Saturday, April 20বাংলারবার্তা২১-banglarbarta21
Shadow

সড়কের গর্তই নিভে দিল কলেজ ছাত্রীর তাজা প্রান আর কত মরলে টনক নড়বে প্রশাসনের

শাকিল আহমেদ (বার্তা প্রতিনিধি): আর কত প্রান যাবে ভাবতেও পারিনা। বললেন ঝুকি নিয়ে চলা এক বাবা। অসাপ্ত সড়ক আর খামখিয়ালিপনা্ অনেক প্রান ঝরে যাচ্ছে সেদিকে নজর কেহই দিচ্ছেনা। এমই সড়কের একটি গর্তই কলেজ ছাত্রীকে টেনে নিল চলন্ত কাভার্ড ভ্যানের নীচে। ফলশ্রুতিতে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় সদ্য বিবাহিত কলেজ ছাত্রী নাহিদা আফরোজ অনিতা (২৩)। গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে নগরীর ডবলমুরিং থানাধীন ডিটি রোডের মনসুরাবাদ এলাকায় মর্মান্তিক এ দুর্ঘটনা ঘটে। পুলিশ লাশ উদ্ধার করলেও পরে পরিবারের সম্মতিতে স্বজনদের হাতে হস্তান্তর করে। পুলিশ জানিয়েছে, অনিতা সরকারি কমার্স কলেজের এমবিএ শিক্ষার্থী ছিলেন। দুই মাস আগে বিয়ে হয়। নগরীর কর্নেল হাট শাহেরপাড়া এলাকায় বাসা অনিতার।
ডবলমুরিং থানার এসআই আহলাদ ইবনে জামিল বলেন, কোচিং শেষে স্বামী আরমান শাকিলের সাথে মোটরসাইকেলে কর্নেলহাটের বাসায় ফিরছিলেন। মনসুরাবাদ এলাকায় একটি কাভার্ড ভ্যানকে ওভারটেক করতে গিয়ে সামনে সড়কের একটি গর্তে পড়ে যায় মোটরসাইকেলটি। এসময় বাইকটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে অনিতা ছিটকে পাশের চলন্ত কাভার্ডভ্যানের নীচে চাপা পড়েন। এতে মাথায় আঘাত পেয়ে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় তার। এসময় তার স্বামী আরমান শাকিলও সামান্য আহত হন।’ এ পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, ‘কাভার্ডভ্যানটির কোনো দোষ ছিল না। তবে প্রাথমিক পর্যায়ে কাভার্ডভ্যানটি আটক করা হয়। পরে ভিকটিমের পরিবারের সম্মতিতে লাশ ময়নাতদন্ত ছাড়াই তাদের হাতে হস্তান্তর করা হয়েছে।’ নিহতের ভাই ইমরুল হায়দার জানান, গত ১৬ সেপ্টেম্বর বিয়ে হয় অনিতার। তার স্বামী ব্যবসা করেন। অনিতা সরকারি কমার্স কলেজে পড়তো। পড়ালেখা শেষ করে তার ভাল চাকুরি করার ইচ্ছে ছিল। কোচিং শেষে তাকে বাসায় রেখে স্বামীর কর্মস্থলে যাওয়ার কথা ছিল। অনিতারা ভাইবোন তিনজন।’ চট্টগ্রামের ইন্টারন্যাশনাল ইসলামিক ইউনিভার্সিটির কম্পিউটার সায়েন্স বিভাগের স্নাতক প্রথমবর্ষের শিক্ষার্থী সেহেরিন মাহবুব সাদিয়ার (১৯) আর অনিতার মত আর কত জনের প্রান গেলে সরকার বা সিটি কর্পোরেশন অথবা সিডিএ এই সবের দিকে নজর দিবেন তা কি জনগন বা কেহ জানার দরকার আছে বই কি? সাধারন জনগনের জিঞ্জাসা আর কত প্রান গেলে এই সংস্থার টনক নড়বে।
এদিকে চট্টগ্রামের আগ্রাবাদ বাদামতলী এলাকায় রাস্তার পাশের অরক্ষিত ড্রেনে পড়ে শিক্ষার্থীর মৃত্যুর ঘটনায় ভুক্তভোগী পরিবারকে ১০ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশনা চেয়ে রিট আবেদন করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার হাইকোর্ট বিভাগের সংশ্লিষ্ট শাখায় মানবাধিকার সংস্থা আইন ও সালিশ কেন্দ্র (আসক), চিলড্রেন্স চ্যারিটি বাংলাদেশ (সিসিবি) ফাউন্ডেশন এবং ওই শিক্ষার্থীর মামা জাহিদ উদ্দিন বেলাল আইনজীবীর মাধ্যমে রিট আবেদন করেন। জনগণকে দুর্ঘটনা থেকে বাঁচাতে প্রতিটি নির্মাণাধীন এলাকায় পর্যাপ্ত সুরক্ষা ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে সিটি করপোরেশনের প্রতি আদালতের নির্দেশনা চাওয়া হয় আবেদনে। সংগ্রহে

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *