচনে অংশ নিতে পারে না। ইসি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, বিষয়টি কমিশনের কাছে উপস্থাপনের জন্য নথি প্রস্তুত করা হচ্ছে। কমিশন অনুমোদন দিলে যে কোনো সময় জারি হতে পারে গণবিজ্ঞপ্তি।

বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন কর্তৃক সর্বশেষ দল নিবন্ধনের জন্য ২০১৭ সালের ৩০ অক্টোবর গণবিজ্ঞপ্তি জারি করেছিল ইসি। সময় দেওয়া হয়েছিল ওই বছর ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত। এতে নিবন্ধন পেতে আবেদন করেছিল ৭৬টি রাজনৈতিক দল। কে এম নূরুল হুদা কমিশন নানা কারণে সবার আবেদন বাতিল করেছিল। পরে আদালতের আদেশে নিবন্ধন পায় জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক আন্দোলন-এনডিএম ও বাংলাদেশ কংগ্রেস।

এছাড়াও ২০১৩ সালে গণবিজ্ঞপ্তি জারি করলে ৪৩টি দল আবেদন করেছিল। কাজী রকিবউদ্দীন আহমদ কমিশন সে সময় বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট ফ্রন্ট (বিএনএফ) ও সাংস্কৃতিক মুক্তিজোট- এ দুটি দলকে নিবন্ধন দেয়।

বাংলাদেশের সংবিধান অনুযায়ী ড. এ টি এম শামসুল হুদা নেতৃত্বাধীন কমিশন ২০০৮ সালে দেশে প্রথমবারের মতো দলগুলোকে নিবন্ধন দেয়। সে সময় ১১৭টি দল আবেদন করেছিল। যাচাই-বাছাইয়ের পর নিবন্ধন পায় ৩৯টি। সব মিলিয়ে গত ১৪ বছরে মোট ৪৪টি দলকে নিবন্ধন দিয়েছে ইসি। এর মধ্যে শর্ত পূরণে ব্যর্থ হওয়ায় ও আদালতের নির্দেশে পাঁচটি দলের নিবন্ধন বাতিলও করা হয়। ফলে বর্তমানে ইসিতে নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল রয়েছে ৩৯টি।

বাংলাদেশের গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও)-১৯৭২ অনুযায়ী নতুন দলের নিবন্ধন পাওয়ার শর্ত হচ্ছে- (১) দেশ স্বাধীন হওয়ার পর অনুষ্ঠিত সংসদ নির্বাচনে দলীয় প্রতীকে কমপক্ষে একটি আসন লাভ; বা (২) সংসদ নির্বাচনের যে কোনো একটিতে ওই দলের প্রার্থী কর্তৃক নির্বাচনে অংশগ্রহণকৃত আসনে প্রদত্ত মোট ভোটের ৫ শতাংশ লাভ; বা (৩) কেন্দ্রীয় কমিটিসহ একটি সক্রিয় কেন্দ্রীয় কার্যালয়, কমপক্ষে এক তৃতীয়াংশ (২১টি) প্রশাসনিক জেলায় অফিস এবং অন্তত ১০০ উপজেলা/মেট্রোপলিটন থানায় কমপক্ষে ২০০ ভোটারের সমর্থন তালিকাভুক্ত থাকতে হবে। তিনটি শর্তের যে কোনো একটি অবশ্যই পূরণ করতে হবে। এ ছাড়া আবেদনপত্রের সঙ্গে নতুন দলগুলোকে গঠনতন্ত্র, দলের বিধিমালা (যদি থাকে), নির্বাচনী ইশতেহার (যদি থাকে), কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সব সদস্যের পদবিসহ নামের তালিকা, দলের লোগো ও পতাকার ছবি, দলের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট ও এর সর্বশেষ স্থিতি এবং তহবিলের উৎস ইত্যাদি তথ্যও জমা দিতে হবে। বাংলাদেশে ৩৯টি রাজনৈতিক দলের পরে এবার আরো কয়টি রাজনৈতিক দল নিবন্ধন পায় এবং আর প্রয়োজন আছে কিনা তানিয়ে প্রশ্ন তুলেছে জনগন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *