Thursday, April 25বাংলারবার্তা২১-banglarbarta21
Shadow

করোনা বিবেচনায় পরীক্ষা ছাড়াই এইচএ্সসির ফল মূল্যায়ন করা হবে

বার্তা প্রতিনিধি: বৈশ্বিক মহামারী করোনা পরিস্থিতি বিবেচনায় চলতি বছরে এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা হচ্ছে না। জেএসসি এবং এসএসসি পরীক্ষার গড় ফলাফল যোগ করে এইচএসসির ফল মূল্যায়ন করা হবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। একইসঙ্গে এইচএসসির ফলাফল ডিসেম্বরের মধ্যেই প্রকাশ করা হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।

আজ বুধবার (৭ অক্টোবর) দুপুরে সংবাদিকদের সঙ্গে ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষামন্ত্রী এমন কথা বলেন।

আরো পড়ুন :উত্তর কোরিয়ার হ্যাকার গ্রুপ ‘বিগল বয়েজ’ বাংলাদেশে সাইবার হামলার আশংকা

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, শিক্ষার্থীদের জীবনের নিরাপত্তায় সার্বিক বিবেচনায় ২০২০ সালের এইচএসসি পরীক্ষা ভিন্ন পদ্ধতিতে মূল্যায়ন হবে। যেভাবে গ্রহণযোগ্যতা পাবে, তা বিবেচনা করছি। এ পরীক্ষার জন্য ৩০ থেকে ৩২ দিন সময় দরকার হয়। এক বেঞ্চে একজন ছাত্রী সম্ভব নয়। এখন কেন্দ্র দ্বিগুণ করার জনবল নেই।

শিক্ষামন্ত্রী সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, আমাদের কাছে দুটি পাবলিক পরীক্ষার ফল রয়েছে। এর ভিত্তিতেই করতে হবে মূল্যায়ন। অন্যকিছুতে যাওয়া যাবে না। কেউ হয়তো বলেতে পারেন টেস্ট পরীক্ষা হয়েছে, এবং সেই ফলগুলো শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের হাতে রয়েছে। সেখানেও তো নানা ধরণের সমস্যা থাকতে পারে।

তবে এবারের উচ্চ মাধ্যমিকের পরীক্ষার্থীদের ফল তৈরিতে জেএসসি ও এসএসসির ফলের কত শতাংশ হিসেব করা হবে-এমন প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, ‘এ বিষয়টি পরামর্শক কমিটির মতামতের ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। হাতে সময় আছে।’

এসব বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে মঙ্গলবার (৫ অক্টোবর) শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি গণমাধ্যমকে বলেন, ‘আপনাদের সময় জানিয়ে দেব। যখন সময় হবে, তখন বিস্তারিত জানানো হবে। আজ (মঙ্গলবার) জানাতে পারব না। কাল হয়তো আপনাদের সঙ্গে কথা বলব।’

আরো পড়ুন :হেফাজতে ইসলামের আমির আল্লামা আহমদ শফীর ইন্তেকাল

শিক্ষামন্ত্রী বলেন করোনা ভাইরাসের কারণে প্রায় ছয় মাস আগে বন্ধ হয়ে যায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। স্থগিত হয়ে গেছে চলতি বছরের এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষাও। এরমধ্যে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছুটি আরও এক দফা বাড়িয়ে ৩১ অক্টোবর করা হয়েছে। তবে এইচএসসি পরীক্ষা নিয়ে সরকার ছাড়াও উদ্বেগ বাড়ছে শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের। এ অবস্থায় এইচএসসি পরীক্ষা নেয়ার তোড়জোড় শুরু করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।

এছাড়া গত ১ এপ্রিল চলতি বছরের এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা শুরু হওয়ার সিদ্ধান্ত থাকলেও করোনার কারণে তা স্থগিত হয়ে যায়। এবার ১৪ লাখ পরীক্ষার্থীর জন্য প্রায় দুই হাজার ৫০০ কেন্দ্রে প্রস্তুত করেছিল ১১টি শিক্ষা বোর্ড। তবে করোনার কারণে এখন প্রতি বেঞ্চে একজন করে শিক্ষার্থী বসিয়ে এইচএসসি পরীক্ষা নেয়ার পরিকল্পনা করা হয়।

তিনি বলেন, কেন্দ্র দ্বিগুন করলে আরো জনবল প্রয়োজন হবে। প্রশাসনসহ সবার জনবল বাড়ানো প্রয়োজন রয়েছে। বিষয় কমানো হয়তো যায়, কিন্তু প্রতিটি বিষয়ের গুরুত্ব রয়েছে। অনেকে এতে ক্ষতিগ্রস্ত মনে করতে পারবে। কোভিড আক্রান্ত হলে তখন কী হবে। এ নিয়ে আমরা চিন্তা করছি। ভারতের পরীক্ষাও আমরা দেখেছি। তিনটি পরীক্ষা নেয়ার পর তাদের পরীক্ষা বাতিল করা হয়েছে। অনেক দেশে পরীক্ষা বাতিল কিংবা স্থগিত করেছে।

গুরুত্বপূর্ণ এই ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরি, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব মাহাবুব হোসেন, কারিগরি ও মাদরাসা বিভাগের সচিব মো. আমিনুল ইসলাম খান, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মু. জিয়াউল হকসহ সকল শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যানরা। তবে ফলাফল পেতে শিক্ষার্থীদের আরো দুমাস অপেক্ষা করতে হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *